আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
89 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (115 points)
অনলাইন সময় ওয়েস্ট করার বড় একটা মাধ্যম।আমার প্রশ্ন অনলাইনে সম্পর্ক রাখা না রাখা নিয়ে।জীবনে অনেক মানুষকে সময় দিয়েছি।তারা যাতে ভুল পথে চলে না এক্সায় ইত্যাদি কারণে।তবে আল্লাহকে সময় দেইনি।অনলাইনে এই সেই মানুষের হেল্প করাতে আমাদের জীবনের অনেক সময় আমি ক্ষতি করে ফেলেছি।অনলাইনে মানুষ নিজেকে যেভাবে দেখায় মানুষ তেমন না।আমি আমার নিজের দ্বীনি মহল থেকে ছুটতে চাই।কারণ আজকালকার দ্বীনি মহল কে আসলেই "দ্বীনি " বলা যায় কিনা আমার জানা নেই।আগে মানুষকে বেশি সময় দিতাম সেই মানুষগুলোই আমাকে নানা প্রয়োজনে খুঁজে। যেই প্রয়োজনগুলো ভ্যালিড।কিন্তু আমার একার পক্ষে তো এতো সমস্যা সলভ করা সম্ভব না।কারণ অনলাইনে একটা সমস্যার সলভ করার পিছনে অনেক সময় খরচ হয়।"আমি অনলাইন যাওয়া আসা কন্ট্রোল করতে পারিনা।"
তাই একটা ফিক্সড টাইম মতো চ্যাট করতে পারব না বা তারাও সেই সময়টাতে থাকবেনা।
আমি অফলাইনেও অপ্রয়োজনে দ্বীনি বোনদের সাথে দেখা করতে চাইনা।দূরে থাকতে চাই এসব থেকে যাতে আল্লাহর কাছাকাছি যেতে পারি।কিন্তু আমি দূর হলে অন্য কোনো দ্বীনি বোন হতাশায় পড়ে যাবে।কারো হয়তো অনেক প্রয়োজনীয় কাজে আমি হেল্প করতে পারব না।আমি আমার লক্ষ্যে অটল থাকতে চাই।আমি ডিস্ট্রেক্ট হতে চাইনা।তাই এদের সাথে দেখা বা প্রয়োজনে কথাও বলতে চাইনা।যেমন কারো ইসলামিক বই দরকার পড়েছে। এখন এই দেওয়ার উদ্দেশ্য সাক্ষাৎ হলে দেখা যাবে উদ্দেশ্য থেকে ছুটে গেছি।আবার কেউ বিয়ে করতে চাই বাবা মা কে না জানিয়ে এইক্ষেত্রে কি করবে,এরকম আরো প্রয়োজন আছে তাদের।এখন আমি কি এসব থেকে দূরে থেকে ভালো করছি নাকি খারাপ?আমার কি তাদের প্রয়োজন না মিটানোর কারণে গুনাহ হবে?তারা যদি আল্লাহর পথ থেকে সরে যায় কারণ আমি উৎসাহ দেওয়ার জন্য ছিলাম না আমার কি গুনাহ হবে?


উলেখ্য, আমি একজন জ্বিন ও যাদু আক্রান্ত পেশেন্ট, আমার রুকইয়াহতে মনোযোগ দেওয়া লাগে।এছাড়া অনলাইনের মানুষের হেল্প করতে গিয়ে দেখি আমার মা বোনের সাথে সম্পর্ক ঠিক নাই।তাদের যেভাবে সময় দেওয়া উচিত ছিলো সেভাবে দিচ্ছি না।

1 Answer

0 votes
by (677,280 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


https://ifatwa.info/38673/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
কোনো মুসলমানের সাথে তিন দিনের বেশি কথা বন্ধ রাখা,সম্পর্ক ছিন্ন করা নাজায়েজ। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ أَبِىْ أَيُّوبَ الْأَنْصَارِىِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:لَا يَحِلُّ لِلرَّجُلِ أَنْ يَهْجُرَ أَخَاهُ فَوْقَ ثَلَاثِ لَيَالٍ يَلْتَقِيَانِ فَيَعْرِضُ هٰذَا وَيَعْرِضُ هٰذَا وَخَيْرُهُمَا الَّذِىْ يَبْدَأُ بِالسَّلَامِ. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
আবূ আইয়ূব আল আনসারী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন মুসলিম ব্যক্তির জন্য এটা বৈধ নয় যে, সে তিনদিনের বেশি সময় অপর কোন মুসলিম ভাইকে ত্যাগ করে। তারা কোথাও একে অপরের মুখোমুখি হলে একজন এদিকে মুখ ফিরিয়ে নেবে এবং অপরজন ওদিকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। তাদের দু’জনের মধ্যে উত্তম সে ব্যক্তি, যে প্রথমে সালাম করে কথাবার্তা আরম্ভ করে।

(বুখারী ৬০৭৭, মুসলিম ২৫-(২৫৬০), আবূ দাঊদ ৪৯১১, তিরমিযী ১৯৩২, সহীহুল জামি‘ ৭৬৬০, সহীহ আত্ তারগীব ২৭৫, সহীহ আল আদাবুল মুফরাদ ৩১৪, মুওয়াত্ত্বা মালিক ৩৩৬৫, মা‘রিফাতুস্ সুনান ওয়াল আসার লিল বায়হাক্বী ৬৩৬৫, মুসান্নাফ ইবনু আবূ শায়বাহ্ ২৫৩৬৮, আহমাদ ১৩৩৫৪, সহীহ ইবনু হিব্বান ৫৬৬৯, শু‘আবুল ঈমান ৬৬১৭, আল মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ৩৮৫২, আস্ সুনানুল কাবীর লিল বায়হাক্বী ২০৫২১।)

তবে যদি দূরে থাকার কারনে কোনো দেখা সাক্ষাৎ না হয়,সেক্ষেত্রে যোগাযোগ না হওয়ায় যদি কথা না হয়,তাহলেও গুনাহ হবেনা।  

আরো জানুনঃ

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যে আল্লাহকে সময় দেয়ার জন্য অনলাইলে কম আসতে চাচ্ছেন,বা আসলেও দ্বীনি বোনদের সাথে যোগাযোগ না রাখতে চাচ্ছেন,অফলাইনেও অপ্রয়োজনে দ্বীনি বোনদের সাথে দেখা না করতে চাচ্ছেন,এটি জায়েজ আছে।
সমস্যা নেই।
আপনি তো তাদের সাথে ঝগড়াঝাটি করে কথা বন্ধ রাখছেননা,সুতরাং প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার গুনাহ হবেনা।

(তবে কেহ সালাম দিলে জবাব দিবেন।)

অনলাইনে আসলেই এভাবে সময় নষ্ট না করা উচিত,নিজের আমলি জিন্দেগী নিয়ে ব্যস্ত থাকাই উচিত।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...