ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
আল কুরআনে হাওয়া আ. কে আদম আ. এর স্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন,
وَقُلْنَا يَا آدَمُ اسْكُنْ أَنتَ وَزَوْجُكَ الْجَنَّةَ وَكُلَا مِنْهَا رَغَدًا حَيْثُ شِئْتُمَا وَلَا تَقْرَبَا هَـٰذِهِ الشَّجَرَةَ فَتَكُونَا مِنَ الظَّالِمِينَ
“এবং আমি আদমকে বললাম যে, তুমি ও তোমার স্ত্রী জান্নাতে বসবাস করতে থাক এবং ওখানে যা ইচ্ছা তৃপ্তিসহ খেতে থাক। কিন্তু এ গাছের নিকটবর্তী হয়ো না। অন্যথায় তোমরা যালিমদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে পড়বে।” (সূরা বাকারা: ৩৫)
তাদের মোহরানা কত ছিল এ বিষয়ে কিছু হাদিস উল্লেখ করা হলেও বিজ্ঞ মুহাদ্দিসদের দৃষ্টিতে সেগুলোর পক্ষে নির্ভরযোগ্য ও প্রামাণ্য কোনও সূত্র নেই।
أن الله ـ سبحانه ـ لما خَلق آدمَ خلق له حواءَ من ضِلَع من أضلاعه اليسرى وهو نائم فلما استيقظ ورآها سكَن إليها ومدّ يده إليها فمنعته الملائكةُ حتى يؤدِّي مهرَها، فقال: وما مهرُها؟ قالوا: تصلِّي على محمد ـ صلى الله عليه وسلم ـ ثلاثَ مرات.
“আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আদম আলাইহিস সালাম কে সৃষ্টি করলেন। অত:পর যখন তিনি ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন তখন তার বাম পাঁজরের একটি হাড্ডি থেকে হাওয়া আ. কে সৃষ্টি করলেন। তিনি ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে হাওয়াকে দেখে তিনি মনে প্রশান্তি অনুভব করলেন। তাই তাকে স্পর্শ করার জন্য হাত বাড়ালে ফেরেশতাগণ তাকে মোহর পরিশোধ না করা পর্যন্ত স্পর্শ করতে নিষেধ করলেন।
তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তাঁর মোহর কি?
ফেরেশতাগণ বললেন, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি ৩ বার দরুদ পাঠ।”
(আল মাওয়াহেবুল লাদুন্নিয়াহ কিতাব ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা: ২৫)
أنها لما سمعتْ كلام الملائكة طلبت مَهرها من آدم، فسأل ربَّه كم يُعطيها؟ فقال: صل على حبيبي محمد بن عبد الله عشرين مرة، ففعل، وجاء في بعض الروايات أن اللهَ زوّجه إيّاها وخطب في ذلك خطبة.
“হাওয়া আ. ফেরেশতাদের কথোপকথন শোনার আদম আ. থেকে তার মোহর চাইলেন। তখন তিনি আল্লাহকে জিজ্ঞেস করলেন, কত মোহর দিবেন?
