আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
142 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (19 points)
ألسَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَ رَحْمَةُ اللّٰهِ وَ بَرَكَاتُهٗ

প্রশ্নঃ   ১. আমি দুজনকে কুরআন পড়ায়। উনাদের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেক ভালো। আমাদের ও অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো। উনারা আমাকে হাদিয়া দিতে চেয়েছে।  কিন্তু আমার কুরআন শিক্ষা দিয়ে হাদিয়া নিতে খারাপ লাগছে। শায়খ এর কাছে আমার কোশ্চেন হলো,   কুরআন শিক্ষা দিয়ে হাদিয়া নেওয়া উত্তম নাকি না নেওয়া বেশি উত্তম?  পারিশ্রমিক নিলে কি এই কুরআন শিক্ষা দেওয়া আমার জন্য সদকায় জারিয়া হবে?
২. আমার ফ্যামিলিতে ইসলামি ব্যাংকের ইন্টারেস্ট গ্রহণ করে। উনারা বলেন ইসলামিক ব্যাংকের ইন্টারেস্ট নেওয়া নাকি জায়িজ। কিন্তু আমি ফিকহ ক্লাসে উস্তাদের থেকে শুনেছি ইসলামি ব্যাংকেও সুদ মিশ্রিত থাকে।  এখন ফ্যামিলিতে বুঝালেও বোঝেনা। এখন এই সুদের টাকা  আমার ভরণপোষণেও মিশ্রিত। আমি কিভাবে এর থেকে পরিত্রাণ পাব? যেহেতু আমি মেয়ে আমার কোনো ইনকাম নাই।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
কুরআন শিক্ষা দিয়ে বেতন নেয়া জায়েয কিনা?
এ ব্যাপারে উলামায়ে কেরামদের মতপার্থক্য রয়েছে।কিছুসংখ্যক উলামায়ে কেরাম বিশেষকরে মুতাক্বাদ্দিমিন(৩০০ হিজরী পৃর্ব) হানাফি ফকিহগণ নাজায়েয বলেছেন।তবে মুতা'আখখিরিন(৩০০ হিজরী পরবর্তী) হানাফি ফকিহগণ আবার জায়েয বলেছেন।
এ দুইটি মতের মধ্যে বিশুদ্ধ মত হচ্ছে- কুরআন শিক্ষা দিয়ে বেতন নেয়া জায়েয।
দলিল হচ্ছে- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণীর ব্যাপকতা
 " إن أحق ما أخذتم عليه أجراً كتاب الله ." 
“তোমরা যে যে কাজের জন্য পারিশ্রমিক গ্রহণ কর এর মধ্যে আল্লাহর কিতাব সবচেয়ে উপযুক্ত”[সহিহ বুখারী-২২৭৬ ও সহিহ মুসলিম-]
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/993

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
পারিশ্রমিক গ্রহণ করার পরও এই কুরআন শিক্ষা দেওয়া আপনার জন্য সদকায় জারিয়া হিসেব থাকবে।হ্যা, আপনি গ্রহণ না করতেও পারবেন।তবে বিনা পারিশ্রমিকে শিক্ষার গুরুত্ব তেমন থাকে না, তাই আপনি সামর্থবানদের কাছ থেকে পারিশ্রমিক নিয়ে  সদকাহ করে দিতে পারেন। আর গরীবদেরকে ফ্রিতে পড়াবেন। আপনি চাইলে সবাইকে ফ্রিতে পড়াতে পারেন।অহংকার ও রিয়ামুক্ত থাকতে পারলে সেটা অবশ্যই উত্তম হবে।

(২)

মেয়ের বাবার ইনকাম যদি হারাম হয়,এবং ঐ বাবার মেয়ে যদি দ্বীনদ্বার হয়,তাহলে এমন মেয়েকে বিয়ে করতে কোনো অসুবিধে নাই।
কেননা বাবার ইনকাম হারাম হলেও বাবার উপর শরীয়ত কর্তৃক মেয়েকে লালন পালন করা ওয়াজিব।হারাম খাওয়ানোর দরুণ বাবাকে জবাবদিহি করতে হবে।তবে মেয়ে নিরাপরাধ হিসেবেই থাকবে।
নাবালক ছেলে সন্তান এবং সকল বয়সের মেয়ে সন্তানের লালনপালনের দায়িত্ব নিকটাত্মীয় মাহরাম পুরুষের উপর।পিতা,ভাই,চাচা ইত্যাদি মাহরাম পুরুষরা ধারাবাহিক মেয়ে সন্তানদের লালন-পালনের দায়িত্ব গ্রহণ করবে। এটা তাদের উপর ওয়াজিব।তারা এ দায়িত্ব পালন না করলে গোনাহগার হবে।
ونفقة البنت بالغة والابن بالغا زمنا أو أعمى على الأب خاصة به يفتى 
বালেগ মেয়ে এবং বালেগ পঙ্গু বা অন্ধ ছেলের ভরণপোষণের দায়িত্ব পিতার উপর।এটার উপরই ফাতাওয়া।(আল-উকুদুদ-দুররিয়া-১/৮২) বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/2362

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি মেয়ে হিসেবে, বাবার হারাম ইনকাম আপনার জন্য সমস্যা হবে না।আপনার জন্য খাওয়া দাওয়া জায়েয। গোনাহ আপনার বাবার হবে। আপনার দায়িত্ব হল, সামর্থ্যানুযায়ী বাবাকে বুঝানো।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 201 views
...