আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
683 views
in সালাত(Prayer) by (17 points)
গত বছর জুলাইয়ে আমার মেরুদণ্ড তে ডিস্কে সার্জারি হয়েছে। এখনও মাঝে মাঝে ব্যথা হয়। যখন ব্যথা হয় তখন আমি স্বাভাবিক কাজ করতে পারি তবে ভারি কাজ বা ঝুকে কিছু কররে গেলে ব্যথা হয়। নামাজ পড়তে গেলে ব্যথা মাঝে মাঝে লাগে আবার লাগ্র না কিন্তু ব্যথার সময় নামাজ পড়লে ব্যথা বাড়ার চান্স থাকে। এমন অবস্থায় আমি কীভাবে নামাজ আদায় করব?

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

চেয়ারে বসে নামাজ পড়ার মাসয়ালা আগে জেনে নেইঃ   

ফরজ নামায দাঁড়িয়ে পড়া ফরজ।
 وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ 
‘তোমারা আল্লাহর উদ্দেশ্যে (নামাযে ) বিনীতভাবে দণ্ডায়মান হও।’ (সূরা বাক্বারাহ ২৩৮)। 

যে ব্যক্তি দাঁড়িয়ে পড়তে অক্ষম  সে বসে নামায পড়বে। তার জন্য  নামায দাঁড়িয়ে পড়া ফরজ নয়। 
এক্ষেত্রে মূল হল হযরত ইমরান বিন হুসাইন রা. এর একটি হাদীস –
عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ كَانَتْ بِي بَوَاسِيرُ فَسَأَلْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ الصَّلَاةِ فَقَالَ صَلِّ قَائِمًا فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ فَقَاعِدًا فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ فَعَلَى جَنْبٍ
‘হযরত ইমরান বিন হুসাইন রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন আমার অর্শ্বরোগ ছিল। তাই নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নামায (এর পদ্ধতি) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন,দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করবে,তাতে সামর্থ্য না হলে বসে। যদি তাতেও সক্ষম না হও তাহলে কাত হয়ে শুয়ে।’ 
(সহিহ বুখারী হাদীস নং- ১১১৭)

ইবনে কুদামাহ রহ. বলেন –
أجمع أهل العلم على أن من لا يطيق القيام له أن يصلي جالسا আহলে ইলম এ ব্যপারে একমত যে, যে ব্যক্তি দাড়িয়ে নামায পড়তে অক্ষম সে বসে নামায পড়বে। (আল-মুগনী ১/৪৪৩)

উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা স্পষ্ট বুঝে আসে দাঁড়াতে অক্ষম ব্যক্তির জন্য ফরজ নামায বসে পড়া জায়েয। দাঁড়ানোর সক্ষমতা থাকার পরেও যদি কেউ ফরজ নামায বসে পড়ে তবে তার নামায বাতিল হয়ে যাবে।
প্রশ্ন হল, কতটুকু অসুস্থতা হলে,ফরজ নামায বসে পড়া জায়েয হবে। অর্থাৎ একেবারে সামান্য দুর্বলতা বা অসুস্থতার কারণেই কি ফরজ নামায বসে পড়া জায়েয হবে নাকি যখন কোনোভাবেই দাঁড়াতে সক্ষম হবে না, কেবল সেক্ষেত্রেই বসে নামায পড়া জায়েয হবে?
এর জবাব হল, 
(ক) যদি দাঁড়িয়ে নামায পড়ার কারণে রোগীর খুব বেশি কষ্ট হয় অথবা 
(খ) রোগ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে অথবা
 (গ) রোগ মুক্তি বিলম্বিত হওয়ার আশঙ্কা হয় তবে তার জন্য বসে নামায পড়া জায়েয। (আল মাজমূ ৪/৩১০;তানভীরূল আবসার ২/৫৬৫)


এ ব্যপারে মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাকে একটি রেওয়ায়েত রয়েছে-
عن عمر بن ميمون بن مهران عن أبيه قال: قيل له ما علامة ما يصلي المريض قاعداً؟ قال: إذا كان لا يستطيع أن يقوم لدنياه فليصل قاعداً
‘উমর বিন মায়মূন রহ.তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন,তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, রোগীর জন্য বসে নামায জায়েয হওয়ার আলামত কি? তিনি বললেন, যখন সে তার দুনিয়াবী কাজের জন্য দাঁড়াতে পারেনা তখন বসে নামায পড়বে।’

