আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
173 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (34 points)
reshown by
আসসালামুআলাইকুম, শায়েখ।

আমি একজন কলেজ পড়ুয়া। আমার আব্বা-আম্মা বদ-দীন ।গত বছর আমার আব্বা আমার আম্মার উপর রেগে গিয়ে বলে বসেন, "তোকে তালাক দিতেসি, এক তালাক, দুই তালাক"। এমনটা আমার আব্বা দুইবার দুইটা ভিন্ন ঘটনায় বলেছেন আমার আম্মাকে। মোটকথা, আমার আব্বা আমার আম্মাকে ৪ বার তালাক বলেছেন। আমি দুই-তিনজন বিশ্বস্ত উলামায়ে কেরামের সাথে এই বিষয়গুলো নিয়ে আলাপ করে জানতে পারি যে আমার আব্বা-আম্মা এখম পরস্পরের জন্য হারাম হয়ে গেসে। তাদের আর বিবাহ নেই। এ কথা আমি আমার আব্বা-আম্মাকে বোঝানোর চেষ্টা করি। আমি আমার সাধ্যমতো তাদের বোঝানোর চেষ্টা করলেও, তারা মানতে নারাজ। আমি রীতিমতো তাদেরকে এই হারাম সম্পর্ক থেকে আলাদা করার জন্য ছেলে হিসেবে যতটুকু প্রতিবাদ করা দরকার, তার থেকে অনেক বেশি করেছি, যার ফলে অনেকসময় তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছে এবং আমাকেও অনেক পেরেশানির শিকার হতে হয়েছে।

আজ এক বছরের বেশি পার হয়ে গেছে সেই ঘটনাগুলোর। কিন্তু, আজও তারা সংসার করছে। আমিও তাদের সঙ্গেই থাকি বাধ্য হয়ে, কারণ আমি আমার বাবার উপর  নির্ভরশীল। এখন আর আমি তাদের একত্র থাকা নিয়ে কোনো প্রতিবাদ করি না, কারণ তারা আমার কথা কানে লাগায় না এবং অহেতুক এই নিয়ে বাসায় ফেতনা-ফাসাদ সৃষ্টি হয়। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, আমার সামনে যদি আমার বাবা-মা তাদের এই হারাম সম্পর্ককে চালিয়ে যায়, এবং শারিরীক মেলামেশা করে, তাহলে কি আমি কোনো অংশে এর জন্য গুনাহগার হবো?

1 Answer

0 votes
by (583,050 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪٍ ﺍﻟﺨُﺪْﺭِﻱِّ - ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋﻨﻪُ - ﻗﺎﻝَ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳﻘُﻮﻝ" : ﻣَﻦْ ﺭَﺃَﻯ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﻣُﻨْﻜَﺮًﺍ ﻓَﻠْﻴُﻐَﻴِّﺮْﻩُ ﺑِﻴَﺪِﻩِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ  ﻓَﺒِﻠِﺴَﺎﻧِﻪِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻳَﺴْﺘَﻄِﻊْ ﻓَﺒِﻘَﻠْﺒِﻪِ ، ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺿْﻌَﻒُ ﺍﻹِﻳﻤَﺎﻥِ "
নবীজী সাঃ বলেনঃ তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি কোনো অন্যায় কাজ দেখে,তাহলে সে যেন তা হাত দিয়ে ,না পারলে মুখ দিয়ে এবং না পারলে সে যেন তা অন্তর দিয়ে গৃণা করে।এবং এটাই তার ঈমানের সর্বনিম্ন স্থর।(সহীহ মুসলিম-৭৩)

অন্তর দিয়ে গৃনা করার অর্থ হচ্ছে,হালালকে হালাল জানা এবং তাকে মহব্বত করা।এবং হারামকে হারাম জানা ও গৃনা করা এবং তার থেকে দূরে থাকা। বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/1982

রাগান্বিত অবস্থায় তালাক দিলে এর হুকুম কি?সে সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/182

বিনা কারণে তালাক প্রদান কি জায়েয? এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/468

এক সাথে তিন তালাক দিলে কয় তালাক পতিত হয়,এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/222

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি আপনার সামর্থ্যানুযায়ী মাতাপিতাকে বাধা দিবেন। সামর্থ্যানুযায়ী বাধা প্রদাণের পরও যদি মাতাপিতা একসাথে বসবাস করেন, তাহলে এতেকরে আপনার কোনো গোনাহ হবে না। মাতাপিতার অবশ্যই গোনাহ হবে। সর্বদা ব্যভিচারের গোনাহ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,050 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...