ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
আল্লাহ তায়ালা বলেন-
وَلَا تَأْكُلُوا
أَمْوَالَكُم بَيْنَكُم بِالْبَاطِلِ وَتُدْلُوا بِهَا إِلَى الْحُكَّامِ
لِتَأْكُلُوا فَرِيقًا مِّنْ أَمْوَالِالنَّاسِ بِالْإِثْمِ وَأَنتُمْ
تَعْلَمُونَ [٢:١٨٨]
তোমরা অন্যায়ভাবে একে অপরের সম্পদ ভোগ করো না। এবং জনগণের সম্পদের কিয়দংশ
জেনে-শুনে পাপ পন্থায় আত্নসাৎ করার উদ্দেশে শাসন কতৃপক্ষের হাতেও তুলে দিও না।
[সূরা বাকারা-১৮৮]
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
وَعَنْ أَبِىْ حُرَّةَ
الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا
تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ»
আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া
কারো জন্য হালাল নয়।
(আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২। মিশকাতুল মাসাবিহ ২৯৪৬)
https://ifatwa.info/52643/
নং ফাতাওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,
আল্লাহর রাসূল সা. বলেন, তোমরা
পরস্পর হাদিয়ার আদান-প্রদান করো, তাহলে মহাব্বত বৃদ্ধি পাবে। (ইমাম বুখারী রচিত আদাবুল
মুফরাদ, হা/৫৯৪)
আল্লাহ তায়ালা বলেন, তারা যদি
খুশি হয়ে তোমাদেরকে দিয়ে দেয়, তাহলে তোমরা তা স্বাচ্ছন্দ্যে ভোগ করো। (সূরা নিসা আয়াত নং
০৪)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
مَنْ
أَتَى إِلَيْكُمْ مَعْرُوفًا فَكَافِئُوهُ، فَإِنْ لَمْ تَجِدُوا فَادْعُوا لَهُ،
حَتَّى يَعْلَمَ أَنْ قَدْ كَافَأْتُمُوهُ.
তোমাদের প্রতি যে ব্যক্তি কোনো ভালো আচরণ করে তোমরা তার
প্রতিদান দাও। যদি দেয়ার মতো কিছু না পাও তাহলে তার জন্যে দুআ করো, যাতে
সে বুঝতে পরে- তোমরা তার প্রতিদান দিয়েছ। -আল-আদাবুল মুফরাদ, হাদীস
২১৬
হাদিস শরীফে এসেছে-
عَنْ
أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم “إِذَا أُتِيَ بِطَعَامٍ سَأَلَ عَنْهُ أَهَدِيَّةٌ أَمْ صَدَقَةٌ فَإِنْ
قِيلَ صَدَقَةٌ. قَالَ لأَصْحَابِهِ كُلُوا. وَلَمْ يَأْكُلْ، وَإِنْ قِيلَ
هَدِيَّةٌ. ضَرَبَ بِيَدِهِ صلى الله عليه وسلم فَأَكَلَ مَعَهُمْ ”
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত,তিনি
বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে কোন খাবার
আনা হলে তিনি জানতে চাইতেন, এটা হাদিয়া, না সাদকা? যদি
বলা হতো, সাদকা তা হলে সাহাবীদের তিনি বলতেন, তোমরা
খাও। কিন্তু তিনি খেতেন না। আর যদি বলা হল হাদিয়া। তাহলে তিনিও হাত বাড়াতেন এবং
তাদের সাথে খাওয়ায় শরীক হতেন। [বুখারী, হাদীস
নং-২৪০৬]
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
তিনি যেহেতু নিজের থেকেই সন্তুষ্ট চিত্তে ও খুশী মনে পুরো বেতন দিয়ে দেন তাই তা নিতে কোনো সমস্যা
নেই। তবে আপনার স্বামী যেনো ১২ দিনই টিউশনি করানোর জন্য যায় সে দিকে খেয়াল রাখতে
বলবেন। বিশেষ কোনো কারণ ছাড়া যেনো উক্ত দিনগুলোতে অনুপস্থিত না থাকে এবং তাকে যেনো
অধিক যত্নসহকারে ও দায়িত্ববোধ নিয়ে পড়ান।