আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
240 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (34 points)
reshown by
আসসালামুআলাইকুম, শায়েখ।

হঠাৎ মনে একটা প্রশ্ন আসলো। আমরা জানি নবীজির হাদিস থেকে যে, প্রতিদিন ৭টা আজওয়া খেজুর বিষক্রিয়া ও জাদু থেকে আমাদেরকে হেফাজত করবে।
কিন্তু, যদি আমরা নবীজির জীবনীর দিকে তাকাই, তাহলে চোখে পড়ে, যখন একজন ইহুদী মহিলা নবীজিকে বিষাক্ত মাংস খেতে দিলেন, তখন নবীজির উপর বিষের বিষক্রিয়া সাথে সাথে কাজ না করলেও, অনেক জায়গায় পড়েছি নবীজির ওফাতের একটা কারণ ছিল সেই বিষের বিষ্ক্রিয়া। তাই, নবীজি শহিদ।

প্রশ্ন হলো, নবীজি যদি আজওয়া খেজুর প্রতিদিন খেয়ে থাকেন, তাহলে তো নবীজির বিষক্রিয়ার কারণে মারা যাওয়ার কথা না, কারণ তাহলে তো আজওয়া খেজুরের হাদিসটা মিথ্যা হয়ে যায়?

 ব্যাপারটা দয়া করে বুঝিয়ে বলার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। দয়া করে বেয়াদবি ক্ষমা করবেন।

1 Answer

+1 vote
by (589,140 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইবনে ত্বিন রাহ বলেন,এ দ্বারা উদ্দেশ্য বিশেষ এক প্রকার খেজুর যার সন্ধান আজ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।ইমাম খাত্তাবী রাহ বলেন, এতে মূলত খেজুরের প্রভাব নেই।বরং উপস্থিত নির্দিষ্ট কিছু খেজুর সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাঃ দু'আ করেছিলেন।(ফাতহুল বারী-১০/২৩৯)সুতরাং এই দুই মতামত দ্বারা বলা যাবে না যে,আমভাবে খেজুর বিষ এবং জাদু থেকে রক্ষা করবে।

কেউ কেউ মদিনার খেজুরের সাথে উক্ত বিশেষনকে নির্দিষ্ট করে থাকেন।যেমন ইমাম তাহাবী রাহ,শরহু মুশকিলিল আছার-(১৪/৩৬২)কিতাবে এবং আবু আওয়ানাহ মুস্তাখরাজ-(৫/১৮৯)কিতাবে এবং কাযী ইয়াজ ইকমালুল মু'আল্লিম-(৬/৫৩১)কিতাবে এবং ইমাম নববী রাহ শরহুল মুসলিম-(১৪/৩) কিতাবে এ সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন।

ইমাম মাযরি রাহ বলেন,এটা সম্ভবত রাসূলুল্লাহ সাঃ এর যামানার সাথে বিশেষিত।অথবা রাসূলুল্লাহ সাঃ অধিকাংশের ভিত্তিতে এমনটা বলেছেন।(আল-মু'আল্লিম বি-ফাওয়ায়িদে মুসলিম-৩/১২১)

ইবনুল কাইয়্যিম রাহ বলেন,কিছু কিছু বিষের বেলায় খেজুর কাজ করবে।তবে শর্ত হলো,যিনি খাবেন শে'ফার বেলায় তার তার পূর্ণ বিশ্বাস থাকতে হবে।(যাদুল মা'আদ-৪/৯২)

ইবনে হাজার আসকালানি রাহ বলেন,হাদীসের ভাষ্য দ্বারা সকল প্রকার খেজুরের বেলায় হুকুম প্রযোজ্য হবে বলে বুঝা যায়।(ফাতহুল বারী-১০/২৪০)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1816

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সম্ভবত রাসূলুল্লাহ সাঃ ঐ দিন নির্দিষ্ট ঐ খেজুর খাননি। তাছাড়া খেজুরের নিজস্ব কোনো শক্তি নাই।হ্যা অাল্লাহ চাইলে খেজুরের বরকতে বিষক্রিয়া বা জাদু থেকে বাঁচাতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
+1
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...