আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
119 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (41 points)
আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ।

১।কোন মেয়ে যদি স্বামীর কাছে তালাক চায়।স্বামী যদি বলে তুমি দাও।স্ত্রী জানে না মেয়েরা যে পাওয়ার পায়,সেই বিষয়ে শুনেও নি।তহ স্ত্রী যদি স্বামীর দিকে ইন্গিত করে ৩ বার তা........  বলে তাহলে কি তালাক হবে? ৩ বার বলেছে শব্দটা কিন্তু  ইন্গিত টা ধরেন মনে মনে করেছে স্বামীর দিকে শুধু শব্দটা উচ্চারন করেছিল।তখন স্ত্রী এসব কিছু জানত না। এখন জানতে পেরেছে যে মেয়েরাও অধিকার  পায়।আগে স্বামীর দিকে ইন্গিত করে বলার কারনে কি কোন সমস্যা হবে?তবে সিওর যে নিজের দিকে ইন্গিত করে নি কারন সে জানতই না।সে শুধু জানত মেয়েরা তালাক দিতে পারে না

২।যার প্রশ্ন উপরের প্রশ্নটা আর কি সে নিজে লিখে করলে কি কোন সমস্যা হবে? আর  উপরের প্রশ্নে   ৩ বার লিখে ডট ডটের জায়গায় শব্দটা লিখে  সে নিজে প্রশ্ন করলে কি কোন সমস্যা হত মেয়েটা নিজে লিখলে?

৩।আর উপরে ৩ বার লিখে তা লিখে ডট ডট দিয়েছি কারন আমার স্বামী আমাকে পাওয়ার দিছে তাই ভয় লাগে।কারন আমি স্বামীর সাথে সংসার করতে চায় ওইসব কথা লিখার সময় ভয় লাগে।আমি  অন্য জনের দিকে ইন্গিত করে প্রশ্নটা করেছি শুধু মাসআলা বা ফতোয়া জানার জন্য।এতে কি সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


https://ifatwa.info/36539/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
,  
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
   
قال لھا: طلقي نفسک ولم ینو أو نوی واحدة فطلقت وقعت رجعیة الخ (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الطلاق، باب الأمر بالید، ۴: ۵۷۵، ط: مکتبة زکریا دیوبند)۔
সারমর্মঃ
কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলে,তুমি তোমার নিজের নফসকে তালাক দাও,কোনো নিয়ত না করে,অথবা এক তালাকের নিয়ত করে,অতঃপর স্ত্রী তালাক দেয়,তাহলে এক তালাকে রজয়ী পতিত হবে।     

শরহে বিকায়াহ গ্রন্থে আছেঃ-

وفي إختياري لا تصح نية الثلاث. بل تبين ان قالت اخترت نفسي. او أختار نفسي.  .... ولو كرر اختاري ثلاثا فقالت اخترت اختيارة أو اخترت الأولي او الوسطي. أو الأخري يقع ثلاث بلا نية. ولو قالت طلقت نفسي او اخترت نفسي بتطليقة بانت بواحدة. 
সারমর্মঃ-
যদি স্বামী বলে "তুমি নিজেকে গ্রহন করো" তাহলে তিন তালাকের নিয়ত করা শুদ্ধ হবেনা। বরং স্ত্রী এক তালাকের সাথে বায়েনাহ হবে,যদি স্ত্রী প্রতিত্তরে বলে "আমি নিজেকে গ্রহন করেছি বা আমি নিজেকে গ্রহন করছি",,,, 

আর যদি স্বামী "তুমি নিজেকে গ্রহন করো" শব্দটি তিনবার পুনরাবৃত্তি করে,আর স্ত্রী উত্তরে  বলে, "আমি গ্রহন করেছি গ্রহন করার মতো" অথবা বললো আমি প্রথমটি বা মধ্যমটি বা শেষটি গ্রহন করেছি,তাহলে নিয়ত ব্যাতিত তিন তালাক পতিত হবে। 
.
আর যদি বলে যে "আমি আমার নিজেকে তালাক প্রদান করিলাম" 
অথবা বলে যে "আমি আমার নিজেকে এক তালাকের সাথে গ্রহন করিলাম,তাহলে সে এক তালাকে বায়েনাহ হয়ে যাবে।
(শরহে বিকায়াহ. মাকতাতুল ফাতাহ আরবি মতন ২/৮০)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
স্ত্রী যেহেতু শুধু "তালাক" শব্দ বলেছে,আর এক্ষেত্রে নিজের দিকে ইঙ্গিত করেনি।
বরং মনে মনে স্বামীর দিকে ইঙ্গিত করে বলেছে,তাই প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা। 

