আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
204 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ ٱللَّٰهِ وَبَرَكَاتُهُ.

সহীহ মাসয়ালা জানতে চাই পবিত্র কুর'আন এবং হাদীসের আলোকে নিম্নোক্ত বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নগুলোর।

ঘটনা-১ঃ

আমি মোহাম্মদ মোহাব্বত হোসেন মিথুন,
পিতাঃ মোঃ দেলওয়ার হোসেন,
পাত্রী মোছাঃ নাদিয়া ইসলাম বর্ণা,
পিতাঃ মোঃ গোলাম রসূল
৪ঠা রমজান ১৪২৮ হিজরি মোতাবেক ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে কাজী অফিসে আলাদাভাবে সাক্ষীসহ ইজাব-কবুলের মাধ্যমে পঞ্চাশ হাজার একশত এক টাকা দেনমোহরে উপরোক্ত পাত্রীকে বিবাহ করি।
এবং উক্ত স্ত্রীর সাথে বিয়ের পর প্রায় মাসখানেকের কিছু কম বা বেশী রাত্রীযাপন-অন্তরংগযাপন(...) করি। এর কিছুদিন পর আমার স্ত্রী তার পরিবার থেকে তীব্র বাধা-জোর জবরদস্তিতে আমার সাথে তালাক্ব না নিয়েই অন্যত্র মোঃ শাহরোম বেগ, পিতাঃ মোঃ গওছল আজম বেগ এর সাথে বিবাহ বসে।
এমতাবস্থায় আমি চরমভাবে মানসিক ও শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ি।

আমার স্ত্রীর এহেন কার্যকলাপে মনের মধ্যে থাকা হীনমন্যতা থেকে আমি একজন স্থানীয় মাদ্রাসা ছাত্রের সহিত (হাফেজ মোঃ ইয়ামিন উদ্দীন) হঠাৎ এ বিষয়ে জানাইলে সে আমাকে বলে যে আমার সেই স্ত্রীর ব্যভিচারের দায়ভার আমার উপরেও বর্তাবে-তাই দ্রুত তালাকের ব্যবস্থা করতে বলে সে।  তাকে জানাইলাম কীভাবে তালাক দিব (আমি জেনারেল লাইনে পড়াশোনা করায় দ্বীনের ব্যাপারে কমই জানতাম)?  তাহার (হাফেজ মোঃ ইয়ামিন উদ্দীন) পরামর্শ লইয়া আমার সেই স্ত্রীর(মোছাঃ নাদিয়া ইসলাম বর্ণা) অন্যত্র বিবাহ বসার (মোঃ শাহরোম বেগের সাথে বিবাহ বসার) আনুমানিক প্রায় বছরখানেক পরে ফোনে যোগাযোগ করিয়া ঠান্ডা মাথায় একইসাথে (এক তালাক, দুই তালাক, তিন তালাক এইভাবে এক মিনিটেরও কম সময়ে) তিন তালাক প্রদান করি (সাক্ষী ছাড়া)। এভাবে তালাক্ব প্রদানের সময় আমার সেই স্ত্রী হায়েয অবস্থায় বা গর্ভবতী ছিলেন কীনা তাহা আমি জানিতাম না। এবং তাহার মোহরানার টাকা প্রায় পুরোটাই বাকী অর্থাৎ শোধ করা হয় নাই। বিয়ের সময় মোহরানা বাবদ সামান্য কিছু হাদিয়া দিয়েছিলাম, বাকীটা পরে শোধ করার অংগীকার করিয়াছিলাম-কিন্তু আজ অবধি পরিশোধ করিতে পারি নাই। তাহার পরের পরিবারে এখন দুই সন্তান আছে বলিয়া জানিতে পারিয়াছি। এবং আমার এই মৌখিক তালাকের পরে যতদূর জানিতে পারিয়াছি আমার সেই স্ত্রী ইদ্দতকাল মানিয়া চলে নাই এবং নতুন করিয়া সেই পরের স্বামীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ না হইয়াই আজ অবধি সংসার চালাইয়া যাইতেছে।

প্রশ্ন-১ঃ আমার দেয়া তালাক কি শুদ্ধ হয়েছে?

প্রশ্ন-২ঃ আমার স্ত্রীর পরের স্বামীর সাথে এমন সংসার কি জায়েয হয়েছে?

প্রশ্ন-৩ঃ আমার এই স্ত্রীর দুই সন্তানের বৈধ পিতা কে হবে?

প্রশ্ন-৪ঃ আমাকে কী নতুন করিয়া ইদ্দতকাল মানিয়া তিন মাসিকের প্রত্যেক মাসিক শেষে তিনবার সাক্ষীসহ তালাক দিতে হইবে যেমনটি পবিত্র আল কুর'আন এ রয়েছে?

