আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
190 views
in পবিত্রতা (Purity) by (52 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম। শায়খ আশা করি সুস্থ ও ভালো আছেন। শায়খ আমি পবিত্রতা জনিত সমস্যায় ভুগতেসি এবং এজন্য আমি অনেক কষ্ট ও হতাশায় ভুগতেসি। লেখাটি কিছুটা বড়। ধৈর্য সহকারে পড়ে উত্তর দিলে  উপকৃত হতাম।

আমি একজন ছেলে। বয়স ২০ এর কাছাকাছি। আমি সদ্য দ্বীনে ফেরা এক যুবক। আমি গত দুই মাসের অধিক সময় ধরে পবিত্রতা জনিত সমস্যায় ভুগতেসি। প্রায় আড়াই মাস আগে আমার মনে হয় আমি যখন পেশাব করে হাইকোমোট থেকে উঠি তখন হয়তো আমার একটু পেশাব বের হয় লিঙ্গ থেকে। আমি আগে পেশাবের পর পানি দিয়ে লিঙ্গ ধুয়ে পবিত্রতা অর্জন করতাম। তখন পবিত্রতা সম্পর্কে এত জ্ঞান ছিল না এবং কখনো  মাথায়ও আসে নাই যে আমার পেশাব শেষ হওয়ার পরেও আমার কিছু পেশাব বের হয়। প্রথমে আমি ভেবেছিলাম আমার পেশাব  বের হওয়া নিয়ে যে আমার মনে যে সন্দেহ আছে এটি ওসওয়াসার কারণে হয়। কিন্তু তারপর আমি টিস্যু ব্যবহার শুরু করার পরে আমি বুঝতে পারি যে পেশাব শেষ হওয়ার কিছু পরেও আমার সত্যিই একটু পেশাব বের হয়। আমার পেশাব শেষ হওয়ার( টিস্যু ব্যবহারের আগে) পর অর্থাৎ যখন আমার মনে হয় আর পেশাব বের হবে না তখন থেকেই লিঙ্গের মাথার বাইরের দিকে  একটু একটু করে পেশাব এসে জমা হয়।

বর্তমানে এজন্য আমাকে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ মিনিট বাথরুমে থাকতে হয় (যা ১০- ১৫ দিন আগেও ২০ মিনিট ছিল)। এই জন্য প্রায় ২০ থেকে ৩০ মিনিটের জন্য আমি শুধু টিস্যু ব্যবহার করতে থাকি এবং দেখতে থাকি আমার লিঙ্গের মাথা থেকে আর পেশাব বের হইতেছে নাকি। আমি পেশাব শেষ করার পর লিঙ্গ টাকে অনেকটা উপরের দিকে উচা করে ধরে রাখি এবং লিঙ্গের মাথা তখন  উপরের দিকে থাকে। লিঙ্গ টা কে আমি উচা করে ধরি তার একটাই কারণ যাতে করে লিঙ্গ থেকে তাড়াতাড়ি করে যতটা পেশাব বের হওয়ার সবগুলো যাতে বের হয়ে আসে। পেশাব শেষ হওয়ার পর প্রথমদিকে আমার বাকি পেশাব অনেকটা ক্রমাগত ভাবে আসতে থাকলেও কিছুক্ষণ পর সেটা অনেকটা সময় নিয়ে নিয়ে আসতে থাকে।

অনেক সময় আমার পেশাব শেষ হওয়ার ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট পরেও দেখছি পেশাব একটু লিঙ্গের মাথায় এসে জমা হচ্ছে। ২০ থেকে ৩০ মিনিট পর লিঙ্গের মাথায় যে পেশাব এসে জমে সেটা অনেক কম হয় যেটা এক ফুটার চেয়েও কম মনে হয়। কখনো কখনো বাথরুমে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট থাকার পর এবং লিঙ্গ চেক করার পরও আমার অনেক সময় মনে হয় যে প্যান্ট পড়ে যখন আমি বাথরুম থেকে বার হব তারপর থেকে আমার লিঙ্গ থেকে হয়তোবা পেশাব বাইর হইতেও পারে।

