বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
হাদীস শরীফে এসেছে-
حَدَّثَنَا
عَلِيُّ بْنُ هَاشِمِ بْنِ مَرْزُوقٍ حَدَّثَنَا عَبِيدَةُ بْنُ حُمَيْدٍ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عُبَيْدِ اللهِ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ مُسْلِمٍ الْحَضْرَمِيِّ
عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ وَالَّذِي
نَفْسِي بِيَدِهِ إِنَّ السِّقْطَ لَيَجُرُّ أُمَّهُ بِسَرَرِهِ إِلَى الْجَنَّةِ
إِذَا احْتَسَبَتْهُ
মুযান বিন জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
সেই সত্তার শপথ, যার হাতে আমার প্রাণ! সন্তান গর্ভে মারা
যাওয়ার পর মা যদি ধৈর্য ধরে, ঐ গর্ভস্থ সন্তান
কিয়ামতের দিন তার মাকে তার নাড়ি দিয়ে জড়িয়ে-বেঁধে টেনে টেনে জান্নাতের দিকে
নিয়ে যাবে! সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস
নং- ১৬০৯
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সন্তান বিয়োগের কঠিন পরীক্ষায়ও ধৈর্য্য ধারণ করা মুমিনের
কর্তব্য। সবাই সন্তানের মৃত্যুতে খুবই ব্যথিত ও মর্মাহত হতে পারে। মহানবী (সা.)
নিজপুত্র ইব্রাহিমের মৃত্যুতে খুবই ভারাক্রান্ত পেয়েছিলেন। তাঁর দুচোখ অশ্রুসজল
হয়েছিল। (সহিহ বুখারি : ১৩০৩)
অন্য এক হাদীসে এসেছে-
وَعَنْ
أَبِىْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَجُلًا قَالَ لَه: مَاتَ ابْنٌ لِىْ فَوَجَدْتُ عَلَيْهِ
هَلْ سَمِعْتَ مِنْ خَلِيْلِكَ صَلَوَاتُ اللّهِ عَلَيْهِ شَيْئًا يُطَيِّبُ
بِأَنْفُسِنَا عَنْ مَوْتَانَا؟ قَالَ: نَعَمْ سَمِعْتُه ﷺ قَالَ: «صِغَارُهُمْ
دَعَامِيصُ الْجَنَّةِ يَلْقى أَحَدُهُمْ أَبَاهُ فَيَأْخُذُ بِنَاحِيَةِ ثَوْبِه
فَلَا يُفَارِقُه حَتّى يُدْخِلَهُ الْجَنَّةَ» .
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, একদা এক
ব্যক্তি তাঁকে বলল, আমার একটি পুত্র সন্তান মারা গেছে, যার জন্য
আমি শোকাহত। আপনি কি আপনার বন্ধু [মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)]
থেকে এমন কোন কথা শুনেছেন যা আমাদের হৃদয়কে খুশী করতে পারে? আবূ
হুরাইরাহ্ (রাঃ) বললেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে
শুনেছি, মুসলিমদের শিশুরা জান্নাতে সাগরের মাছের মতো সাঁতার কাটতে
থাকবে। যখন তারা তাদের পিতাকে পাবে তখন পিতার কাপড়ের কোণা টেনে ধরবে। পিতাকে
জান্নাতে না পৌছানো পর্যন্ত ছাড়বে না। সহীহ
: মুসলিম ২৬৩৫, আহমাদ ১০৩৩২, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৭১৪৩, সিলসিলাহ্
আস্ সহীহাহ্ ৪৩১, সহীহ আত্ তারগীব ১৯৯৮।
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত
ক্ষেত্রে আপনারা জান্নাতের আশা করতে পারেন যদি আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন এবং
প্রশ্নোক্ত ফজিলত আপনারাও পাবেন ইনশাআল্লাহ। তাই আল্লাহ তায়ালার হুকুমের উপর
সন্তুষ্ট থাকবেন এবং আল্লাহ তায়ালার কাছে খুব বেশী দুআ করতে থাকবেন।
উল্লেখ্য যে, তবে
শিরক, কুফরী, কবিরা গোনাহ ইত্যাদি থেকে
বেঁচে থাকতে হবে এবং নিয়মিত নামাজ, রোজা ইত্যাদি আদায় করতে
হবে এবং আল্লাহ তায়ালার সমস্ত হুকুম মেনে চলার চেষ্টা করতে হবে।