প্রশ্ন-৫ঃ আমাকে কী তার মোহরানার প্রাপ্য টাকাটা স্বত্ত্বর দিতে হইবে না দেরীতে দিলেও হইবে?

প্রশ্ন-৬ঃ মোহরানার টাকা দেরীতে প্রদান করিলে তালাকের উপরে এর কোন প্রভাব পড়বে কী না?

প্রশ্ন-৭ঃ আমার এই প্রথম স্ত্রীর পরের বিবাহটি শুদ্ধ না হইলে তাহাদের করণীয় কী?

---------------------------------------------------------------

ঘটনা-২ঃ

আমি মোহাম্মদ মোহাব্বত হোসেন মিথুন,
পিতাঃ মোঃ দেলওয়ার হোসেন,
পাত্রী মোছাঃ মিমু আক্তার (আমার প্রথম স্ত্রীর ছোট বোন),
পিতাঃ মোঃ গোলাম রসূল
১৩ জিলহজ্ব  ১৪৩৫ হিজরি মোতাবেক ৯ অক্টোবর  ২০১৪ তারিখে আলাদাভাবে কাজী অফিসে সাক্ষী সহ ইজাব-কবুলের মাধ্যমে একলক্ষ এক টাকা দেনমোহরে উপরোক্ত দ্বিতীয় পাত্রীকে বিবাহ করি। আমি তাহার সাথে বর্তমানে সংসার করিতেছি। আমাদের সংসারে অর্থাৎ আমার দ্বিতীয় স্ত্রীর গর্ভে আমার মহান রব্বুল আলামীন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার অফুরন্ত রহমতে দুই সন্তান জন্ম নিয়েছে। আমি আমার দ্বিতীয় স্ত্রীর মোহরানা সম্পূর্ণ পরিশোধ করিয়াছি এবং পরবর্তীতে তাহার পরিবারও এই বিবাহ মানিয়া লইয়াছে।

প্রশ্ন ১ঃ আমার প্রথম স্ত্রীর আপন ছোট বোনের সাথে আমার এই বিবাহ কী শুদ্ধ হইয়াছে?

যদি এই দ্বিতীয় বিবাহটি শুদ্ধ না হইয়া থাকেঃ

প্রশ্ন ২ঃ এই বিবাহ শুদ্ধ করিতে হইলে করণীয় কী?

প্রশ্ন ৩ঃ আমার দ্বিতীয় স্ত্রীর গর্ভে প্রাপ্ত মহান রব্বুল আলামীন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার রহমতে প্রাপ্ত দুই সন্তানের বৈধ অভিভাবক কে?

প্রশ্ন ৪ঃ এই বিবাহ কি বিচ্ছেদ করাইতে হইবে, না আমরা সংসার চালাইয়া যাইব?

প্রশ্ন ৫ঃ যদি বিচ্ছেদ করাইতে হয়, সন্তানদের ও আমার এই দ্বিতীয় স্ত্রীর ভরণপোষণের দায়িত্ব কী আমার নিতে হবে?।

প্রশ্ন ৬ঃ আমার প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে বিয়ে দুটোই শুদ্ধ হয়েছে কীনা পবিত্র আল কুর'আন এবং হাদীসের আলোকে সহীহ মাসয়ালা জানতে চাই?

প্রশ্ন ৭ঃ যদি প্রথম স্ত্রীর সাথে আমার বৈবাহিক  সম্পর্ক এখনও বহাল থাকে তাহলে তার ব্যভিচারের ফসল ঐ সন্তানদের দায়িত্ব কে পাবে?

বি. দ্র.

১. আমার এই দ্বিতীয় স্ত্রী (মোছাঃ মিমু আক্তার) তাহার নিজের পরিবারের সাথে আজীবন কোনরকম সম্পর্ক রাখিবে না এই ওয়াদা নিয়েছিলাম-অন্যথায় তাহাকে বিবাহ করিব না (বিয়ের আগেই নেয়া ওয়াদা, অতীতের প্রথম স্ত্রীর স্মৃতি যাতে কষ্ট না দেয় অর্থাৎ অতীত ভুলে থাকার জন্য- এটা বিয়ের কাবিননামার শর্ত নয়)। সে এবং আমি দুজনেই বিবাহের ব্যাপারে একমত হইয়া সুস্থ মস্তিষ্কে বিবাহের সম্পর্কে আবদ্ধ হইয়াছিলাম। (এই ব্যাপারে শরীয়তসম্মত পরামর্শ  দিবেন আশা করি)

২. আমরা পারিবারিকভাবে হানাফী মাযহাবের অনুসারী ছিলাম শুরু থেকেই।

উত্তরগুলো স্বত্ত্বর দিবেন আশা করি।

 إِنْ شَاءَ ٱللَّٰهُ‎‎ ❤️

(جَزَاكَ ٱللَّٰهُ خَيْرًا-أمين)