(০২)
সে নিজে লিখে প্রশ্নটি করলে কোন সমস্যা হবেনা।
আর  উপরের প্রশ্নে   ৩ বার লিখে ডট ডটের জায়গায় শব্দটা লিখে  সে নিজে প্রশ্ন করলেও কোন সমস্যা হতোনা। মেয়েটা নিজে লিখলেও সমস্যা হতোনা।

(০৩)
এতে সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (41 points)
edited by
১।স্বামী স্ত্রীর কাছে টাকা চায়।স্ত্রী বলে কোথায় পাব আপনি না দিলে?আরো বলে নিজেকে বিক্রি করতাম নে। নাকি রাত কাটাতাম অন্য জনের সাথে।একটু রাগ উঠছিল স্ত্রীর।স্ত্রীকে পাওয়ার দিছে ধরেন কিন্তুু স্ত্রী নিজেকে তালাক দেওয়ার নিয়তে বলে নি।কথা গুলো বলার সময় মেয়েটার ওয়াসওয়াসা আসলেও তালাকের সে মনে মনে না না করে।মানে সেই নিয়তে বলে নি।তাহলে কি তালাক হবে?একটু রাগ করে বলেছে কিন্তুু সে স্বামীকে হারাতে চায় না।কথা গুলো বলার পর ওর ভয় আসে মনে কোন বৈবাহিক সম্পর্কে কোন সমস্যা হবে কিনা।সে মানে স্ত্রী তালাকের নিয়তে বলে নি।কথাগুলো প্রশ্নবোধক। কিন্তু মেসেজে লেখার সময় সেই প্রশ্নবোধক চিহ্ন ব্যাবহার করে নি।ফুল স্টপ ইউস করছে।কিন্তু মেয়েটা প্রশ্ন করার মত করে বলেছে স্বামীর কাছে এসব।

২।কোন মেয়েকে ধরেন স্বামী পাওয়ার দিছে মুখে আর কাগজে।ধরেন  মা বাবা মেনে নেই নি।তহ মা বাবা খালি স্টাম্ফে সাইন নিয়ে পরে সেটাকে ডিভোর্সের কাগজ  বানাই ফেললে কি ডিভোর্স হবে? মেয়েটার ধরেন সন্দেহ লাগলে সে জিগ্যেস করেছে কিন্তু মা বাবা ধরেন কিছু বলে নি।সাইন কর এরকম বলেছে ধরেন।মেয়েটাও সাইন করলে মনে সন্দেহ নিয়ে তাহলে কি তালাক হবে?

৩।২নং ওটা কাল্পনিক প্রশ্ন।ওটা এমনিতে জানার জন্য করেছি।কারন আমার বাবা মা মেনে নেয় নি তহ বিয়ে।এটা নিয়ে টেনশন লাগে তাই জানার জন্য করেছি এমনিতে।আমি চায় স্বামীর সাথে থাকতে।আমার স্বামীও আমাকে পাওয়ার দিছে মুখে আর কাগজে।ভয় লাগে।আমি কিছুতেই আমার স্বামীকে হারাতে চায় না।

৪।ইমদাদুল হুজুর বলেছিল কোন স্বামী যদি বলে তুর মত বউ সকালে একটা ছাড়ি বিকালে একটা  ছাড়ি এমন নিয়ত ছাড়া বললে তালাক হয় না।এখন প্রশ্ন হচ্ছে স্বামী যদি নিয়ত ছাড়া এমনিতে বলে তুর মত বউ ১০ টা ছাড়ি আমি বা ছাড়তে পারব এমন বললে কি তালাক হয়?এটা  এমনিতে জানার জন্য।

৫।কোন স্ত্রী যদি বলে আমাকে তালাক দিয়েন না কোনদিন। আমি চাইলেও দিয়েন না কারন আপনি তহ জানেন আমি এমনিতে রাগে বলি যে।স্বামী যদি বলে তালাক না হোক সেটা চাইলে তাহলে কোনদিন তালাক চাইও না।এটা কি শর্ত যুক্ত তালাকের পর্যায়ে পড়বে? স্ত্রী আবার পরে চাইলে স্বামী তালাক না  দিলে কি তালাক হবে? স্বামী ধরেন পরে বলেছে তিনি তালাকের নিয়তে কিছু বলে নি কোনদিন। তাহলে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...