বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
সাধারণ পানি
(পবিত্র পানি) যা তার সৃষ্টিগত মৌলিকতার উপর বজায় থাকে এবং তা না-পাক বস্তু থেকে
মুক্ত। এটা ঐ সমস্ত পানি যা আকাশ থেকে বর্ষিত হয়। যেমন, বৃষ্টি কিংবা বরফ বা শিলা। অথবা ভূমি থেকে
উদ্ভূত হয় যেমন সাগরের পানি, নদীর পানি, বৃষ্টির পানি, কূপের পানি।
আবু সাঈদ খুদরী
রাদয়িাল্লাহু আনহু থেকে র্বণতি, তিনি বলনে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে
জিজ্ঞাসা করা হলো যে, আমরা বুযা‘আ
কূপরে পানি দ্বারা অযু করতে পারবো কি? তা এমন কূপ যাতে
অপবত্রি বস্তু নিক্ষেপ করা হয়। তখন তিনি বললেন:
الْـمَاءُ طَهُوْرٌ لاَ يُنَجِّسُهُ شَيْءٌ
পানি বলতেই তা
পবত্রি ও এবং অন্যকে পবিত্রতাকারী। কোনো বস্তু একে অপবত্রি করতে পারে না” আবু দাউদ, হাদীস নং ৬৬
সমুদ্ররে পানি
সর্ম্পকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
هُوَ الطَّهُوْرُمَاؤُهُ، الْحِلُّ مَيْتَتُهُ
সমূদ্রের পানি
পবিত্র ও অন্যকে পবিত্রতাকারী এবং উহার মৃত হালাল” আবু দাউদ, হাদীস নং ৮৩
তবে কোনো নাপাক
বস্তু র্কতৃক পানির রং, ঘ্রাণ ও স্বাদের
কোনো একটির পরর্বিতন ঘটলে তা নাপাক বলে পরিগণিত হবে। এ ব্যাপারে আলেমদের কোনো
দ্বিমত নেই।
হাদীসের আলোকে
সাধারণ পানি বলতে এমন পানি বুঝায় যার গন্ধ,
স্বাদ এবং রং
স্বাভাবিক। ইবনে মাজা, হাদীস নং-৫২১
হুকুম- নিজে
পবিত্র এবং অন্যকে পবিত্রতাকারী; এর দ্বারা
নাজাসাত ও হাদাস উভয়েই দূর হবে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ:
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَدْخُلُ
الْجَنَّةَ لَحْمٌ نبَتَ منَ السُّحْتِ وكلُّ لحمٍ نبَتَ منَ السُّحْتِ كَانَتِ
النَّارُ أَوْلَى بِهِ»
যে দেহের গোশত/গোশত হারাম উপার্জনে গঠিত, তা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। হারাম ধন-সম্পদে গঠিত ও লালিত পালিত দেহের
জন্য জাহান্নামই উপযোগী। (মুসনাদে আহমাদ ১৪৪১, শু‘আবুল ঈমান ৮৯৭২, দারিমী
২৭৭৯)
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. না, নিজের সাথে
নিজে কথা বলা শিরক, কুফরী নয়। বরং বৈধ কথা বললে এতে কোনো
গোনাহ হবে না ইনশাআল্লাহ।
২. বৃষ্টির পানি পাক। তাই বৃষ্টির পানি গায়ে পড়লে
অজু বা গোসল করা লাগবে না এবং ওজু করা থাকলে ওজু ভাঙ্গবেও না।
৩. হারাম খাওয়ার
কারণে তার অনেক বড় গোনাহ হবে। তবে হারাম খাওয়ার কারণে তার ঈমান চলে যাবে না। তবে
জেনে বুঝে ঐ হারামকে হালাল মনে করে খেলে তখন তার ঈমান চলে যাবে। কারণ, হারামকে জেনে
বুঝে হালাল মনে করে খেলে তার ঈমান চলে যায়।