আল্লাহ বললেন, “তুমি আমার হাবিব মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ এর উপর ২০ বার দরুদ পাঠ করো।” তাই তিনি তাই করলেন।
(‘সালওয়াতুল আহযান’)
অনেকেই বলেছেন যে এ সকল কথার কোনো ভিত্তি বা সনদ আছে বলে জানা যায় না।
অনেকেই বলেছেন যে এগুলো ভিত্তিহীন।
(০২)
★বিবাহের সুন্নাত তরীকা সম্পর্কে জানুনঃ-
বাসর রাতের সুন্নাত সম্পর্কে জানুনঃ-
★প্রচলিত গায়ে হলুদ অনুষ্টান,এটা হিন্দুয়ানি সংস্কৃতি।
এটি কোনো ভাবেই জায়েজ নেই।
এতে অংশ গ্রহনও কোনো ভাবেই জায়েজ নেই।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ عَبْدِ اللهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ:: ” الْمَرْءُ مَعَ مَنْ أَحَبَّ
হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঈদ রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, ব্যক্তি [কিয়ামতের দিন] তার সাতে থাকবে যাকে সে মোহাব্বত করে। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৩৭১৮, বুখারী, হাদীস নং-৬১৬৮, ৫৮১৬}
عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ
হযরত ইবনে ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন- যে ব্যক্তি যার সাদৃশ্য গ্রহণ করে, সে তাদেরই অন্তর্ভূক্ত। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪০৩১}
বিস্তারিত জানুনঃ
আরো জানুনঃ
★মোহরানা হিসাবে লক্ষ লক্ষ টাকা এবং স্বর্ণা-অলংকার, দু'টো ধরা বাধ্যতামূলক নয়।
এখানে স্বামী স্ত্রী ও উভয় পক্ষ মিলে মোহরানা বাবদ যাহা কিছু নির্ধারিত করবে,তাহাই নির্ধারিত
মোহরানা বাবদ শুধু টাকা ধরা হলে শুধু টাকা দিলেই হবে।
যদি মোহরানা বাবদ টাকা ও স্বর্ণা-অলংকারও ধরা হয়,তাহলে উভয়টিই দিতে হবে।
হ্যাঁ যদি স্ত্রী কোনো একটি নিজে নিজেই সন্তুষ্টি চিত্তে মাফ করে দেয়,তাহলে তাহা দিতে হবেনা।
(০৩)
তালাক মোট তিনটি।
এক ও দুই তালাকের পর স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেয়া যায়,তিন তালাকের পর শরয়ী হালালাহ ব্যাতিত কোনোভাবেই স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেয়া যায়না।
তালাক এক বাক্যে দিলেও হয়,এক মজলিসেও হয়।
স্পষ্ট বাক্যে তালাক দিলে রজয়ী তালাক হয়।
কেনায়া বাক্যে তালাক দিলে বায়েন তালাক হয়।
এক বা দুই তালাকের রজয়ীর ক্ষেত্রে সেই স্ত্রীলে ফিরিয়ে নিতে চাইলে ইদ্দতের মধ্যে রজয়াত করা যায়।
আর ইদ্দত অতিবাহিত হয়ে গেলে বা বায়েন তালাক দিলে নতুন করে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে।
সুরা বাকারার ২২৯ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে-
الطَّلَاقُ مَرَّتَانِ فَإِمْسَاكٌ بِمَعْرُوفٍ أَوْ تَسْرِيحٌ بِإِحْسَانٍ وَلَا يَحِلُّ لَكُمْ أَنْ تَأْخُذُوا مِمَّا آَتَيْتُمُوهُنَّ شَيْئًا إِلَّا أَنْ يَخَافَا أَلَّا يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ فَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا فِيمَا افْتَدَتْ بِهِ تِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ فَلَا تَعْتَدُوهَا وَمَنْ يَتَعَدَّ حُدُودَ اللَّهِ فَأُولَئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ (229)
"এ তালাক দু'বার, অতঃপর স্ত্রীকে হয় বিধিসম্মতভাবে রাখবে অথবা সদয়ভাবে বিদায় দেবে। আর স্ত্রীকে দেয়া কোন কিছু ফেরৎ নেয়া তোমাদের পক্ষে উচিত নয়। তবে যদি তাদের উভয়ের আশংকা হয় যে তারা আল্লাহর সীমারেখা রক্ষা করে চলতে পারবে না এবং তোমরা যদি আশংকা কর যে তারা আল্লাহর সীমারেখা রক্ষা করে চলতে পারবে না, তবে (সে অবস্থায়) স্ত্রী কোন কিছুর বিনিময়ে (স্বামী থেকে) নিষ্কৃতি পেতে চাইলে তাতে (স্বামী-স্ত্রীর) কারো কোনো পাপ নেই। এসব আল্লাহর সীমারেখা। কাজেই তা লংঘন কর না। যারা আল্লাহর (নির্দিষ্ট) সীমারেখা লংঘন করে তারাই অত্যাচারী।" (২:২২৯)
এক তালাক বিস্তারিত জানুনঃ
তিন তালাকের বিধান