আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
168 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (18 points)
edited by
আস-সালামু আলাইকুম শায়েখ, আমি প্রচন্ড সমস্যার মধ্যে আছি দয়া করে প্রশ্ন গুলো সুনে একটু উত্তর দিবেন । আমি কেনায়া তা** বিষয় থেকে জানার পর গত এক বছর যাবত এই চিন্তা থেকে কোন ভাবেই মুক্ত হতে পারছিনা। সকাল থেকে রাত প্রত্যেক সেকেন্ড আমার মাথায় শুধু এইটাই ঘুরে । বিগত ২ থেকে ৩ মাস অবস্থা গুরুতর । একজন মুফতি কে প্রস্ন করে সমাধান নিতাম কিন্তু উনিও এক সময় বলে আপনার এই বিষয়ে কোন দিন শেষ হবেনা আপনি ওয়াস ওয়াসার রোগী। মুখ চেপে বসে থাকি , যত আমল বলেছে সব আমল করি কিন্তু ভয়ে মুখ খুলতে পারিনা এখন উনাকে ফোন দিতেও লজ্জা লাগে। সূরা নাস ৪০ বার পরে পানিতে ফু দিয়ে খেতে বলছে তাও খাই কিন্তু দিন দিন অবনতি হচ্ছে। স্ত্রীর সাথে কথা বলতে ও ভয় লাগে । দোয়া পরতে ভয় লাগে মনে হয় মুখ দিয়ে কোন কথা বের হয়ে যায় । এই রকম ভয়াবহ অবস্থা আমার আমি বলে বুঝাতে পারবোনা, একটা প্রশ্ন সমাধান হলেই আরেকটা সন্দেহ মনে গ্রাস করে। এমন চিন্তা ও আসে (নাউজুবিল্লাহ ) যে গাড়ির নিচে মাথা দিয়ে দেই এমন চিন্তা আসে।আমি এমন ছিলাম না হুজুর ।একা একা হাটি আর চিন্তা করি মনে হয় পাগল হয়ে যাচ্ছি ।এখন লিখতেছি তাও ভয় হচ্ছে মনে অইটাই চিন্তা চলে আসছে।  আমার OCD এর লক্ষন আছে ? আগের প্রশ্নের সমাধান পেয়েছি নতুন যেই প্রশ্ন গুলো মনে আসছে ২ দিন যাবত

১**  আমি স্ত্রীর সাথে ফোনে কথা বলছি হাসিখুসি।স্ত্রীর পাশে আমার ভাগ্নে ছিল , আমার ভাগ্নে বয়স ৪ বছর সে  আমার স্ত্রীকে বলে "দিতেছি দিতেছি অপেক্ষা কর"। আমি শুনে খুব খুশি হয়ে আনন্দের সহিত স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলাম " দিতেছি দিতেছি ,অপেক্ষা কর" ভাগ্নের কথাটা রিপিট করলাম ।পরে মনে হল এইটা কি কেনায়া বাক্য ? এইটা মনে হওয়ার সাথে সাথে আমার মনে নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তা*** নিয়ত মনে চলে আসলো আমি চাইনি নিয়ত করতে মনে হয় যে কেউ ফোর্স করলো কিন্তু আমি এমন করতে চাইনি। পরে আমি ক্লিয়ার করে স্ত্রীকে বললাম যে " দেখছো একটা বাচ্চা মানুষ কি সুন্দর করে বললো দিতেছি দিতেছি অপেক্ষা কর"। দিতেছি দিতেছি অপেক্ষা কর কি কেনায়া বাক্য আর নিয়ত আমার ছিলোনা ইচ্ছার বিরুদ্ধে তা** কথা মনে আসছে সেক্ষেত্র কি এইটা নিয়ত হিসেবে গন্য হবে?. খুব টেনশনে আছি হুজুর ।