কখনো কখনো বাথরুমে ২০ থেকে ২৫ মিনিটের মত থাকার পরও সঠিকভাবে পবিত্রতা অর্জন করতে পারি না এবং তখনও দেখা যায় লিঙ্গের মাথায় একটু পেশাব জমে আছে যেটা এক ফোঁটার  চেয়েও কম। তখন অনেক সময় ঐ অবস্থাতেই প্যান্ট পড়ে বাইরে আসি। এজন্য পরবর্তীতে অজু করতে গেলে এবং পানি জনিত কোন প্রকার কাজ করতে গেলে আমার প্যান্টে পানি লাগে এবং মনে হয় এখন হয়তো নাপাকি সারা শরীরে বা অন্যত্র ছড়িয়ে পড়তে পারে। এজন্য তখন থেকে আর নামাজ পড়তে পারি না এবং পানিও তেমন ব্যবহার করতে পারি না তারপর গোসল করে এবং পরনের কাপড় ধুয়েই পানি ব্যবহার শুরু করতে পারি।

এসকল সমস্যার কারণে বাথরুমে আমার অনেক দীর্ঘ সময় লেগে যায় এবং এজন্য আমার পরিবারের মানুষদের কাছ থেকেও আমাকে বিভিন্ন কটুকথা ও শুনতে হইতেছে।

পবিত্রতা জনিত এ ধরনের সমস্যার কারণে আমার অনেক নামাজও ছুটে যাইতেছে।

(১) হুযুর এখন আপনি বলুন এমন পরিস্থিতিতে  আমি কি পেশাবের দিক দিয়ে মাযুরের আওতাভুক্ত হব?

(২) হুযুর আমি যদি মাযুর না হই তাহলে এখন আপনি আমায় বলুন আমার করনীয় কী অর্থাৎ আমি কিভাবে এই  সমস্যা থেকে বের হব, সেই সাথে পবিত্রতা বজায় রাখবো এবং সুন্দরভাবে নামাজ আদায় করতে পারবো?এই সমস্যার কারণে অনেক হতাশায় ও কষ্টে আছি।

জাযাকাল্লাহু খায়রান।

1 Answer

+1 vote
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
শরীয়তে ইসলামি সহজতার উপর নির্ভরশীল। শরীয়ত চায় না মানুষ কষ্টে নিপতিত হোক।আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يُرِيدُ اللَّهُ بِكُمُ الْيُسْرَ وَلَا يُرِيدُ بِكُمُ الْعُسْرَ
আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান; তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না (সূরা বাক্বারা-১৮৫)

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
(إِنَّ الدِّينَ يُسْرٌ)
নিশ্চয় দ্বীনে ইসলাম সহজ।(সহীহ বুখারী-৩৯)

আপনার প্রশ্ন থেকে আমরা যা বুঝেছি,আপনার এ বিষয়টা হয়তো মনস্তাত্ত্বিক। এটা শয়তানের পক্ষ্য থেকে ওয়াসওয়াসা।যাতে করে শয়তান আপনাকে কষ্টে নিপতিত করে।এবং শেষ পর্যন্ত ইবাদতকে আপনার নিকট অসহনীয় ও কষ্টকর করে তুলতে পারে।সুতরাং এমন পর্যায়ের কাউকে আবার ওজু করার নির্দেশ দেয়া হবে না।এবং খুজতে আদেশ করা হবে না যে,কিছু বের হল কি না? বরং তার উপর দায়িত্ব হল সে প্রথমে ইস্তেঞ্জা করবে,তারপর লজ্জাস্থানে পানি ছিটিয়ে দিবে।যাতেকরে তার সামনে ওয়াসওয়াসার দরজা সমূলে ধংশ হয়ে যায়।অতঃপর সে অজু করবে এবং নামায পড়বে।সে শয়তানের প্ররোচনার দিকে ভ্রুক্ষেপ করবে না যে,কিছু বের হয়েছে কি না।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/4271

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রস্রাবের পর লিঙ্গের মাথাকে আঙ্গুল দ্বারা ধরে আগপিছ করে নিলে এরকম সমস্যার অনেকটাই দূর হয়ে যাবে। তারপর ঢেলা কুলুপ ব্যবহার করে কয়েক কদম হেটে লজ্জস্থান ধৌত করে লজ্জস্থানে পানি ছিটিয়ে দিবেন। মনকে বলবেন, আর কিছুই বের হয়নি।তাহলে দেখবেন, বাস্তবেই প্রস্রাব বন্ধ হয়ে গেছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 162 views
...