মোটকথা, রোগীই নিজের অবস্থা নির্ধারণ করবে যে, কখন তার জন্য বসে নামায পড়া জায়েয হবে। যদি দাঁড়ানোর কারণে অতিরিক্ত কষ্ট হয় বা কোনো ক্ষতির আশঙ্কা থাকে তবে সে বসে সামায পড়তে পারবে।
এখন প্রশ্ন হল, কোনো ব্যক্তি যদি দাঁড়াতে সক্ষম হয় কিন্তু রুকু-সিজদা করতে সক্ষম না হয় তাহলে সে কিভাবে নামায আদায় করবে?
এক্ষেত্রে ফিকহে হানাফীর প্রসিদ্ধ মত হল, এমন ব্যক্তি বসে ইশারায় রুকু সিজদা করবে। তার জন্য দাঁড়িয়ে নামায পড়া আর ফরজ থাকবে না।  (বাদায়েউস সানায়ে ১/১০৭; ফাতাওয়া হিন্দীয়া ৪/২০৪;ফাতহুল ক্বাদীর ১/৪৬০;বাদায়েউস সানায়ে ১/১০৭) 

যেমন আদ্দুররুল মুখতার- এ এসেছে–
وإن تعذرا )ليس تعذرهما شرطا بل تعذر السجود كاف( لا القيام أومأ قاعدا وهو أفضل من الايماء قائما لقربه من الارض
‘অসুস্থ ব্যক্তি যদি রুকু-সিজদা করতে অপারগ হয় (রুকু,সিজদাহ উভয়টিতে অপারগ হওয়া শর্ত নয় বরং সিজদা করতে অপারগ হওয়াই যথেষ্ট ) দাঁড়াতে অপারগ না হয় তবে বসে ইশারা করবে। দাঁড়িয়ে ইশারা করা থেকে এটা (বসে ইশারায় নামায পড়া) উত্তম জমিনের নিকটবর্তি হওয়ার কারণে।’ (আদ্দুররুল মুখতার ২/১০২)

কিন্তু প্রশ্ন হল, যে ব্যক্তি দাঁড়িয়ে নামায পড়তে পারে না সে তো বসেই নামায পড়বে। বসার নির্দিষ্ট কোনো ধরণ আছে নাকি সে যেকোনো ভাবেই বসতে পারবে?
এর জবাব হল, উল্লেখিত ব্যক্তি তার সুবিধামত যে কোনো সূরতে বসতে পারবে। তার জন্য কোনো বিশেষ সূরতে বসা জরুরী নয়। তবে উভয় বৈঠকে সুস্থব্যক্তির বৈঠকে বসার ন্যায় বসবে। অর্থাৎ বাম পা বিছিয়ে তার উপর বসবে এবং ডান পায়ের আঙ্গুলগুলো খাড়া করে রাখবে। আর যদি এটাও না পারে তবে বৈঠকেও তার সুবিধামত বসবে।

إذَا صَلَّى الْمَرِيضُ قَاعِدًا كَيْفَ يَقْعُدُ الْأَصَحُّ أَنْ يَقْعُدَ كَيْفَ يَتَيَسَّرُ عَلَيْهِ
‘যখন অসুস্থ ব্যক্তি বসে নামায পড়বে,কিভাবে বসবে? বিশুদ্ধমত হল তার যেভাবে (বসলে) সহজ হয় সেভাবে বসবে।’ (ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৪/২০২)

