ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম রাযি থেকে বর্ণিত,
أخرجه أبو نعيم في "حلية الأولياء" (6/66) ، وأبو القاسم التميمي في "الحجة في بيان المحجة" ، وقوام السنة في "الترغيب والترهيب" (673) ، جميعا من طريق عبد الجليل بن عطية القيسي ، قال ثنا شهر بن حوشب ، عن عبد الله بن سلام -رضي الله عنه- قال: خَرَجَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى نَاسٍ مِنْ أَصْحَابِهِ وَهُمْ يَتَفَكَّرُونَ فِي خَلْقِ اللهِ ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:" فِيمَ تَتَفَكَّرُون " ، قَالُوا: نَتَفَكَّرُ فِي اللهِ قَالَ:" لَا تُفَكِّرُوا فِي اللهِ ، وَتَفَكَّرُوا فِي خَلْقِ اللهِ ؛ فَإِنَّ رَبَّنَا خَلَقَ مَلَكًا قَدَمَاهُ فِي الْأَرْضِ السَّابِعَةِ السُّفْلَى ، وَرَأْسُهُ قَدْ جَاوَزَ السَّمَاءَ الْعُلْيَا، مَا بَيْنَ قَدَمَيْهِ إِلَى رُكْبَتَيْهِ مَسِيرَةُ سِتِّمِائَةِ عَامٍ، وَمَا بَيْنَ كَعْبَيْهِ إِلَى أَخْمَصِ قَدَمَيْهِ مَسِيرَةُ سِتِّمِائَةِ عَامٍ، وَالْخَالِقُ أَعْظَمُ مِنَ الْمَخْلُوقِ» .
সারমর্মঃ রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,তোমরা আল্লাহকে নিয়ে চিন্তা ফিকির করবে না।বরং আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা গবেষণা করবে।(হিলয়াতুল আউলিয়া-৬/৬৬(আত-তারগিব ওয়াত-তারহিব-৬৭৩)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত,
عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (تَفَكَّرُوا فِي آلَاءِ اللَّهِ، وَلَا تَفَكَّرُوا فِي اللَّهِ)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,তোমরা আল্লাহর নিয়ামত নিয়ে চিন্তা গবেষনা করো। আল্লাহকে নিয়ে চিন্তা গবেষনা করবে না।(বায়হাক্বী-৯২৭, তাবারানি-১২১১১)
আল্লাহ তা'আলা সম্পর্কে যতটুকু আকিদা বিশ্বাস না রাখলে ঈমানদার হওয়া যাবে না,ততটুকুই আকিদা-বিশ্বাস রাখা উচিৎ। এর চেয়ে বেশী চিন্তা ফিকির করতে হাদীসে নিষেধ এসেছে। আপনি যেমনটা উল্লেখ করেছেন।এমনটা ঠিক আছে।এমন আকিদা বিশ্বাস প্রয়োজন। এর চেয়ে বেশী চিন্তাফিকির করতে যাবেন না। কেননা আল্লাহ সম্পর্কে চিন্তা ফিকির করতে যেয়ে অনেক বিজ্ঞজন শেষ পর্যন্ত দিশেহারা হয়েছেন।গোমরাহ হয়েছেন।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আল্লাহর সকল সিফাত কি সৃষ্ট নয় কি ? আর আল্লাহর রাগ কি আল্লাহর সিফাত এর মধ্যে পরে কি ?
আপনার আখেরাতের নাজাতের জন্য এগুলো কতটুকু অত্যাবশ্যক?
(১) আমারা যে ইবাদাত করি নামাজ রোজা হজ্জ জাকাত তার সাথে আরও যেসব ইবাদাত রয়েছে এগুলা সৃষ্ট।
২।কালেমা তাইয়্যেবা , কালেমা শাহাদাত , কালেমা তামজিদ ,কালেমা-ই তাওহীদ , কালেমা-ই রদ্দেকুফর , কালিমা আস্তাগফার বা আরও যেসব কালেমা রয়েছে এগুলাও কুরআন এর মত কাদিম নয় বরং মাখলুক। তবে যে সব শব্দ কুরআনে এসেছে, সেগুলো কাদিম।
৩।আল্লাহর অহংকার আর আল্লাহর ভালবাসা এগুলো কাদিম,কেননা এগুলো আল্লাহর সিফাত। তব বান্দার ভালবাসা আল্লাহর প্রতিহোক বা অন্য কোন কিছুর প্রতি হোক যেমন মানুষ , কোন প্রাণী , ধনসম্পদ ইত্যাদি এসব সৃষ্ট, মানুষের যে অহংকার সেটাও সৃষ্ট।