بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://www.ifatwa.info/107 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
মানুষ কখন
মুসাফির হয় আবার কখন মুক্বিম হয় সেটা বুঝার জন্য প্রথমেই আমাদেরকে কিছু ফেকহী মূলনীতি
বুঝতে হবে,,,,,,
والوطن الأصلي هو الذي ولد فيه" الإنسان "أو تزوج" فيه
"أو لم يتزوج" ولم يولد فيه "و" لكن "قصد التعيش لا
الارتحال عنه ووطن الإقامة موضع" صالح لها على ما قدمناه وقد "نوى
الإقامة فيه نصف شهر فما فوقه"
ওয়াতানে
আসলীঃ ঐ স্থান যেখানে মানুষ জন্মগ্রহণ করেছে,অথবা বিয়ে করেছে(সাথে বসবাসেরও
নিয়ত করেছে)অথবা জন্মগ্রহণ ও করেনি এবং বিয়ে ও করেনি তবে সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের
দৃঢ়তর ইচ্ছা পোষণ করেছে,সেখান থেকে সে অন্য কোথা যাবে না।এমন স্থানকে ওয়াতানে আসলী বলে।
ওয়াতানে
ইক্বামাহঃ যেখানে অস্থায়ীভাবে ১৫দিনের বেশী সময় অবস্থানের নিয়ত করেছে।সে স্থানকে ওয়াতানে
ইক্বামাহ বলে।(মারাক্বিল ফালাহ-১/১৬৫)
ويبطل الوطن الأصلي بالوطن الأصلي إذا انتقل عن الأول بأهله وأما إذا لم
ينتقل بأهله ولكنه استحدث أهلا ببلدة أخرى فلا يبطل وطنه الأول ويتم فيهما............
......ولو انتقل
بأهله ومتاعه إلى بلد وبقي له دور وعقار في الأول قيل: بقي الأول وطنا له وإليه
أشار محمد - رحمه الله تعالى - في الكتاب،
ওয়াতানে
আসলী, ভিন্ন ওয়াতানে আসলী দ্বারা বাতিল হয়ে যায়।(তথা পরবর্তীতে কোনো স্থানকে ওয়াতানে
আসলী বানালে পূর্ববর্তী ওয়াতানে আসলী বাতিল হয়ে যায়)তবে যদি কেউ পূর্ববর্তী বাসস্থান
থেকে পরিবারবর্গ কে না সরায়,এবং ভিন্ন শহরে নতুন কোনো পরিবারবর্গকে
স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য নির্ধারণ করে(অথবা দ্বিতীয় বাসস্থানে বর্তমান অবস্থানস্থল
থাকলেও প্রথমটিকে বিক্রি করে দেয়া হয়নি,বরং মাঝেমধ্যে এখানে আসা
হয়)তবে প্রথম বাসস্থান বাতিল হবে না।এ সময় উভয় বাসস্থান-ই ওয়াতানে আসলী হিসেবে গণ্য
হবে।এবং উক্ত দুই স্থানেই পূর্ণ নামায পড়া হবে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া;১/১৪২) আরো রয়েছে- (ফাতাওয়ায়ে রহিমিয়্যাহ-৫/১৭৬)
★প্রিয় প্রশ্নকারী
দ্বীনি ভাই/বোন!
১. তিন দিন
বা তার সমপরিমাণ দূরত্বের অধিক সফর করলে কেউ মুসাফির হিসাবে গণ্য হবে। যেমন ফাতাওয়ায়ে
হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে-
أَقَلُّ مَسَافَةٍ تَتَغَيَّرُ فِيهَا الْأَحْكَامُ مَسِيرَةُ ثَلَاثَةِ
أَيَّامٍ، كَذَا فِي التَّبْيِينِ، هُوَ الصَّحِيحُ
সর্বনিম্ন
দূরত্ব যার দ্বারা শরীয়তের বিধি-বিধানে পরিবর্তন
আসে।(তথা মানুষ মুসাফির হয়)তিন দিনের দূরত্ব।(তাবয়ীন) এটাই বিশুদ্ধ মত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৩৮)বিস্তারিত
জানুন-১২৮১
তিনদিনের
দূরত্বকে ফুকাহায়ে কেরাম ৭৭ কিলো সমপরিমাণ নির্ধারণ করেন। তাই বর্তমানে কেউ ৭৭কিলো
সমপরিমাণ সফর করলে সে শরয়ী মুসাফির হিসেবে গণ্য হবে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/4429
মূলত কসর
নামাজ পড়তে হয় শরিয়তের দৃষ্টিতে মুসাফির হলে। আর শরিয়তের দৃষ্টিতে মুসাফির বলা হয়— কোনো ব্যক্তি
তার অবস্থানস্থল থেকে ৪৮ মাইল তথা ৭৮ কিলোমিটার দূরে সফরের নিয়তে বের হয়ে— নিজ শহর
বা গ্রাম পেরিয়ে গেলেই সে মুসাফির হয়ে যায়। (জাওয়াহিরুল ফিকহ: ১/৪৩৬)
সুতরাং উপরে উল্লেখিত দূরত্ব
অতিক্রম করার নিয়ত করে কোন জায়গায় ১৫ দিনের কম থাকার নিয়ত করলে মুসাফির হবে।
২. যোহর , আসর ও এশার ফরজ
চার রাকাত নামাজ দুই রাকাত করে পড়বে। ফজর ও মাগরীবের নামাজ পূর্ণ পড়বে।
৩. ভুলক্রমে এমন হয়ে গেলে
নামাজ হয়ে যাবে। তবে, ওয়াক্তের মধ্যে স্মরণ হলে আবার কসর পড়ে নিতে হবে।
পরবর্তীতে স্মরণ হলে আর সেই নামাজ দোহরাতে হবে না।
৪.
জ্বী একই হুকুম।
৫.
সফরের উল্লেখিত শর্ত না পাওয়া গেলেই তাকে মুকিম ধরা হবে। মুকিম ব্যক্তি প্রত্যেক
ওয়াক্তের নামাজ পরিপূর্ণ আদায় করবেন।