আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
190 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (40 points)
edited by
১। আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ। ধরেন স্বামী স্ত্রীর ফোনে বা মেসেজে কথা হয়।মানে স্ত্রী এখনো বাবার বাসায় থাকে নামিয়ে নেয় নি।স্ত্রী যদি কোন কারনে রাগ করে বলে মা বাবার সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিব কি করব সেটা।মানে স্ত্রীর মনপ ছিল মা বাবার সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিবে সংসার করবে নাকি ছেড়ে দিবে।কিন্তু স্ত্রী উচ্চারন ও করে নি তালাকের কথা।কিন্তুু স্বামী বুঝেছে।স্বামী বলে মাকে বা বাবাকে বললে সব শেষ হয়ে যাবে।স্ত্রী কিন্তুু তালাক চায় নি আর মেসেজে।স্বামী যদি নিয়ত ছাড়া এসব বলে তাহলে কি তালাক হবে?এটা ঠিক আমার প্রশ্ন না।

২।ধরেন উপরের স্বামীটা স্ত্রীকে পাওয়ার দিছে।সে মানে বউ তহ নিজের দিকে ইন্গিত করে কিছু বলে নি।উপরের প্রশ্নে যে কথা গুলো  লিখেছে  বা স্বামীকে বলেছে স্ত্রী   আগে ঔইসব কথা দ্বারা কি বৈববাহিক সম্পর্কে কোন সমস্যা হবে?

৩।উপরের প্রশ্নে কথা গুলো স্ত্রী লিখলে বৈববাহিক সম্পর্কে  কি সমস্যা হবে স্ত্রীকে পাওয়ার দিলে?সে তহ নিজের দিকে কিছু ইন্গিত করে নি।

৪। ওরা স্বামী স্ত্রী একসাথে থাকতে চায় বা থাকলে কি সমস্যা হবে?
by (1 point)
বোন পরামর্শ হল, আপনি দ্রুত কোন সাইকিয়াট্রিস্ট এর শরাণাপন্ন হোন। ওয়াসওয়াসা একটি মানসিক রোগ, যাকে মেডিক্যালের ভাষায় ওবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসওর্ডার(OCD) বলে।
অনেক দিনের শয়তানি ওয়াসওয়াসা মানসিক রোগে পরিণত হয়। ইনশাআল্লাহ এ রোগ মেডিসিন ও কাউন্সিলিং এ ভাল হয়, সাথে আল্লাহর কাছেও এ রোগ মুক্তির জন্য দোয়া করতে হয়।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
চার মাযহাব সম্ভলিত সর্ববৃহৎ ফেকহি গ্রন্থ "আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যা"গ্রন্থে লিপিবদ্ধ রয়েছে যে,
نَقَل ابْنُ عَابِدِينَ عَنِ اللَّيْثِ: فِي مَسْأَلَةِ طَلاَقِ الْمُوَسْوَسِ  أَنَّهُ لاَ يَجُوزُ طَلاَقُ  الْمُوَسْوَسِ  ، قَال: يَعْنِي الْمَغْلُوبَ فِي عَقْلِهِ
وَنَقَل ابْنُ الْقَيِّمِ: إِنَّ الْمُطْلِّقَ إِنْ كَانَ زَائِل الْعَقْل بِجُنُونٍ أَوْ إِغْمَاءٍ أَوْ وَسْوَسَةٍ لاَ يَقَعُ طَلاَقُهُ،  قَال: وَهَذَا الْمَخْلَصُ مُجْمَعٌ عَلَيْهِ بَيْنَ عُلَمَ ـ اءِ الأُْمَّةِ

- رِدَّةُ الْمُوَسْوَسِ: 
٢١ - إِنْ تَكَلَّمَ الْمُوَسْوَسُ  بِكَلاَمٍ يَقْتَضِي الرِّدَّةَ لَمْ يَكُنْ فِي حَقِّهِ رِدَّةٌ. صَرَّحَ بِذَلِكَ الْحَنَفِيَّةُ، يَعْنُونَ الْمَغْلُوبَ فِي عَقْلِهِ
ইবনে আবেদিন শামী রাহ বর্ণনা করেন,ওয়াসওয়াসা গ্রস্থ ব্যক্তি -যার বিবেকবুদ্ধি লোপ পেতে বসেছে-তার তালাক গ্রহণযোগ্য নয়।
ইবনুল কাইয়িম রাহ বলেন, যদি তালাক প্রদানকারী ব্যক্তির ওয়াসওয়াসা,বেহুশি বা পাগলামির দরুণ বিবেকবুদ্ধি লোপ পেতে থাকে, তাহলে তার তালাকও গ্রহণযোগ্য হবে না। এর উপর সমস্ত উলামাদের ঐক্যমত রয়েছে।(আল-মাওসু'আতুল ফেকহিয়্যাতুল কোয়েতিয়্যাহ-৪৩/১৫৬)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/835

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
''স্ত্রী যদি কোন কারনে রাগ করে বলে মা বাবার সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিব কি করব সেটা। মানে স্ত্রীর মনে ছিল মা বাবার সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিবে সংসার করবে নাকি ছেড়ে দিবে। কিন্তু স্ত্রী উচ্চারনও করেনি তালাকের কথা। কিন্তুু স্বামী বুঝেছে। স্বামী বলে মাকে বা বাবাকে বললে সব শেষ হয়ে যাবে। স্ত্রী কিন্তুু তালাক চায় নি আর মেসেজে।"

এই আলোচনার পর স্ত্রী যদি তার মাতাপিতার সাথে ঐ বিষয়ে আলাপ আলোচনা করে, যে বিষয়ে আলাপ আলোচনা করতে স্বামী বাধা দিয়েছে, তাহলে ১ তালাকে বায়েন পতিত হয়ে যাবে।

(২)
স্ত্রীর তালাকের অধিকার থাকলেও শুধুমাত্র স্ত্রীর ঐ সমস্ত কথা দ্বারা তালাক হবে না।

(৩)
স্ত্রীর ঐ সব কথা বলার দ্বারা স্ত্রীর কোনো সমস্যা হবে না।

(৪) জ্বী, ঐ স্বামী স্ত্রী একসাথে থাকতে পারবে, এতে কোনো সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...