২** স্ত্রী শপিং করবে । আমি বললাম যে ঠিক আছে যাও , ঢাকায় আমার ভাই ভাবি আছে উনারা ভালো চিনে ওদের সাথে যেও । এখানে ও ইচ্ছার বিরুদ্ধে নিয়ত চলে আসলো জোর করে চোখ কান বন্ধ করেও নিয়তের চিন্তা টা দূর করতে পারলাম না। "ঠিক আছ যাও কি "কেনায়া শব্দ আর আমি হাসিখুশি শপিং করার কথাই তো বললাম এখানেও আমি এটা নিয়ত করতেই চাইনি।সম্পূর্ণ ইচ্ছার বিরুদ্ধে এইসব চিন্তা আসলো।

৩* আমার ডিউটি শেষ করে বাসায় যাওয়ার সময় স্ত্রীকে ফোন দেই , সে আমাকে বলে এত দেরী।  আমি বলি " ওভারটাইম আছে সবার, শুধু আমাকে দোকানের মালিক ফোন করে  বলছে ১০ টা বাজে চলে যেতে তাই চলে যাচ্ছি, আমারো থাকতে ভালো লাগেনা ( মানে আমার ১০ টার পর ডিউটি করতে ভালো লাগেনা) এইটা বলার সাথে সাথেই আবারো সেই একই চিন্তা চলে আসে যে থাকতে ভালো লাগে না কি কেনায়া বাক্য? এইবার যখন ইচ্ছার বিরুদ্ধে চিন্তা আসে তখন অনেক কষ্ট করে মনে মনে এইটা বললাম উচ্চারণ না করে  চিন্তা করলাম যে আমি**কোন তা*** নিয়ত করতেই রাজি না।***  কিন্তু ইচ্ছার বিরুদ্ধে আবারো মনে সেই একই চিন্তা করতে চলে আসে তা***  । আমি চাইলেও আটকিয়ে রাখতে পারছি না। এইটা কি আমার নিয়ত ধরা হবে। আমি কান্না করে দিছি কারন আমি এইটা নিয়ত করি না আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কল্পনায় কথা হয় ।

৪** আমি মনে মনে  জিহবা নাড়িয়ে শব্দ না করে বলছি ""আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই "  ২ বারের মত বললাম । আমার স্পষ্ট মনে আছে ১০০% আমি এটাই বলেছি । ২ সেকেন্ড পর সন্দেহ হল আমি তা*** চাই এইটা বললাম কিনা ।আমি সিউর যে আমি এইটা বলিনাই তারপরেও ধোকায় পরে আমার হাত পা কাপতে থাকে। এইখানে আমি সিউর আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই বলেছি তারপরেও সন্দেহ হলো আমি কি ***** চাই এটা বললাম কিনা। আমি শব্দ করে বলি নাই।

৫** ৪ নাম্বার পয়েন্টে যে ত**** কথা লিখলাম লেখার পর ভয় হচ্ছে যে এইটা লিখার কারনে কোন সমস্যা হবে কিনা।

৬** দৈনন্দিন জীবনে এইরকম বেশ কিছু কথায় কেনায়া বাক্য ব্যবহার করতে হয় । ইচ্ছার বিরুদ্ধে নিয়ত চলে আসলে যেটা জোর করেও আটকে রাখা যায় না সেখানেও তা** পতিত হয়। আমার তো স্ত্রীকে অইটা দেওয়ার ইচ্ছাই নেই তাহলে শরীয়ত এ এর বিধান কি।


৭***( এডিট করা প্রশ্ন নতুন)কয়েকদিন যাবত ঘুমন্ত অবস্থায় মনে হয় এইটা সপ্নে দেখি কিন্তু মুখে বলি কিনা সিউর না সন্দেহ হয় কিছু একটা বলি কিন্তু কি বলি সেটা সিউর না। ঘুম থেকে উঠে সিউর কিছুই বলতে পারিনা। আবার ঘুমের ঘোরেই সম্ভবত নিয়ত করি যে না আমি কোন কিছুর নিয়ত করি না সকালে উঠে সন্দেহে পরে যাই আমি কি ঘুম থেকে ঊঠে  মুখে কিছু বললাম নাকি ঘুমেই বললাম যেহেতু আমার ভালোভাবে ঘুম হয় না । ২ মিনিটের জন্য ও যদি ঘুম ভেঙে যায় প্রথমেই এই সব বিষয় মাথায় চলে আসে।
আমি খুব অসহায় হয়ে আছি দয়া করে একটু উত্তর গুলো জানাবেন। আপনাদের ভালো কথা গুলো আমাদের মত মানুষের মানষিক শান্তি। জাযাকাল্লাহ খায়ের

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আপনার বুঝার স্বার্থে আমি আপনার প্রশ্নকে হুবহু কপি করে, তারপর সেই প্রশ্নের জবাব লিখছি......................

