আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
446 views
in সালাত(Prayer) by (51 points)

আসসালামু আলাইকুম,
নিম্নোক্ত হাদিস ও শাফেয়ী মাযহাবের ভিত্তিতে কোনো চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজের প্রতি রাকাআত এ রাফউল ইয়াদাইন এর নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছিলাম।

  • (১)আলী বিন আবু তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃরাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন সালাতের (তাকবীরে তাহরিমার) জন্য তাকবীর বলতেন, তখন কাঁধ বরাবর দু'হাত উঠাতেন, যখন তিনি রুকূ; করার ইচ্ছা পোষণ করতেন। আর যখন রুকূ থেকে তাঁর মাথা উঠাতেন তখনও (ঐরুপ করতেন)। আর যখন দু রাকাআত শেষে (তৃতীয় রাকাআতের জন্য) উঠতেন তখন অনুরূপ করতেন।;এটি উত্তম (হাসান) সনদে বর্ণিত হয়েছে।

ফুটনোটঃ মুসনাদে আহমাদ (৯১/১), ইমাম তিরমিয়ী (৩৪২৩) একে হাসান সহীহ বলেছেন, ইবনু খুযাইমাহ (৫৮৪), ইবনু হিব্বান (উমদাতুল কারী ২৭৭/৫) উভয়ে তাদের সহীহাইনে উল্লেখ করেছেন। ইমাম আহমাদ ও অন্যরা এটিকে সহীহ (নির্ভরযোগ্য) বলে মত দিয়েছেন। এর বর্ণনাকারী আবদুর রহমান বিন আবু যিনাদ বিশ্বস্ত (সিকাহ) ও হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে উত্তম ব্যক্তি। ইমাম যাহাবী বলেন, তাঁর স্মৃতিশক্তি খর্ব হওয়ার পূর্বের বর্ণনাগুলো হাসান। (দেখুন সিয়ারে আলামুন নুবালা ৮ম খণ্ড, ১৬৮, ৭০ পৃষ্ঠা)। ইবনুল মাদীনী একে শক্তিশালী (কাউয়ি) বলে মত পোষণ করেছেন। এ বর্ণনাটি আবদুর রহমান বিন আবু যিনাদ এর স্মৃতিশক্তি খর্ব হওয়ার পূর্বেকার। (নূরুল আইনাইন: ৮৩, ৮৪ পৃষ্ঠা)

 

  • (২)আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি (আনাস (রাঃ)) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ;আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন রুকূ করতেন তখন তিনি তার দুহাত উঠাতেন।

 

  • (৩)সালেম বিন আব্দুল্লাহ থেকে বর্ণিতঃতিনি তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আমি নাবী (সাল্লাল্লাহু ;আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে (সালাতে) দু'হাত উত্তোলন করতে দেখেছি। যখন তিনি (তাকবীরে তাহরিমার জন্য) তাকবীর বলতেন, যখন রুকূ করতেন ও যখন রুকূ থেকে উঠতেন তখন তিনি এমনটি করতেন। কিন্তু  তিনি দু' সাজদাহর মাঝে এমনটি করতেন না।আলী বিন আবদুল্লাহ- যিনি তৎকালীন সময়ে বড় বিদ্বান ছিলেন, তিনি বলেন, যুহরী সালেম হতে, তিনি তার পিতা হতে বর্ণনা করেছেন, রাফ্উল ইয়াদায়ন প্রতিটি মুসলিমদের জন্য অপরিহার্য বিষয়।

ফুটনোটঃ হাদীসটি মারফু'। এই বর্ণনাটি অক্ষরে অক্ষরে নির্ভরযোগ্য

1 Answer

0 votes
by (589,170 points)
ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ


(শা'ফেয়ী মাযহাব মতে)

শা'ফেয়ী মাযহাব মতে নামাযের প্রথম রাকাতে তিনবার রা'ফে ইয়াদাঈন করা হবে।প্রথমে তাকবীরে তাহরিমার সময়ে,দ্বিতীয়ত রু'কুতে যাওয়ার সময়ে,তৃতীয়ত রুকু থেকে মাথা উত্তোলনের সময়ে।এছাড়া নামাযের দ্বিতীয় তৃতীয় ও চতুর্থ রাকাতে শুধুমাত্র দুইবার রা'ফে ইয়াদাঈন করা হবে।একবার রুকুতে যাওয়ার সময়ে।দ্বিতয়বার রুকু থেকে মাথা উত্তেলনের সময়ে।(কিতাবুল উম-৭/২১২)
باب رفع اليدين في الصلاة قال سألت الشافعي : أين ترفع الأيدي في الصلاة ؟ قال : يرفع المصلي يديه في أول ركعة ثلاث مرات ، وفيما سواها من الصلاة مرتين مرتين يرفع يديه حين يفتتح الصلاة مع تكبيرة الافتتاح حذو منكبيه ويفعل ذلك عند تكبيرة الركوع وعند قوله " سمع الله لمن حمده " حين يرفع رأسه من الركوع ولا تكبيرة للافتتاح إلا في الأول وفي كل ركعة تكبير ركوع ، وقول سمع الله لمن حمده عند رفع رأسه من الركوع فيرفع يديه في هذين الموضعين في كل صلاة ، والحجة في هذا أن مالكا أخبرنا عن ابن شهاب عن سالم عن أبيه { أن رسول الله صلى الله عليه وسلم كان إذا افتتح الصلاة رفع يديه حذو منكبيه وإذا رفع رأسه من الركوع رفعهما كذلك ، وكان لا يفعل ذلك في السجود }

(কিতাবুল উম-৭/২১২)


(হানাফি মাযহাব মতে)

আল্লাম হাসক্বাফী রাহ লিখেন,
(ولا يسن) مؤكدا (رفع يديه إلا في) سبع مواطن كما ورد
সাত স্থান ব্যতীত অনো কোথাও রা'ফে ইয়াদাঈন করা সুন্নত নয়।
ইবনে আবেদীন শামী রাহ লিখেন,
والوارد هو قوله - صلى الله عليه وسلم - «لا ترفع الأيدي إلا في سبع مواطن: تكبيرة الافتتاح وتكبيرة القنوت، وتكبيرات العيدين» وذكر الأربع في الحج، كذا في الهداية، والأربع عند استلام الحجر وعند الصفا والمروة، وعند الموقفين، وعند الجمرتين الأولى والوسطى كذا في الكفاية. قال في فتح القدير: والحديث غريب بهذا اللفظ.
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,সাত স্থান ব্যতীত অন্যত্র রা'ফে ইয়াদাঈন করা যাবে না।(১)তাকবীরে তাহরিমা(২)তাকবীরে কুনুত(৩)ঈদের তাকবির(৪)হাজরে আসওয়াদে(৫)সা'ফা মারওয়ায় সাঈ এর সময়ে(৬)উকুফে আরাফা ও উকুফে মুযদালিফায়(৭)বড় ও মধ্যম জামারায়।(রদ্দুল মুহতার-১/৫০৬)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
হানাফি মাযহাব মতে রা'ফে ইয়াদাইন সুন্নত নয়।তবে কেউ করে নিলে নামায ফাসিদ হবে না।
বিস্তারাত জানুন- 2614


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+1 vote
1 answer 568 views
0 votes
1 answer 183 views
...