আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
139 views
in পবিত্রতা (Purity) by (102 points)
আসসালামু আলাইকুম।

১)মুখে ব্রণ বা ফোঁড়া হলে তা যদি বের হয়ে যায় অর্থাৎ ফুটে যায় না গালিয়ে ফেলা হয় তারপর তা থেকে যা রক্ত পুঁজ বের হয় সেটা পরিস্কার করা হলো।এরপরেও অল্প একটু রক্ত এসে থাকে কিন্তু গড়িয়ে পড়ে না।ওই রক্ত অনেকক্ষণ পর জমাট বেধে  ওই জায়গা কালো হয়ে যায়।অনেক সময় রক্ত এসে না থাকলেও ওইখানে কালো আলগা চামড়ার মত হয়ে যায়।

এখন আমার প্রশ্ন হলো অজু করার সময় তো সম্পূর্ন মুখে পানি দিতে হয়। ফরয গোসলের সময়ও সম্পূর্ন শরীরে পানি পৌঁছাতে হয় অর্থাৎ মুখেও ভিজতে হবে।

এখন মুখের ওই রক্ত জমাট বাঁধা জায়গা অথবা ওই কালো আলগা চামড়ার মত জায়গার উপর দিয়ে পানি পৌঁছলেই কি অজু/গোসল আদায় হয়ে যাবে?নাকি ওই চামড়া খুঁটিয়ে তুলে তারপর অজু বা গোসল করতে হবে?

বিদ্র:ওই চামড়া বা জমাট মুখ থেকে খুঁটিয়ে তুললে আবার আগের মত রক্ত আসতে থাকে

1 Answer

0 votes
by (57,120 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

https://www.ifatwa.info/2142 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,

و في حاشية ابن عابدين تحت قوله (ولم يخرج)

وفي السراج عن الينابيع: الدم السائل على الجراحة إذا لم يتجاوز. قال بعضهم: هو طاهر حتى لو صلى رجل بجنبه وأصابه منه أكثر من قدر الدرهم جازت صلاته وبهذا أخذ الكرخي وهو الأظهر. وقال بعضهم: نجس، وهو قول محمد اهـ ومقتضاه أنه غير ناقض لأنه بقي طاهرا بعد الإصابة، وإن المعتبر خروجه إلى محل يلحقه حكم التطهير من بدن صاحبه فليتأمل

ইবনে আবেদীন রাহ, আরেকটু পরিস্কার করে লিখেন,যখমে প্রবাহিত রক্ত যখন সেটা তার স্বস্থানকে ত্যাগ করবে না,তখন অজু ভঙ্গ হবে না।কেউ কেউ এই রক্তকে পবিত্র রক্ত বলে থাকেন।এমনকি যদি এমন রক্ত যখমে থাকাবস্থায় উক্ত ব্যক্তির পাশে কেউ নামায পড়ে নেয়,এবং পাশের ব্যক্তির শরীর বা কাপড়ে এক দিরহাম থেকে বেশী উক্ত রক্ত লেগে যায়,তাহলেও উক্ত ব্যক্তির নামায হবে।এটাই ইমাম কারখী রাহ এর মত।এটাই বিশুদ্ধতম অভিমত।তবে কিছু সংখ্যক উলামায়ে কেরাম বলেন,এই রক্ত অপবিত্র।এটা ইমাম মুহাম্মদের মত।

উপরের আলোচনার সারমর্ম হল, উক্ত রক্ত বের হলে অজু ভঙ্গ হবে না। বের হওয়ার পর স্বস্থান ত্যাগ করে অন্যত্র গড়িয়ে গেলে অজু ভঙ্গ হবে। (শেষ)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

গোসল বা অজুর সময় যদি ব্রণের উক্ত স্থান থেকে কালো দাগ দূর করতে গেলে রক্ত বের হওয়ার আশঙ্কা থাকে তাহলে সেই দাগ দূর করার প্রয়োজন নেই। আর যদি সেই দাগ দূর করতে গিয়ে উক্ত ক্ষত স্থান থেকে এই পরিমাণ পানি বা রক্ত বের হ যা গড়িয়ে পড়ার উপক্রম, এমন হলে অবশ্যই অজু নষ্ট হয়ে যাবে। এবং উক্ত ঐ পানি বা রক্তও নাপাক বলে বিবেচিত হবে। তবে যদি ঐ পরিমাণ বের হ যা গড়িয়ে  পড়বে না বরং স্ব স্থানে বহাল থাকবে। এমন হলে অজুও ভঙ্গ হবে না, এবং সেই পানিকে নাপাকও বলা যাবে না।

সুতরাং উক্ত স্থানকে একবার টিস্যু দ্বারা মুছার পর দ্বিতীয়বার  যদি তরল রক্তের কোনো ছোপ/চিহ্ন না থাকে, তাহলে উক্ত স্থানকে ধৌত করা জরুরী নয়। এবং মুখ ধৌত করার কারণে মুখ থেকে শরীরের অন্য কোথাও পানি লাগলে, তা নাপাক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 129 views
...