বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
স্থল যুদ্ধে যদি কোনো মুজাহিদ শহীদ হন,তাহলে ঋণ ব্যতীত আল্লাহ উনার সকল প্রকার গোনাহকে মিটিয়ে দিবেন,ক্ষমা করে দিবেন।ঋণ পরিশোধের সুযোগ হয়নি বা অক্ষম এমন হলে অবশ্যই আল্লাহ ঐ ঋণকেও ক্ষমা করে দিবেন।আর কোনো কোনো বর্ণনানুযায়ী সাগরের শহীদের সকল প্রকার গোনাহকে ক্ষমা করে দেয়া হবে।আল্লাহ-ই ভালো জানেন। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
2270
(২)
যদি ঐ নলে সবাই শরীক থাকে,তথা যদি এই নল দিয়ে সবার নিকট পানি পৌছে থাকে,তাহলে এমন নলের সমস্ত পানিকে নিজের একার জন্য নিয়ে নেয়া কখনো জায়েয হবে না।
তবে যদি এমন কোনো উৎস হয়,যেখানে অন্য কেউ কোনো ভাবে শরীক নয়,তাহলে এমন উৎস থেকে পানিকে সংগ্রহ করা কখনো নাজায়েয হবে না।
ইমাম মালিক ও আবু ইউসুফ রাহ বলেন,
الثَّانِي: أَنَّ الاِحْتِكَارَ يَجْرِي فِي كُل مَا يَحْتَاجُهُ النَّاسُ، وَيَتَضَرَّرُونَ مِنْ حَبْسِهِ، مِنْ قُوتٍ وَإِدَامٍ وَلِبَاسٍ وَغَيْرِ ذَلِكَ. وَهَذَا مَا ذَهَبَ إِلَيْهِ الْمَالِكِيَّةُ وَأَبُو يُوسُفَ مِنَ الْحَنَفِيَّةِ
ভাবার্থ-
প্রত্যেক ঐ জিনিষ যা সিন্ডিকেট করে রাখলে জনসাধারণ ভুগান্তিতে পড়বে।চায় তা খাদ্য হোক বা পোষাক হোক বা অন্য কিছু হোক।
যদিও অন্যান্য ইমামদের কথা হল,এহতেকার বা সিন্ডকেট (যা হারাম)শুধু মাত্র খাদ্যতে হয়ে থাকে।
(৩)
যদি দেখেন যে ইমাম সাহেব,
ইয়্যাকানা' বুদু ওয়া ইয়্যা কানাসতাঈন " এর
"ইয়্যা..." তে টান দেন নি।তাহলে নামায ফাসিদ হবে না।কেননা এতে অর্থের কোনে পরিবর্তন হচ্ছে না।
মুক্তাদি ইমামের পিছনে কিরাত পড়বে না।হানাফি মাযহাব অনুযায়ী মুক্তাদির জন্য কিরাত পড়া নিষিদ্ধ।
এমন অবস্থায় আপনার নামায বিশুদ্ধ হয়ে যাবে।বিস্তারিত জানুন-
1126