★সুতরাং 
(১) যে ব্যক্তি দাঁড়াতে ও রুকু সিজদা করতে সক্ষম সে চেয়ারে বসে নামায আদায় করলে তা সহীহ হবে না।
(২) যে ব্যক্তি আরামের জন্য বা সাধারণ কষ্টের বাহানায় চেয়ারে বসে নামায পড়ে তার নামায সহীহ হবে না।
(৩) যে দাঁড়াতে ও জমিনে বসতে সক্ষম কিন্তু রুকু-সিজদা করতে অক্ষম সে দাঁড়িয়ে নামায আদায় করবে। শুধু রুকু-সিজদা বসে ইশারায় করবে। এমন ব্যক্তি যদি চেয়ারে বসে ইশারায় রুকু-সিজদা আদায় করে তবে তা আদায় হয়ে যাবে ।
(৪) আর যে বক্তি দাঁড়াতে সক্ষম কিন্তু নিচে বসতে সক্ষম নয় সে দাঁড়িয়ে নামায পড়বে তবে রুকু,সিজদা ও বৈঠকের সময় চেয়ারে বসে আদায় করতে পরবে এবং ইশারায় রুকু ও সিজদা করবে।
(৫) যে ব্যক্তি দাঁড়াতে অক্ষম কিন্তু নিচে বসতে ও সিজদা করতে সক্ষম এমন ব্যক্তি চেয়ারে বসে ইশারায় সিজদা করলে তার নামায বাতিল গণ্য  হবে। তার জন্য নিচে বসে জমিনের উপর সিজদাহ করা জরুরী।
(৬) যে ব্যক্তি দাঁড়াতে ও বসতে কোনোটাতেই সক্ষম নয় সে পূরো নামায চেয়ারে বসে ইশারায় আদায় করতে পারবে।

মূলকথা হল, যে ব্যক্তি দাঁড়িয়ে নামায আদায় করতে অক্ষম তার জন্য বিকল্প পদ্ধতি হল, জমিনে বসে তা আদায় করা। আর যে রুকু সিজদা করতে অক্ষম তার জন্য বিকল্প পন্থা হল, ইশারায় তা আদায় করা। আর যে ব্যক্তি যমিনে বসে নামায আদায় করতে অক্ষম তার জন্য বিকল্প হল, চেয়ারে বসে নামায আদায় করা। কেবলমাত্র প্রথম ও দ্বিতীয় ওযরের কারণে চেয়ারে বসে নামায আদায় করা ঠিক নয়।

সুতরাং যে ব্যক্তি শুধু আরামের জন্য অথবা মামুলি কষ্টের বাহানায় চেয়ারে নামায আদায় করছেন তিনি মস্ত বড় ভুল কাজ করছেন। এভাবে নামায আদায় করার দ্বারা তার নামাযই হবে না। তার উপর ফরয, দাঁড়িয়ে নামায আদায় করা এবং যথা নিয়মে রুকু সিজদা আদায় করা।

আর যে ব্যক্তি জমিনের উপর বসে নামায আদায় করতে সক্ষম তার জন্য শুধু এই বাহানায় চেয়ারে বসে নামায আদায় করা ঠিক নয় যে, সে দাঁড়িয়ে নামায আদায় করতে বা রুকু সিজদা করতে অক্ষম। বরং এ ধরণের লোকেরা জমিনে বসে নামায আদায় করবে। চেয়ারে বসে নামায আদায় করবেন শুধু ঐ লোকেরা যারা জমিনে বসে নামায আদায় করতে অক্ষম।
হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ তাকী উসমানী দামাত বারকাতুহুম তার সদ্য লেখা এক ফতওয়ায় চেয়ারে বসে নামায আদায় করার ক্ষতির দিকগুলো আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, ‘জমিনে বসে নামায আদায় করার শক্তি থাকা সত্ত্বেও চেয়ারে বসার যে প্রচলন দেখা যায় তাতে বিভিন্ন দিক থেকে আপত্তি রয়েছে।
১. মাযুর ব্যক্তিদের জন্য জমিনে বসে নামায আদায় করাই উত্তম ও মাসনূন তরীকা। এর উপরই সাহাবায়ে কেরাম রাযিয়াল্লাহু আনহুম এবং পরবর্তীদের আমল চলে আসছে। চেয়ারে বসে নামায আদায় করার রেওয়াজ কেবল শুরু হয়েছে। খায়রুল কুরূনে এর নযীর নেই। অথচ সে যুগে মাযুরও ছিল চেয়ারও ছিল।
২. যে ব্যক্তি শরীয়তের দৃষ্টিতে মাযুর নয়, অর্থাৎ কিয়াম, রুকু সিজদা করতে সক্ষম, তার জন্য জমিনে বা চেয়ারে বসে ফরয এবং ওয়াজিব নামায আদায় করাই জায়েয নেই। অথচ কখনো কখনো দেখা যায় এ ধরণের সুস্থ ব্যক্তিও সামনে চেয়ার পেয়ে চেয়ারে বসে নামায আদায় করে নেয়। ফলে তার নামাযই হয় না।
৩. চেয়ারের ব্যবহারের কারণে কাতার সোজা করা ও সোজা রাখার ক্ষেত্রে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়। অথচ মিলে মিলে দাড়ানো ও কাতার সোজা করার বিষয়ে হাদীস শরীফে জোর তাকীদ এসেছে।
৪. বিনা প্রয়োজনে মসজিদে চেয়ারের অধিক্যের কারণে তা নাসারাদের গির্জা ও ইহুদীদের উপাসনালয়ের সাদৃশ দেখা যায়। তারা গির্জায় চেয়ার ও বেঞ্চে বসে উপাসনা করে। আর দ্বীনী বিষয়ে ইহুদী নাসারা ও অন্যান্য জাতির সাদৃশ্য থেকেহ নিষেধ করা হয়েছে।
৫. নামায তো এমন ইবাদত যা আদায় করতে হয় বিনয়াবনত হয়ে বিগলিতচিত্তে। আর চেয়ারে বসে নামায আদায় করার চেয়ে জমিনে বসে নামায আদায়ের মাঝে তা পূর্ণমাত্রায় পাওয়া যায়।
৬. কোন কোন যুবক ও সুস্থ ব্যক্তি নামাযের পর মসজিদে রাখা চেয়ারে বসে আরাম করে। কখনো কখনো চেয়ার নিয়ে গোল হয়ে বসে আলাপচারিতায় লিপ্ত হয়। এটা মসজিদের পবিত্রতা, মার্যাদা ও আদবের খেলাফ।
৭. মসজিদে চেয়ারের ব্যবহারের কারণে কোন কোন ছুরতে কুরআনে কারীম এবং মুরববী নামাযীদের আদব ও এহতেরামের ব্যত্যয় ঘটে।’’
 আপত্তির এ সাতটি দিক উল্লেখ করার পর হযরত বলেছেনঃ

