আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
214 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (27 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারা কাতুহু শাইখ,
১।তীব্র ভয়ের কারণে (জ্বীনের)যদি কোনো ওয়াক্তের নামায কাজা হয় তাহলে কি গুনাহ হবে?

২।আমি জ্বীনকে খুবই ভয় করি।আমি কখনো জ্বীন বা এ জাতীয় কিছুকে দেখেছি বলে মনে হয় না।কিন্তু এই ভয়টা এতটা তীব্র যে বলে বোঝাতে পারবো না।মনে হয় বাথরুমে গেলে জানালায় কাউকে দেখব।আমাকে পরামর্শ দিন আমি কি করতে পারি?

৩।হাদিসে ঘর অন্ধকার করে ঘুমাতে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।এর সাথে কি জীনের কোনো সম্পর্ক আছে?

৪।কেউ যদি উলঙ্গ হয়ে গোসল করে বা ঘরে একা কিছুক্ষণ থাকলে কি জ্বীন ঘটিত কোনো সমস্যা হতে পারে?

1 Answer

0 votes
by (59,970 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/50670/?show=50670#q50670 নং ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে,

আপনাকে ঘরোয়া ভাবে কিছু রুকইয়ার পরমার্শ দিচ্ছি,

(১) সকল প্রকার ফরয ওয়াজিব ইবাদত যত্নসহকারে পালন করা এবং সকল প্রকার হারাম ও নাজায়ে কাজ হতে বেঁচে থাকে।

(২)  অধিক পরিমাণ কুরআন তেলাওয়াত করা।

(৩) দু', জায়েয তাবীয ও যিকিরের মাধ্যমে নিজেকে হেফাজতের চেষ্টা করা।

 

নিম্নোক্ত দু'আকে সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে পড়া।

بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ، فِي الْأَرْضِ، وَلَا فِي السَّمَاءِ، وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ،

আরো দেখুন- http://istefta.info/1093

প্রত্যক নামাযের পর  ও ঘুমানোর সময় এবং সকাল সন্ধ্যায় আয়াতুল কুরসী পড়া এবং ঘুমানোর সময় ও সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে সূরা নাস,সূরা ফালাক্ব ও সূরা ইখলাস পড়া এবং প্রতিদিন নিম্নোক্ত দু'আটি একশতবার করে পড়া।

لا اله الا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد وهو على كل شيئ قدير،

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

১. সব কিছুর ক্ষমতার মালিক একমাত্র আল্লাহ তায়ালা। কারো কোনো ক্ষতির করার জ্বিনের কোনো নিজস্ব ক্ষমতা নেই। তাই প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ভয় করা অমুলক। সুতরাং এই ভয়ে নামাজ কাযা করা আপনার জন্য জায়েজ হবে না। তবে আপনি একান্ত ভয় পেলে ঐ আমলগুলো করতে পারেন।

২. আবার আল্লাহ সবকিছুর খালিক ও মালিক, জগতের সব কিছু উনার হুকুমেই সংগঠিত হয়, তাবিজ বা ঔষধের অদ্য কোনো ক্ষমতা নেই। এমন আক্বিদা পোষণ করে জায়েয ও বৈধ কালামের মাধ্যমে চিকিৎসা হিসেবে ঝাড়-ফুঁক ও তাবিজও ব্যবহার করতে পারেন। তাই পরামর্শ দিবো, ভালো কোনো বিশুদ্ধ আকিদার মুদাব্বিরের শরণাপন্ন হওয়ার। মুদাব্বির মানে যিনি কুরআন হাদীস থেকে সেহেরের চিকিৎসা করে থাকেন। যাকে রুকইয়ায়ে শরঈয়্যাহ বলা হয়।

 

৩. না, এর সাথে জ্বিনের কোনো সম্পর্ক নেই। তবে আপনি অন্ধকার ঘরে ঘুমাতে ভয় পেলে লাইট জ্বালিয়েও ঘুমাতে পারেন। এতে কোনো সমস্যা নেই।

৪. না, এতে জ্বিন ঘটিত সমস্যা হবে এমন কথা কোথাও নেই। তবে এভাবে উলঙ্গ থাকা ঠিক নয়। আবার অন্য কেউ সতর দেখে ফেললে  গোনাহও হবে। তাই এমন করা থেকে বিরত থাকবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...