ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইবনে ত্বিন রাহ বলেন,এ দ্বারা উদ্দেশ্য বিশেষ এক প্রকার খেজুর যার সন্ধান আজ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।ইমাম খাত্তাবী রাহ বলেন, এতে মূলত খেজুরের প্রভাব নেই।বরং উপস্থিত নির্দিষ্ট কিছু খেজুর সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাঃ দু'আ করেছিলেন।(ফাতহুল বারী-১০/২৩৯)সুতরাং এই দুই মতামত দ্বারা বলা যাবে না যে,আমভাবে খেজুর বিষ এবং জাদু থেকে রক্ষা করবে।
কেউ কেউ মদিনার খেজুরের সাথে উক্ত বিশেষনকে নির্দিষ্ট করে থাকেন।যেমন ইমাম তাহাবী রাহ,শরহু মুশকিলিল আছার-(১৪/৩৬২)কিতাবে এবং আবু আওয়ানাহ মুস্তাখরাজ-(৫/১৮৯)কিতাবে এবং কাযী ইয়াজ ইকমালুল মু'আল্লিম-(৬/৫৩১)কিতাবে এবং ইমাম নববী রাহ শরহুল মুসলিম-(১৪/৩) কিতাবে এ সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন।
ইমাম মাযরি রাহ বলেন,এটা সম্ভবত রাসূলুল্লাহ সাঃ এর যামানার সাথে বিশেষিত।অথবা রাসূলুল্লাহ সাঃ অধিকাংশের ভিত্তিতে এমনটা বলেছেন।(আল-মু'আল্লিম বি-ফাওয়ায়িদে মুসলিম-৩/১২১)
ইবনুল কাইয়্যিম রাহ বলেন,কিছু কিছু বিষের বেলায় খেজুর কাজ করবে।তবে শর্ত হলো,যিনি খাবেন শে'ফার বেলায় তার তার পূর্ণ বিশ্বাস থাকতে হবে।(যাদুল মা'আদ-৪/৯২)
ইবনে হাজার আসকালানি রাহ বলেন,হাদীসের ভাষ্য দ্বারা সকল প্রকার খেজুরের বেলায় হুকুম প্রযোজ্য হবে বলে বুঝা যায়।(ফাতহুল বারী-১০/২৪০)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1816
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সম্ভবত রাসূলুল্লাহ সাঃ ঐ দিন নির্দিষ্ট ঐ খেজুর খাননি। তাছাড়া খেজুরের নিজস্ব কোনো শক্তি নাই।হ্যা অাল্লাহ চাইলে খেজুরের বরকতে বিষক্রিয়া বা জাদু থেকে বাঁচাতে পারেন।