‘‘…এ জন্যই ইশারায় নামায আদায় করার জন্যও যথাসম্ভব চেয়ারের ব্যবহার না করা চাই। চেয়ার ব্যবহারের প্রতি নিরুৎসাহিত করা চায় এবং এর ব্যবহার কেবলমাত্র ঐ সকল ব্যক্তির মাঝে সীমাবদ্ধ করা উচিত, যারা জমিনে বসে নামায আদায় করতে সক্ষম নয়।’’


★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে  যদি জমিনে বসে নামায পড়তে পারে তাহলে জমিনে বসে নামায পড়বে। এক্ষেত্রে তাশাহুদ অবস্থার মতো বসা আবশ্যক নয়; বরং যে আসনে বসলে আরাম হয়, সেভাবেই মাটিতে বসে ইশারা করে নামাজ আদায় করবে। চেয়ারে বসা উচিত নয়। কারণ, শরিয়ত এমন অপারগদের মাটিতে বসার ব্যাপারে পূর্ণ ছাড় দিয়েছে। যে আসনে সম্ভব হয়, সেভাবেই বসে নামাজ আদায় করবে। (দুররে মুখতার মাআ শামী-২/৫৬৬)

কিন্তু যদি জমিনে বসেও নামায আদায় করতে অক্ষম হন বা খুব কষ্ট হয় তাহলে তার জন্য চেয়ারে বসে নামায আদায় করা জায়েয হবে। সেক্ষেত্রে ইশারায় রুকু-সিজদা আদায় করবে। রুকুর তুলনায় সিজদার জন্য কিছু বেশি ঝুঁকবে। তবে সামনে টেবিল কিংবা অন্য কোনো উঁচু বস্তু রেখে তাতে সিজদা করবে না;বরং ইশারায় সিজদা করবে। উল্লেখ্য, যে মুসল্লী যমীনে বসতে সক্ষম নয় কিন্তু দাঁড়াতে সক্ষম তাকে নামায দাঁড়িয়ে আদায় করতে হবে। রুকু করতে সক্ষম হলে রুকুও স্বাভাবিক নিয়মেই করবে। তারপর চেয়ারে বসে বাকি আমলগুলো আদায় করবে। (ইলাউস সুনান ৭/২০৩; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৩৬; আননাহরুল ফাইক ১/৩৩৭; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৩৩)
,
★★আপনার যখন ব্যাথা লাগেনা,তখন দাড়িয়েই নামাজ পড়তে সমস্যা না হলে দাড়িয়েই নামাজ পড়বেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...