আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
145 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (82 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম ওরাহৃমাতুল্লাহ।এই বিষয়গুলে ঠিক আমার না।ঠিক এমনটা আমার সাথে হয়েছে কিনা জানি না।আমি এমনিতে জানার জন্য প্রশ্ন করেছি।বার বার ওয়াসওয়াসা আর চিন্তা আসে এসব নিয়ে।হয়ত আমার সাথে সম্পূর্ণ মিল নাও হতে পারে।দয়া করে একটু বলবেন।আমি আমার স্বামীর সাথে থাকতে চায়।আগে কেনায়া তালাক সম্পর্কে কিছু জানতাম না।জানার পর থেকে আগের সব বিষয় নিয়ে টেনশন আসতে থাকে।সব কিছু পরিপূর্ণ মনে নাও থাকতে পারে কথার মাঝে অনেক কথার গরমিল ও হতে পারে।তাই আমি অন্য জনের দিকে ইন্গিত করে প্রশ্ন করেছি।সবসময় খুব ভয় লাগে কোন গুণাহ হচ্ছে কিনা ভেবে।আগের বিষয় তহ।

১।কোন স্ত্রী যদি মেসেজে তালাক খুজে এরপর স্বামী ধরেন বলল দিব বা ধরেন কিছু বলে নি।এরপর স্ত্রী যদি বলে মেসেজে আর কি মা বাবার পছন্দমত করতাম অনেক ভাল হত বিয়ে বা যদি বলে অশিক্ষিত এর সাথে থাকতে পারব না ইত্যাদি। এরপর স্বামী নিয়ত ছাড়া বলে যাও মা বাবার পছন্দমত কর গা বিয়ে বা যদি বলে থাকিও না অশিক্ষিত এর সাথে তাহলে কি তালাক হবে? এখানে তালাক চাওয়ার উত্তরে কেনায়া শব্দ বলে নি।শুনেছি তালাক চাওয়ার উত্তরে কেনায়া শব্দ বললে হয় যে  তালাক।এর একটু পর ও বললে নিয়ত ছাড়া বললেও হয় না মানে তালাক চাওয়ার উত্তরে না বলে এর পর নিয়ত ছাড়া বললেও হয় না।

২।কোন স্ত্রী যদি তালাক চায় আর স্বামী যদি বলে দিব বা তুমি দাও বলে মেসেজে।এরপর স্বামী যদি বলে এখনো কেও জানেনা বিয়ের কথা। এখনো সময় আছে ছেড়ে দিতে পার বা দাও বা এখনো কেউ জানে না আলাদা বা তালাক হয়ে গেলেও কেও জানবে না  ইত্যাদি ।তারপর যদি বলে আমি যখন শহরে আসব তখন সাক্ষী নিয়ে   আসব তখন দিয়ে দিও বা দিব মানে তালাক দিবে বা দিতে বলেছে ধরেন যখন এরপর শহরে আসবে তখন।বা এই কথাটার পর যদি বলে এখনো সময় আছে কেও জানে না আলাদা হয়ে গেলেও কেও জানবে না ইত্যাদি ইত্যাদি  এমন।এরপর ্মা বাবার পছন্দমত বিয়ে করিও বা করতে পারবা বা যদি বলে মা বাবার পছন্দমত করিও  বিয়ে এরপর বা করতে পারবা  এরপর এমন বললে কি তালাক হবে? এখানে তহ স্বামী ভবিষ্যৎ এর কথা বলেছে।সব গুলোই তহ ভবিষ্যৎ এর দিকে ইন্গিত করে বলেছে ধরেন।

৩।ধরেন স্ত্রী  মেসেজে বলল মা বাবার পছন্দমত করতাম অনেক ভাল হত।স্বামী যদি বলে কর গা।স্ত্রী যদি বলে কেমনে করতাম তুমার বউ এখনো।স্বামী যদি বলে ঠিক আছে ছেড়ে দিব।এখানে আগের কেনায়া শব্দটা নিয়ত ছাড়া এমনিতে বললে কি তালাক হবে? স্ত্রী তহ তখন তালাক ও চায় নি ধরেন মেসেজে।ওটা স্বামী নিয়ত ছাড়া বললে কি তালাক হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


তালাক খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

★তালাক স্পষ্ট বাক্য দ্বারাও হতে পারে,আবার কেনায়া শব্দ,ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারাও হতে পারে।
কেনায়া তালাক বলা হয় স্পষ্ট তালাক শব্দ না বলে বরং তালাকের ইঙ্গিতসূচক শব্দ বলে তালাক দেওয়া। 

★★শরিয়তের পরিভাষায় ইঙ্গিত সূচক শব্দে তালাক দেয়াটাকে বলা হয় ‘কেনায়া তালাক’ বা ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারা তালাক। আর কেনায়া তালাকের ক্ষেত্রে নিয়ত তথা তালাকের ইচ্ছা থাকা অত্যাবশ্যক। আর কেনায়া তালাক দ্বারা এক তালাকে বায়েন পতিত হয় ৷

সুতরাং যদি কেউ স্ত্রীকে এরূপ কথা বলে এবং তালাকের নিয়ত করে, তবে স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে। আর যদি তালাকের নিয়ত না করে তাহলে তালাক হবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া, ১/৩৭৫)

আরো জানুনঃ  

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন , 
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে স্বামীর তালাকের নিয়ত না থাকায় তালাক হবেনা।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০২)
যেহেতু ভবিষ্যৎ এর দিকে ইঙ্গিত করে বলেছে,তাই এতে তালাক হবেনা।

(০৩)
এক্ষেত্রেও ভবিষ্যৎ এর দিকে ইঙ্গিত করে বলেছে,তাই  তালাক হবেনা।

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (1 point)
আপনি তালাক নিয়ে অনেক প্রশ্ন করেছেন দেখলাম। তাই বোন পরামর্শ হল, আপনি কোন সাইকিয়াট্রিস্ট  এর শরাণাপন্ন হোন অথবা সম্ভব না হলে সরকারি মেডিক্যালের সাইকিয়াট্রি বিভাগ এর আউটডোরে দেখান। ওয়াসওয়াসা একটি মানসিক রোগ, যাকে মেডিক্যালের ভাষায় ওবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসওর্ডার(OCD) বলে। এটি সাধারণত মস্তিষ্কে সেরোটোনিন নামক একটি নিউরোকেমিক্যালের বৃদ্ধি বা হ্রাসের কারণে হয় এবং এতে আক্রান্ত রোগীর অনেক মানসিক কষ্ট হয়। অনেক দিনের শয়তানি ওয়াসওয়াসা, এ মানসিক রোগে পরিণত হয়। আপনার তালাক নিয়ে ওয়াসওয়াসা, এটি মানসিক রোগে পরিনত হয়েছে, যা আপনাকে মানসিকভাবে অনেক কষ্ট দিতে থাকবে। শুধু মাথায় তালাকের চিন্তায় ঘুরে ফিরে আসবে এবং তা থেকে বের হওয়া যায়না।
ইনশাআল্লাহ এ রোগ ৩/৪ মাস মেডিসিনে ও কাউন্সিলিং এ ভাল হয় এবং মেডিসিন কন্টিনিউ করতে হবে, সাথে আল্লাহর কাছেও এ রোগ মুক্তির জন্য দোয়া করতে হয়। সাথে শায়েখের পরামর্শ মত ওয়াসওয়াসার আমল গুলো করবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...