ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মুজতাহিদ ফিল মাযহাব তথা যিনি নিজে নিজে সরাসরি কুরআন-হাদীস থেকে শরীয়ত বুঝার ক্ষমতা রাখেন।
অর্থাৎ যিনি নিম্নোক্ত পাঁচটি বিষয়ে যথেষ্ট পারদর্শী থাকবেন।(১) তাফসীর(২)হাদীস ও হাদীসের রাবী(৩)আরবী ভাষা(৪)সালাফে সালেহীনদের বর্ণনাকৃত মাসাঈল ও তাদের মন্তব্য সমূহ।(৫)এবং কুরআন-হাদীস থেকে কিয়াস করে হুকুম বের করার যোগ্যতা।
উপরোক্ত বিষয়ে পারদর্শী কোনো ব্যক্তির জন্য তাকলীদে শাখসীর কোনো প্রয়োজন নেই।উনার কাছে নিজ ইমামের বিপরিত কোনো একটি দিক কুরআন-সুন্নাহর অধিক নিকটবর্তী প্রমাণিত হলে, উনি সেটার উপরই আ'মল করবেন। এমনকি তখন উনার জন্য নিজ ইমামের অনুসরণ বৈধ হবে না।(মাযহাব কি ও কেন দ্রষ্টব্য) এছাড়া অন্য সবার জন্য নিজ ইমামের প্রত্যেকটি মতামতকে মান্য করা ওয়াজিব। আরো জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/2040
সু-প্রিয় প্রশানকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যদি ঐ পাঁচ প্রকারের ইলমে যথেষ্ট পারদর্শী না হন, তাহলে আপনার জন্য যে কোনো একটি মাযহাবের সকল প্রকার মাস'আলায় উক্ত মাযহাবের অনুসরণ অত্যান্ত জরুরী। কেননা উপরোক্ত পাঁচ প্রকারের ইলম আপনার না থাকার দরুণ আপনি পুরোপুরিভাবে কোনটা সহীহ কোনটা যঈফ,সেটা নির্ধারণ করতে পারবেন না। তখন সহীহ যইফ জানতে যে কোনো একজন আলেমের/মুহাদ্দিসের অনুসরণ আপনাকে করতে হবে। এখানেও তো আপনি কোনো একজনের তাকলীদ করলেন। অথচ আপনার ইমাম/মাযহাবের বড় বড় আলেম এই হাদীসকে জানা সত্তেও তারা নিয়ে আসেননি। তাই আপনার উচিৎ, উপরোক্ত পাঁচ প্রকারের ইলম আপনার না থাকলে, আপনি সহীহ যইফের দ্বরস্থ না হয়ে মাযহাবের অনুসরণ করবেন।