ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
وَالْأَصْلُ أَنَّ كُلَّ مَوْضِعٍ يَفُوتُ فِيهِ الْأَدَاءُ لَا إلَى خُلْفٍ فَإِنَّهُ يَجُوزُ لَهُ التَّيَمُّمُ وَمَا يَفُوتُ إلَى خُلْفٍ لَا يَجُوزُ لَهُ التَّيَمُّمُ كَالْجُمُعَةِ. كَذَا فِي الْجَوْهَرَةِ النَّيِّرَةِ.
প্রত্যেক ঐ স্থান যেখানে আদা নামায ফওত হয়ে যাবে।অর্থাৎ সময়ের সংকির্ণতার দরুণ মূল আদা নামায-ই ফউত হয়ে যাবে। এমন নয় যে, মূল নামায ফউত হয়ে তার প্রতিনিধি নামায তার স্থলাভিষিক্ত হবে। এমন স্থানে তায়াম্মুম করে উক্ত আদা নামাযকে পড়ে নিতে হবে।আর যে সকল স্থানে সময়ের সংকির্ণতার দরুণ মূল নামায ফউত হবে, তবে তার প্রতিনিধি নামাযের সময় বাকী থাকবে যেমন জুমুআর নামায , সে সব স্থানে তায়াম্মুমের মাধ্যমে উক্ত নামায পড়া যাবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩১)
(وَمِنْهَا الصَّعِيدُ الطَّيِّبُ) يَتَيَمَّمُ بِطَاهِرٍ مِنْ جِنْسِ الْأَرْضِ. كَذَا فِي التَّبْيِينِ كُلُّ مَا يَحْتَرِقُ فَيَصِيرُ رَمَادًا كَالْحَطَبِ وَالْحَشِيشِ وَنَحْوِهِمَا أَوْ مَا يَنْطَبِعُ وَيَلِينُ كَالْحَدِيدِ وَالصُّفْرِ وَالنُّحَاسِ وَالزُّجَاجِ وَعَيْنِ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ وَنَحْوِهَا فَلَيْسَ مِنْ جِنْسِ الْأَرْضِ وَمَا كَانَ بِخِلَافِ ذَلِكَ فَهُوَ مِنْ جِنْسِهَا. كَذَا فِي الْبَدَائِعِ.
যে জিনিষ মাঠির জিনস বা প্রকার থেকে হবে,সে জিনিষ দ্বারা তায়াম্মুম জায়েয রয়েছে।যে জিনিস আগুনে দিলে জ্বলেও না, গলেও না তাহা মাটি জাতীয়। তাহার উপর তায়াম্মুম দুরুস্ত আছে। যে জিনিস জ্বলিয়া ছাই হইয়া যায় বা গলিয়া যায়,যেমন স্বর্ণ রৌপ্য ইত্যাদি।তাহার উপর দুরুস্ত নহে।এবং ছাইয়ের উপর তায়াম্মুম দুরুস্ত নহে। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২৬)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
সফরে পানি না পেলে একটা মাটির চাক (একটা মোটা মটির অংশ) দিয়ে বারবার তাইমুম করা যাবে।অর্থাৎ ১ বার করার পর বারবার তাইমুম করা যাবে। এতে কোনো সমস্যা হবে না।
(২)
তাহাররি তথা গভীর ভাবে চিন্তাগবেষণা করে তারপর কোনো এক দিককে নির্দিষ্ট করে নামায সমাপ্ত করতে হবে।
(৩)
সফরের হালতে বিতিরের নামায পড়া ওয়াজিব।তখন কিন্তু তিন রাকাতই পড়তে হবে।
حاشیة الطحطاوی علی مراقی الفلاح: (ص: 422، ط: دار الکتب العلمیة)
"فيقصر" المسافر "الفرض" العلمي "الرباعي" فلا قصر للثنائي والثلاثي ولا للوتر فإنه فرض عملي
(৪) তাহলে তায়াম্মুম করে নামাযীর সাদৃশ্য গ্রহণ করতে হবে। অর্থাৎ কিরাত বা তাসবিহাত ও দু'আ পড়া ব্যতিত একজন নামাযি ব্যক্তির সাদৃশ্য গ্রহণ করে কিয়াম,রুকু,সিজদা করতে হবে।এবং পরবর্তীতে নামাযকে পড়ে নিতে হবে।
(৫)
৩ টি ব্যবহার করা মুস্তাহাব।১ টি দ্বারা সুন্নত আদায় হয়ে যাবে,যদি জায়গা পরিস্কার হয়ে যায়।
(৬)
প্রশাব করার পর ১ টি টিস্যু দিয়ে ইস্তেন্জা করে ১ বার পানি দিয়ে ভাল করে ধৌত করে নিলেই পবিত্রতা অর্জিত হয়ে যাবে।