&lrm;&lrm;<!--/data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/clipdata/clipdata_bodytext_220909_234927_687.sdocx-->

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


★ঘটনা ০১ এর আলোকে

শরীয়তের বিধান হলো এক বৈঠকে ৩ তালাক দেওয়া হোক,বা একাধিক বৈঠকে,
এক শব্দে ৩ তালাক দেওয়া হোক বা একাধিক শব্দে ৩ তালাক দেওয়া হোক,সব ছুরতেই ৩ তালাকই পতিত হয়ে যাবে।       
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত স্ত্রীর উপর তিন তালাক পতিত হয়ে গিয়েছে।      

তিন তালাক দেবার পর উক্ত মহিলা আর নিজের স্ত্রী থাকে না। পর মানুষ হয়ে যায়। এটিই অমোঘ বিধান। 

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
    
فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا تَحِلُّ لَهُ مِن بَعْدُ حَتَّىٰ تَنكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ ۗ فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا أَن يَتَرَاجَعَا إِن ظَنَّا أَن يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ ۗ وَتِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ يُبَيِّنُهَا لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ [٢:٢٣٠] 

তারপর যদি সে স্ত্রীকে (তৃতীয়বার) তালাক দেয়া হয়, তবে সে স্ত্রী যে পর্যন্ত তাকে ছাড়া অপর কোন স্বামীর সাথে বিয়ে করে না নেবে,তার জন্য হালাল নয়। অতঃপর যদি দ্বিতীয় স্বামী তালাক দিয়ে দেয়,তাহলে তাদের উভয়ের জন্যই পরস্পরকে পুনরায় বিয়ে করাতে কোন পাপ নেই। যদি আল্লাহর হুকুম বজায় রাখার ইচ্ছা থাকে। আর এই হলো আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা;যারা উপলব্ধি করে তাদের জন্য এসব বর্ণনা করা হয়। [সূরা বাকারা-২৩০]

وقال الليث عن نافع كان ابن عمر إذا سئل عمن طلق ثلاثا قال لو طلقت مرة أو مرتين فأن النبي صلى الله عليه و سلم أمرني بهذا فإن طلقتها ثلاثا حرمت حتى تنكح زوجا غيرك

হযরত নাফে রহ. বলেন,যখন হযরত ইবনে উমর রাঃ এর কাছে ‘এক সাথে তিন তালাক দিলে তিন তালাক পতিত হওয়া না হওয়া’ (রুজু‘করা যাবে কিনা) বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলো,তখন তিনি বলেন-“যদি তুমি এক বা দুই তালাক দিয়ে থাকো তাহলে ‘রুজু’ [তথা স্ত্রীকে বিবাহ করা ছাড়াই ফিরিয়ে আনা] করতে পার। কারণ,রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে এরকম অবস্থায় ‘রুজু’ করার আদেশ দিয়েছিলেন। যদি তিন তালাক দিয়ে দাও তাহলে স্ত্রী হারাম হয়ে যাবে, সে তোমাকে ছাড়া অন্য স্বামী গ্রহণ করা পর্যন্ত। {সহীহ বুখারী-২/৭৯২, ২/৮০৩}

আরো জানুনঃ  

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার স্ত্রীর উপর তিন তালাক পতিত হয়েছে।

আপনার দেয়া তালাক শুদ্ধ হয়েছে।

(০২)
আমার স্ত্রীর পরের স্বামীর সাথে এমন সংসার জায়েয হয়নি।
এটি যেনার সংসার। 

(০৩)
যতদিন আপনার কাছে ছিলো,ততদিনের মধ্যে কোনো সন্তান হয়ে থাকলে তার পিতা আপনি হবেন।

যতদিন সে ২য় বিবাহের নামে এহেন যেনা শুরু করেছে,তার পর হতে যত সন্তান হয়েছে,সবই যেনার সন্তান।
তাদের বংশ সাব্যস্ত হবেনা।

(০৪)
তাকে আর তালাক দিতে হবেনা।
আপনার তালাক প্রদানের পর তার তো ইদ্দত কাল শেষ হয়ে গিয়েছে,সুতরাং সে এখন ঐ স্বামীকে বা অন্য কাউকে বিবাহ করতে পারবে।

(০৫)
অতি সত্ত্বের দিয়ে দিতে হবে,তবে দেড়িতে দেয়ার ক্ষেত্রে আপনার আগের সেই স্ত্রী রাজি হলে দেড়িতেও দিতে পারবেন।

