আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
124 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (9 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম
আবার প্রশ্ন করার জন্য দুঃখিত।এই বিষয়টা বলতে ভুলে গিয়েছিলাম।

আমার ঘুমানো সময়টুকু ছাড়া সবসময়ই মাথায় কুচিন্তা কাজ করে।আল্লাহকে নিয়ে,রাসূলকে নিয়ে,মানুষকে নিয়ে,,কোন একটা বিষয়ে কথা বলছি,,বই পড়ছি,,হুদাই মাথায় কুচিন্তা আসে।এমন কুচিন্তা আসে যা মুখে উচ্চারণ করা যায় না।।এটা আমাকে মানসিকভাবে অসুস্থ করে ফেলে।কোন কাজে মন বসে না।জীবনটাই থেমে যায়।

আর উস্তাদ নামাজ পড়ার সময় ১০ বছর আগে ৫ বছর আগের কথা কেন মনে পড়ে,,স্বভাবিকভাবে ত কখই মনে হয় না।।মনোযোগ দিয়ে নামাজ পড়ার চেষ্টা করি কিন্তু পারিনা।

উস্তাদ আমাকে নসীহা করুন।।আমি স্বাভাবিকভাবে বাচতে চায়।

উস্তাদ যখন থেকে পরকাল উপলব্ধি করতে পেরেছি তখন থেকে পরকালীন  চিন্তা ছাড়া দুনিয়াবী সমস্যা আমাকে অনেক বেশি পেরেশানি করুক,,এটা আমি চায় না।
by (1 point)
বোন পরামর্শ হল, আপনি দ্রুত কোন সাইকিয়াট্রিস্ট  এর শরাণাপন্ন হোন অথবা সম্ভব না হলে সরকারি মেডিক্যালের সাইকিয়াট্রি বিভাগ এর আউটডোর এ দেখান। ওয়াসওয়াসা একটি মানসিক রোগ, যাকে মেডিক্যালের ভাষায় ওবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসওর্ডার(OCD) বলে। অনেক দিনের শয়তানি ওয়াসওয়াসা মানসিক রোগে পরিণত হয়। আপনার ধর্ম নিয়ে ওয়াসওয়াসা, এটি মানসিক রোগে পরিনত হয়েছে, যা আপনাকে মানসিকভাবে অনেক কষ্ট দিতে থাকবে। আবার অনেকের তালাক, নাপাক নিয়ে হয়। এ চিন্তাটা মাথা থেকে যায়না।
ইনশাআল্লাহ এ রোগ ৩/৪ মাস মেডিসিনে ও কাউন্সিলিং এ ভাল হয় এবং মেডিসিন কন্টিনিউ করতে হবে, সাথে আল্লাহর কাছেও এ রোগ মুক্তির জন্য দোয়া করতে হয়।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আপনাকে কি উত্তর দেবো, কিছুই বুঝতেছি না।আপনাকে বলবো দয়াকরে আপনি এই তালাকের ওয়াসওয়াসাকে পরিহার করুন। কিভাবে পরিহার করবেন,সেটা হল, যখনই মনে এরকম ওয়াসওয়াসা আসবে, সাথে সাথেই মনকে বলবেন, আমি যেহেতু ওয়াসওয়াসার রোগী, তাই আমার ব্যাপারে শরীয়তের হুকুমে শীতিলতা রয়েছে।আমি অন্য দশজনের মত নই। কেননা ওয়াসওয়াসা রোগি কাউকে হত্যা করলেও শরীয়তের দৃষ্টিতে কেসাস আসেনা।ওয়াসওয়াসার রোগী সারাদিন কুফরি বাক্য উচ্ছারণ করলেও সে কাফির হয়না।বরং তার ঈমান বহাল থাকে।

যদি ওয়াসওয়াসা থেকে আপনি বের না হন,তাহলে আপনার ভবিষ্যত আপনি নিজেই নষ্ট করবেন।ওয়াসওয়াসা থেকে বের হওয়ার একমাত্র মাধ্যম হল, এই চিন্তাকে পরিহার করে ভিন্ন চিন্তা গ্রহণ করা,লোকদের সাথে হাশিখুশিতে থাকা।

ইবনে হাজার হাইতামি রাহ এ সম্পর্কে বলেন,
( وسئل نفع الله به عن داء الوسوسة هل له دواء ؟
فأجاب بقوله : له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ، وإن كان في النفس من التردد ما كان - فإنه متى لم يلتفت لذلك لم يثبت بل يذهب بعد زمن قليل كما جرب ذلك الموفقون) (الفتاوى الفقهية الكبرى 1/149)
মর্মার্থ - পরিপূর্ণ ভাবে এই চিন্তাকে পরিহার করার চেষ্টা করাই এর সর্বোত্তম চিকিৎসা।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/835

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনাকে বলবো, আপনি প্রথসে অটিসি রোগের চিকিৎসা গ্রহণ করবেন।তারপর একজন নেককার লোকের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলবেন। নেককার লোকের সাথে সদা সর্বদা সম্পর্ক রাখবেন।সম্ভব হলে তাবলীগে সময় লাগাবেন।আল্লাহ আপনার সকল বিষয়কে আসান করে দিক।আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...