بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
ইসলামে
বিবাহবিহির্ভূত প্রেম, যৌন সম্পর্ক, আসক্তিমূলক আচরণ, সামাজিকতার নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুকে ফাহেশা কথা-বার্তা বা চ্যাটিং সবই হারাম তথা নিষেধ।
যৌন সম্পর্ক, অবৈধ প্রেম-ভালোবাসা তো দূরের কথা, বিবাহবহির্ভূত নারী-পুরুষরা কোমল বা নরম
ভাষায় সরাসরি, মোবাইলে
কিংবা চ্যাটিংয়ের মাধ্যমে আসক্তিমূলক কথা-বার্তাও বলা যাবে না। এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা
কুরআনে পাকে সুস্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করেছেন-
يَا نِسَاءَ النَّبِيِّ لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِّنَ النِّسَاءِ ۚ إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلًا مَّعْرُوفًا
‘হে নবি পত্নীগণ! তোমরা অন্য
নারীদের মতো নও; যদি তোমরা
আল্লাহকে ভয় কর, তবে পরপুরুষের
সঙ্গে কোমল ও আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে কথা বলো না। যার ফলে সে ব্যক্তির কুবাসনা সৃষ্টি হয়, যার অন্তরে আসক্তি আছে। তোমরা উত্তম (সংযত)
কথাবার্তা বলো।’ (সুরা আহযাব : আয়াত ৩২)
আবার নারী-পুরুষ
পরস্পরের প্রতি দৃষ্টি বিনিময়েও রয়েছে সুস্পষ্ট হুকুম। এ প্রসঙ্গে কুরআনে পাকে আল্লাহ
তাআলা সুস্পষ্ট নীতিমালা ঘোষণা করেছেন।
পুরুষদেরকে উদ্দেশ্য করে আল্লাহ তাআলা
ঘোষণা করেন-
قُل لِّلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ۚ ذَٰلِكَ أَزْكَىٰ لَهُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ
‘(হে রাসুল! আপনি) মুমিনদেরকে
বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত
রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গের হেফাজত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা রয়েছে। নিশ্চয় তারা
যা করে আল্লাহ তাআলা সে ব্যাপারে খবর রাখেন।’ (সুরা নুর : আয়াত ৩০)
★প্রিয় প্রশ্নকারী
দ্বীনি ভাই/বোন!
গার্লফ্রেন্ডের
দেয়া চকলেট না খেয়ে কোন গরীব ব্যক্তিকে সদকা করে দেওয়াই উত্তম । কারণ গার্লফ্রেন্ডের
দেয়া কোনো খাবার খেলে বা তার দেওয়া উপহার কাছে থাকলে সেগুলো থেকে তার প্রতি আসক্তি
ও ভালোবাসা বৃদ্ধি হবে । যা ইসলামে সম্পূর্ণ হারাম। সুতরাং সেই ভাইয়ের প্রতি পরামর্শ
থাকবে পরকালের কথা স্বরণ করে যতদ্রুতু সম্ভব হারাম রিলেশন থেকে নিজেকে মুক্ত করার জন্য
আপ্রাণ চেষ্টা করবে।