আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
194 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম
যদি কেউ নিজের ইচ্ছায়,,, কোন জবরদস্তির স্বীকার না হয়ে পুজা উদ্বোধন করতে যায় তাহলে তার ঈমান থাকবে?
আমরা যতটুকু জানি শিরকের প্রতি, মূর্তিপুজার প্রতি ঘৃণা থাকা প্রতিটি মুমিনের ঈমানের লক্ষণ আর এসবের প্রতি ঘৃণা না রাখা ঈমান না থাকার লক্ষণ। আর ঈমান ও কুফরের বাহ্যিক দিকই বিবেচনা করতে হবে আলেমরা এটাই বলেন। এখন কেউ পুজা উদ্বোধন করতে গেলে বাহ্যিকভাবে বুঝা যায় সে এটা সমর্থন করতেছে, বা এটা প্রতি তার কোন ঘৃণা নেই অথবা তার এই মূর্তিপুজাকে অপরাধ মনে হচ্ছে না। কারনে নিজের ইচ্ছাতেই কোন কারণ ছাড়া গেছে তাও দেশের বাইরে।

এখন কি বলবেন তার কি ঈমান আছে?

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান, প্রত্যেক ধর্মের নিজস্ব। এ উপলক্ষে আয়োজিত উৎসব ও আনন্দও তাদের নিজস্ব। 

কোনো ইসলাম ধর্মাবলম্বীর অন্যদের ধর্মীয় কাজে যোগ দেওয়া, সেগুলোকে পছন্দ করা, সে উৎসবকে নিজের উৎসব মনে করার কোনো একটি বিষয়ই শরীয়ত কর্তৃক সমর্থিত নয়।

মূলত অন্য ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে সহাবস্থান, নিজস্ব পরিধির মধ্যে তাদের ধর্মপালন ও পালনের অধিকার একটি সমর্থিত ও স্বীকৃত বিষয়। এটি ইসলামেরই নীতি। কিন্তু অপর ধর্মের ধর্মীয় আচার এবং ধর্মভিত্তিক উৎসবকে নিজের উৎসব মনে করা কিংবা সে উৎসবে স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশ নেয়া সম্পূর্ণ অসমর্থিত, অযৌক্তিক ও বাস্তবতাবহির্ভূত। মূর্তিপূজা সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠান-উৎসবে কোনো মুসলমানের পক্ষে এভাবে একাত্মবোধ করার কোনো অবকাশই নেই। এটা ইসলামের অন্যতম প্রধান শিক্ষা এবং ভিত্তিগত চেতনারও বিরোধী।
,
রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করছেন,

من تشبه بقوم فهو منهم

‘যে ব্যক্তি অন্য জাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করবে সে তাদের দলভ‚ক্ত বলে গণ্য হবে।’ সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৪০৩১

অন্য একটি বর্ণনায় খলীফা হযরত উমর রা. বলেছেন, اجتنبوا أعداء الله في عيدهم
 তোমরা আল্লাহর দুশমনদের উৎসবগুলোতে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাক। আস সুনানুল কুবরা, হাদীস ১৮৮৬২

অন্য বর্ণনায় তিনি এর ব্যাখ্যায় বলেছেন ‘কারণ এক্ষেত্রে আল্লাহর অসন্তুষ্টি নাযিল হয়ে থাকে।’ আরেকটি বর্ণনায় হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রা. বলেছেন
من بنى ببلاد الأعاجم وصنع نيروزهم ومهرجانهم وتشبه بهم حتى يموت وهو كذلك، حشر معهم يوم القيامة.

অর্থাৎ যারা বিধর্মীদের মত উৎসব করবে, কিয়ামত দিবসে তাদের হাশর ঐ লোকদের সাথেই হবে। আস সুনানুল কুবরা, হাদীস ১৫৫৬৩।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই!  
কাউকে কাফের বলার ক্ষেত্রে ইসলামের বিধান যেহেতু অনেক কঠোর, তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ভিন দেশে গিয়ে পুজা উদ্বোধন কারীকে আমরা কাফের বলতে পারিনা,তবে এহেন কাজ স্পষ্ট হারাম। 

আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সকল শিরক-মিশ্রণ কাজ হতে মুক্ত থেকে খালেছ ভাবে চলার তওফিক দান করুন। 

কাউকে বেঈমান,কাফের বলা সংক্রান্ত জানুনঃ https://ifatwa.info/4851/?show=4854#a4854


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...