আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
148 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর!  আমি খুবই সন্দেহের মধ্যে আছি, প্লিজ আমাকে বিষয়টি ক্লিয়ার করুন

আমাদের বিয়ে হয় (কোন ধরনের সহবাস হইনি),তার সাথে মেসেজে ঝগড়া হওয়ার পর মেসেজে তালাক বলে ফেলি, এখন মুফতীদের রায় অনুযায়ী আমাদের তালাক্ব ( ১তালাক ছোট বায়েন) হয়, এখন তালাকের বিষয়টি আমি কারোর কাছে শেয়ার করলে আমাদের ২ খানদানের মধ্যে তুমুল ঘৃণা ও ফিতনা হওয়ার আশনকা আছে, আর মেয়ে অনেক ভয়ে আছে যার কারণে কাউকে উকিল বানাতে পারেনি যাকেই উকিল বানাতে যাবে সেই এইসব জানার পর অনেক সমস্যায় পড়বে, এমনকি বিষয়টি কাউকে শেয়ার করে যে তাকে উকিল বানাতে পারবে এমন বিশ্বাসযোগ্য পুরুষ বা মহিলা কেউই তার নেই এমন কি তার মা বাবা ভাই বোন আত্বীয়স্বজন কেউই নাহ,এমনবস্থায় আমি তালাক্বের বিষয়টি কাউকে না জানিয়ে সম্পর্কটি আবার হালাল করার জন্য এবং আগামীতে তালাক্ব নিয়ে সতর্ক থাকার জন্য আমি নিজেই আমার আম্মাকে মেয়ের উকিল বানাই, সাথে আমার আপন ২ ভাইকে (প্রাপ্তবয়স্ক) সাক্ষী বানাই এবং নতুন করে  ৫ হাজার টাকা মোহর ধার্য্য করে ইজাব কবুলের মাধ্যমে নতুন বিয়ে হয়

বিয়েটা এভাবে হয়েছে যেঃ আমার আম্মু মেয়েকে বলে, আমার ছেলের সাথে তুমি কি বিয়ে বসতে রাজী আছো??

মেয়ে উত্তরে বলে, হ্যা আলহামদুলিল্লাহ রাজি,

তারপর আমার আম্মা আমাকে বলেন, অমুক মেয়ে তোমার সাথে বিবাহ বসতে রাজি আছে,তুমি বলো আলহামদুলিল্লাহ কবুল

তারপর আমি আলহামদুলিল্লাহ কবুল বলি, এভাবে পুনরায় আমি উকিলের মাধমে মেয়েকে প্রস্তাব দেই এবং মেয়ে আমাকে কবুল বলে, এইসব সাক্ষীদের শুনিয়েই এভাবে বিয়েটা সম্পন্ন হয়েছে।

শায়েখ! উল্লেখিত ছুরতে কি আমাদের বিবাহ সহীহ হয়েছে? এবং আমরা কি এখন স্বামী স্ত্রী হিসেবেই সংসার করছি??

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
শরীয়তে যেসব ক্ষেত্রে লেনদেন বৈধ হওয়ার জন্য সাক্ষ্যকে শর্ত করা হয়েছে,সেক্ষেত্রে সাক্ষীগণের একসাথে সবার শোনা শর্ত।
আল্লামা হাসক্বফী রা বলেনঃ
(وَ) شُرِطَ (حُضُورُ) شَاهِدَيْنِ(حُرَّيْنِ) أَوْ حُرٌّ وَحُرَّتَيْن (مُكَلَّفَيْنِ سَامِعَيْنِ قَوْلَهُمَا مَعًا)
দুজন স্বাধীন পুরুষ অথবা একজন স্বাধীন পুরুষ ও দুজন স্বাধীন মহিলা সাক্ষী হিসেবে  উপস্থিত থাকতে হবে,যারা শরীয়তের বিধি-বিধান পালনে দায়বদ্ধ থাকবে,এবং একসাথে উভয় (স্বামী-স্ত্রী) র ইজাব-কবুল শ্রবণ করবে।(আদ্দুরুল মুখতার-৩/২২)

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত আছে....
(ومنها) سماع الشاهدين كلامهما معا هكذا في فتح القدير فلا ينعقد بشهادة نائمين إذا لم يسمعا كلام العاقدين، 
দুনু সাক্ষীকে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের ইজাব-কবুল শুনতে হবে,(ফাতহুল ক্বাদীর)সুতরাং না শুনার ধরুণ ঘুমন্ত ব্যক্তির সাক্ষ্য দ্বারা বিবাহ সংগঠিত হবে না।(১/২৬৮;)

যেমন ইবনে আবেদীন শামী রাহ এ সম্পর্কে বলেনঃ
(قَوْلُهُ: وَشُرِطَ حُضُورُ شَاهِدَيْنِ) أَيْ يَشْهَدَانِ عَلَى الْعَقْدِ، أَمَّا الشَّهَادَةُ عَلَى التَّوْكِيلِ بِالنِّكَاحِ فَلَيْسَتْ بِشَرْطٍ لِصِحَّتِهِ كَمَا قَدَّمْنَاهُ عَنْ الْبَحْرِ،
দুজন সাক্ষী মজলিসে উপস্থিত থাকা শর্ত।
অর্থাৎ যারা মজলিসে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানকে সরাসরি প্রত্যক্ষ করবে।বিবাহের উকিল নিযুক্ত করণের সময় সাক্ষী উপস্থিত থাকা শর্ত নয়।(রদ্দুল মুহতার-৩/২১;)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/2679

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ইজাব এবং কবুলের সময় দু'জন সাক্ষী মজলিসে  উপস্থিত থেকে সরাসরি পাত্র-পাত্রীর ইজাব কবুল শুনা শর্ত। এবং মহর উল্লেখ করা জরুরী।তবে মহর উল্লেখ না থাকলেও বিয়ে হয়ে যায়। যেহেতু পাত্র পাত্রী উভয় উপস্থিত, এবং আপনার মা বিয়েকে পরিচালনা করেছেন। তাই বিবাহ হয়েছে।আপনার মা বিবাহকে পরিচালনা না করলেও, আপনারা স্বামী স্ত্রীর কেউ একজন ইজাব এবং অন্যজন কবুল বললেও বিয়ে হয়ে যেতো।

সুতরাং বলা যায় যে,
আপনাদের বিয়ে শুদ্ধ হয়েছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...