(০৬)
মোহরানার টাকা দেরীতে প্রদান করিলে তালাকের উপরে এর কোন প্রভাব পড়বেনা।

(০৭)
তারা এখন নতুন ভাবে বিবাহ পড়িয়ে নিবে।

ঘটনা ০২ 
শরীতেয়ের বিধান হলো দুই বোনকে একসাথে বিবাহে রাখা জায়েজ নেই,হারাম।

আল্লাহ তায়ালা বলেন-

حُرِّمَتْ عَلَيْكُمْ أُمَّهَاتُكُمْ وَبَنَاتُكُمْ وَأَخَوَاتُكُمْ وَعَمَّاتُكُمْ وَخَالَاتُكُمْ وَبَنَاتُ الْأَخِ وَبَنَاتُ الْأُخْتِ وَأُمَّهَاتُكُمُ اللَّاتِي أَرْضَعْنَكُمْ وَأَخَوَاتُكُم مِّنَ الرَّضَاعَةِ وَأُمَّهَاتُ نِسَائِكُمْ وَرَبَائِبُكُمُ اللَّاتِي فِي حُجُورِكُم مِّن نِّسَائِكُمُ اللَّاتِي دَخَلْتُم بِهِنَّ فَإِن لَّمْ تَكُونُوا دَخَلْتُم بِهِنَّ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ وَحَلَائِلُ أَبْنَائِكُمُ الَّذِينَ مِنْ أَصْلَابِكُمْ وَأَن تَجْمَعُوا بَيْنَ الْأُخْتَيْنِ إِلَّا مَا قَدْ سَلَفَ ۗ إِنَّ اللَّهَ كَانَ غَفُورًا رَّحِيمًا

তোমাদের জন্যে হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাতা, তোমাদের কন্যা, তোমাদের বোন, তোমাদের ফুফু, তোমাদের খালা, ভ্রাতৃকণ্যা; ভগিনীকণ্যা তোমাদের সে মাতা, যারা তোমাদেরকে স্তন্যপান করিয়েছে, তোমাদের দুধ-বোন, তোমাদের স্ত্রীদের মাতা, তোমরা যাদের সাথে সহবাস করেছ সে স্ত্রীদের কন্যা যারা তোমাদের লালন-পালনে আছে। যদি তাদের সাথে সহবাস না করে থাক, তবে এ বিবাহে তোমাদের কোন গোনাহ নেই। তোমাদের ঔরসজাত পুত্রদের স্ত্রী এবং দুই বোনকে একত্রে বিবাহ করা; কিন্তু যা অতীত হয়ে গেছে। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাকরী, দয়ালু। (সূরা নিসা, ২৩)

(১-৫)
★আপনি যে ফোনে আপনার ১ম স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করে তাকে তিন তালাক দিয়েছিলেন,এই তালাক কবে দিয়েছিলেন?
যদি এই তালাক দেয়ার আগেই আপনি তার বোন মোছাঃ মিমু আক্তারকে বিবাহ করে থাকেন,তাহলে আপনার এই ২য় বিবাহ শুদ্ধ হয়নি।

★আপনার সন্তান যেনার সন্তান বলে বিবেচিত হবে,আপনি এ সন্তানের অভিভাবক বলে গন্য হবেননা।
,
★এই বিবাহ শুদ্ধ করিতে হইলে করনীয় হলো নতুন করে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে।

★নতুন কর বিবাহ পড়িয়ে নেয়ার আগে দ্রুত পৃথক হয়ে যেতে হবে।

★এক্ষেত্রে সন্তানদের ও এই মহিলা (দ্বিতীয় স্ত্রীর) ভরণপোষণের দায়িত্ব আপনাকে নিতে হবেনা।

(০৬)
বিষয়টি উপরে উল্লেখ রয়েছে।

(০৭)
তাহলে তার ব্যভিচারের ফসল ঐ সন্তানদের দায়িত্ব আপনিও পাবেননা,২য় স্বামীও পাবেনা।
এটি যেনার সন্তান।

কোনো বংশ সাব্যস্ত হবেনা।

★তবে শরীয়তের একটি বিধান হলো, যেনার পর সন্তান হলে যেনাকারী যদি সেই সন্তানের বাবা হওয়ার দাবী করে,এবং যেনার আলোচনা না করে, তাহলে ঐ বাচ্চার বংশ তার থেকে সাব্যস্ত হবে।

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত ব্যাক্তি (২য় স্বামী) যদি এই সন্তানের বাবা বলে স্বীকার করে,তাহলে সে এর ভরনপোষণ এর দায়িত্ব নিবে।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★উল্লেখ্য যে যদি আপনি আপনার ১ম স্ত্রীকে তালাক দেয়ার পর তার বোন মোছাঃ মিমু আক্তারকে বিবাহ করে থাকেন,তাহলে আপনার এই ২য় বিবাহ শুদ্ধ বলে গন্য হবে।
আপনাদের এই সংসার বৈধ সংসার বলে বিবেচিত হবে।
সেক্ষেত্রে এই ২য় স্ত্রীর সন্তান বৈধ সন্তান হবে,নতুন করে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...