আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
84 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (38 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম।

আমি শাইখ দের লেকচারে শুনেছি যে মেডিটেশন যেগুলোতে কোনো কিছু কল্পনা করতে হয়, বা কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের মত ধ্যান, থার্ড আই বা এরকম কিছু যা আমি না পেয়েও কল্পনা করবো যে পেয়ে গেছি, এগুলো করা শিরক হবে। কারণ শুরুতে বেশি কিছু কল্পনা না করলেও এগুলো এক সময় আল্লাহ ব্যতীত অন্য কিছুতে হয় শয়তান নাহয় নফসের পূজা করার দিকে ধাবিত করে আল্লাহ মাফ করুন।
কিন্তু যদি শুধু শ্বাস নেওয়া আর শ্বাস ছাড়ার ব্যয়াম যেগুলো মনোরোগ বিশেষজ্ঞ রা পরামর্শ দিয়ে থাকেন। যা শরীরে অক্সিজেন প্রবেশ ও ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে, খুব সিম্পল জিনিস একটু রিলক্স হয়ে বসে শ্বাস নিতে হবে , কিছুক্ষন পর ছাড়তে হবে। কিছু কিছু স্টাইলে আছে যেমন না দিয়ে, মুখ দিয়ে বা এক নাক দিয়ে... এগুলো করা গুনাহ্ হবে কি? এইসময় কিছু কল্পনা করতে হয় না। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে যদি ভয়েস শুনে এই নিশ্বাস ব্যায়াম করা হয় , ফোনে ভয়েস এ বলতে থাকবে আর সেই অনুযায়ী করতে হবে, শুধু এটা কল্পনা করতে বলে যে শরীরে বিশুদ্ধ বাতাস প্রবেশ করছে আর শরীর থেকে টক্সিক পদার্থ বাতাসের মাধ্যমে বের হয়ে যাচ্ছে এটা feel করতে বলা হয়।

এরকম করা জায়েজ হবে কি না? শুধু breathing exercises, কোনো দীর্ঘক্ষণ বসে ধ্যান বা কল্পনা করা না।
closed

1 Answer

0 votes
by (686,800 points)
selected by
 
Best answer
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


মেডিটেশন (meditation), যোগ ব্যায়াম (yoga) মূলতঃ একটি শয়তানী ফাঁদ; যা নিঃসন্দেহে হারাম।

মানুষকে আল্লাহর ইবাদত থেকে ফিরিয়ে কথিত অন্তর্গুরুর ইবাদতে লিপ্ত করার অভিনব প্রতারণার নাম হল কোয়ান্টাম মেথড। হাজার বছর পূর্বে ফেলে আসা হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান পাদ্রী ও যোগী সন্ন্যাসীদের যোগ-সাধনার আধুনিক কলা-কৌশলের নাম দেওয়া হয়েছে “মেডিটেশন”। 

এটি মূলতঃ হাজার বছর পূর্বে ফেলে আসা হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান পাদ্রী ও যোগী-সন্ন্যাসীদের যোগ-সাধনার আধুনিক কলা-কৌশলের নাম।

অথচ রাসূলুল্লাহ  ﷺ বলেছেন,

 لَيْسَ مِنَّا مَنْ تَشَبَّهَ بِغَيْرِنَا، لَا تَشَبَّهُوا بِاليَهُودِ وَلَا بِالنَّصَارَى 

যে অন্য সম্প্রদায়ের সাথে সাদৃশ্য বা মিল রেখে চলে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়, তোমরা ইয়াহূদী ও নাসারাদের সাথে সাদৃশ্য রেখো না। (তিরমিযী ২৬৯৫)

মেডিটেশনের লক্ষ্য হ’ল অন্তর্গুরুকে পাওয়া। তাদের ভাষায়, ‘মেডিটেশনের মাধ্যমেই আপনি সংযোগ সাধন করতে পারেন আপনার  ‘অন্তরের আমি’র  সাথে, আপনার শক্তির মূল উৎসের সাথে।’

মেডিটেশনের এই দৃষ্টিভঙ্গি ইসলামের দৃষ্টিতে মারাত্মক অপরাধ। মূলতঃ ‘অন্তরের আমি’ হল নফসে আম্মারা; যার অনুসরণের পরিণতি হল জাহান্নাম। এদেরকে লক্ষ্য করেই আল্লাহ বলেন,

 أَرَأَيْتَ مَنِ اتَّخَذَ إِلَٰهَهُ هَوَاهُ أَفَأَنتَ تَكُونُ عَلَيْهِ وَكِيلًا-أَمْ تَحْسَبُ أَنَّ أَكْثَرَهُمْ يَسْمَعُونَ أَوْ يَعْقِلُونَ ۚ إِنْ هُمْ إِلَّا كَالْأَنْعَامِ ۖ بَلْ هُمْ أَضَلُّ سَبِيلًا

আপনি কি দেখেছেন ঐ ব্যক্তিকে, যে তার প্রবৃত্তিকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করে? তবুও কি আপনি তার যিম্মাদার হবেন? আপনি কি মনে করেন যে, তাদের অধিকাংশ শোনে অথবা বোঝে ? তারা তো চতুস্পদ জন্তুর মত; বরং আরও পথভ্রান্ত। (সূরা ফুরক্বান ৪৩-৪৪)


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন
প্রশ্নের বিবরণ মতে এভাবে  breathing exercises করা জায়েজ আছে।
এভাবে উক্ত ব্যায়াম করতে শরীয়তের দৃষ্টিকোন থেকে কোনো সমস্যা নেই।  
তবে কোনো মিউজিকের আওয়াজ যেনো কানে না আসে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...