ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/50670/?show=50670#q50670 নং ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে,
আপনাকে
ঘরোয়া ভাবে কিছু রুকইয়ার পরমার্শ দিচ্ছি,
(১) সকল প্রকার ফরয ওয়াজিব ইবাদত যত্নসহকারে
পালন করা এবং সকল প্রকার হারাম ও নাজায়ে কাজ হতে বেঁচে থাকে।
(২)
অধিক পরিমাণ কুরআন তেলাওয়াত করা।
(৩) দু'আ, জায়েয তাবীয
ও যিকিরের মাধ্যমে নিজেকে হেফাজতের চেষ্টা করা।
নিম্নোক্ত
দু'আকে সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে পড়া।
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا
يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ، فِي الْأَرْضِ، وَلَا فِي السَّمَاءِ، وَهُوَ
السَّمِيعُ الْعَلِيمُ،
আরো দেখুন- http://istefta.info/1093
প্রত্যক
নামাযের পর ও ঘুমানোর সময় এবং সকাল
সন্ধ্যায় আয়াতুল কুরসী পড়া এবং ঘুমানোর সময় ও সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে সূরা নাস,সূরা
ফালাক্ব ও সূরা ইখলাস পড়া এবং প্রতিদিন নিম্নোক্ত দু'আটি একশতবার
করে পড়া।
لا اله الا الله وحده لا شريك له
له الملك وله الحمد وهو على كل شيئ قدير،
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. সব কিছুর
ক্ষমতার মালিক একমাত্র আল্লাহ তায়ালা। কারো কোনো ক্ষতির করার জ্বিনের কোনো নিজস্ব
ক্ষমতা নেই। তাই প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ভয় করা অমুলক। সুতরাং এই ভয়ে নামাজ কাযা করা
আপনার জন্য জায়েজ হবে না। তবে আপনি একান্ত ভয় পেলে ঐ আমলগুলো করতে পারেন।
২. আবার
আল্লাহ সবকিছুর খালিক ও মালিক, জগতের সব কিছু উনার হুকুমেই সংগঠিত হয়, তাবিজ বা
ঔষধের অদ্য কোনো ক্ষমতা নেই। এমন আক্বিদা পোষণ করে জায়েয ও বৈধ কালামের মাধ্যমে
চিকিৎসা হিসেবে ঝাড়-ফুঁক ও তাবিজও ব্যবহার করতে পারেন। তাই পরামর্শ দিবো, ভালো কোনো
বিশুদ্ধ আকিদার মুদাব্বিরের শরণাপন্ন হওয়ার। মুদাব্বির মানে যিনি কুরআন হাদীস থেকে
সেহেরের চিকিৎসা করে থাকেন। যাকে রুকইয়ায়ে শরঈয়্যাহ বলা হয়।
৩. না, এর সাথে জ্বিনের কোনো সম্পর্ক নেই। তবে আপনি
অন্ধকার ঘরে ঘুমাতে ভয় পেলে লাইট জ্বালিয়েও ঘুমাতে পারেন। এতে কোনো সমস্যা নেই।
৪. না, এতে জ্বিন ঘটিত সমস্যা হবে এমন কথা কোথাও
নেই। তবে এভাবে উলঙ্গ থাকা ঠিক নয়। আবার অন্য কেউ সতর দেখে ফেললে গোনাহও হবে। তাই এমন করা থেকে বিরত থাকবেন।