(১)  আমি স্ত্রীর সাথে ফোনে কথা বলছি হাসিখুসি।স্ত্রীর পাশে আমার ভাগ্নে ছিল , আমার ভাগ্নে বয়স ৪ বছর সে  আমার স্ত্রীকে বলে 

"দিতেছি দিতেছি অপেক্ষা কর"। 

আমি শুনে খুব খুশি হয়ে আনন্দের সহিত স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলাম 

" দিতেছি দিতেছি ,অপেক্ষা কর" 

ভাগ্নের কথাটা রিপিট করলাম । পরে মনে হল এইটা কি কেনায়া বাক্য ? এইটা মনে হওয়ার সাথে সাথে আমার মনে নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তা*** নিয়ত মনে চলে আসলো, 


এইসব কথা দ্বারা তালাক হবে না।


(২) 
স্ত্রী শপিং করবে । আমি বললাম যে ঠিক আছে যাও , ঢাকায় আমার ভাই ভাবি আছে উনারা ভালো চিনে ওদের সাথে যেও । এখানেও ইচ্ছার বিরুদ্ধে নিয়ত চলে আসলো জোর করে চোখ কান বন্ধ করেও নিয়তের চিন্তাটা দূর করতে পারলাম না। "ঠিক আছ যাও" এটা কেনায়া শব্দ হবে না। এদ্বারা তালাকও হবে না।



(৩)
আমার ডিউটি শেষ করে বাসায় যাওয়ার সময় স্ত্রীকে ফোন দেই , সে আমাকে বলে এত দেরী।  আমি বলি " ওভারটাইম আছে সবার, শুধু আমাকে ফোন করে  বলছে ১০ টা বাজে চলে যেতে, আমারো থাকতে ভালো লাগেনা ( মানে আমার ১০ টার পর ডিউটি করতে ভালো লাগেনা) এইটা বলার সাথে সাথেই আবারো সেই একই চিন্তা চলে আসে যে থাকতে ভালো লাগে না, এটা কেনায়া বাক্য নয়।

 এইবার যখন ইচ্ছার বিরুদ্ধে চিন্তা আসে তখন অনেক কষ্ট করে মনে মনে এইটা বললাম উচ্চারণ না করে  চিন্তা করলাম যে আমি**কোন তা*** নিয়ত করতেই রাজি না।***  কিন্তু ইচ্ছার বিরুদ্ধে আবারো মনে সেই একই চিন্তা করতে চলে আসে তা***  । আমি চাইলেও আটকিয়ে রাখতে পারছি। এইটা  আপনার নিয়ত ধরা হবে না। 

(৪)
আমি মনে মনে  জিহবা নাড়িয়ে শব্দ না করে বলছি ""আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই "  ২ বারের মত বললাম । আমার স্পষ্ট মনে আছে ১০০% আমি এটাই বলেছি । ২ সেকেন্ড পর সন্দেহ হল আমি তা*** চাই এইটা বললাম কিনা ।আমি সিউর যে আমি এইটা বলি নাই তারপরেও ধোকায় পরে আমার হাত পা কাপতে থাকে।
 
এদ্বারা তালাক হবে না।


(৫)
 ৪ নাম্বার পয়েন্টে যে ত**** কথা লিখলাম, লেখার পর ভয় হচ্ছে যে এইটা লিখার কারনে কোন সমস্যা হবে কি না? 

এদ্বারাও তালাক হবে না।


(৬)
দৈনন্দিন জীবনে এইরকম বেশ কিছু কথায় কেনায়া বাক্য ব্যবহার হয় । ইচ্ছার বিরুদ্ধে নিয়ত চলে আসলে যেটা জোর করেও আটকে রাখা যায় না সেখানেও তা** পতিত হবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...