বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
শরীয়তের বিধান হলো এক নফল নামাজে একাধিক নফলের নিয়ত করার দ্বারা সমস্ত নামাজই আদায় হয়ে যায়।
অবশ্য ঐ নফল যদি কোনো ওয়াক্ত বা কাজের সাথে সম্পৃক্ত থাকে,
তাহলে সেটা আদায়ের জন্য উক্ত ওয়াক্ত বা কাজ পাওয়া যাওয়া জরুরি।
যেমন ইশরাক নামাজের জন্য উক্ত ওয়াক্তেই হতে হবে।
তাহিয়্যাতুল মসজিদের জন্য মসজিদে প্রবেশের পর বসার পূর্বেই আদায় করতে হবে।
(নাজমুল ফাতওয়া ২/২৬৮)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
الصحیح للبخاری(۲/۱): …… علقمۃ ابن وقاص اللیثی یقول سمعت عمر بن الخطاب رضی اللہ تعالیٰ عنہ علی المنبر یقول سمعت رسول اﷲ ﷺ یقول انما الاعمال بالنیات وانما لامریٔ مانوی۔
‘উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিয়্যাতের উপরই কাজের ফলাফল নির্ভরশীল। মানুষ তার নিয়্যাত অনুযায়ী ফল পাবে।
(বুখারী ১, মুসলিম ১৯০৭, তিরমিযী ১৬৩৭, নাসায়ী ৭৫, আবূ দাঊদ ২২০১, ইবনু মাজাহ্ ৪২২৭, আহমাদ ১৬৯, ৩০২।)
وفی حاشیۃ الطحطاوی علی مراقی الفلاح(صـ۲۱۶): ثم انہ ان جمع بین عبادات الوسائل فی النیۃ صح کمالو اغتسل لجنابۃ وعید وجمعۃ اجتمعت ونال ثواب الکل وکمالو توضا لنوم وبعد غیبۃ وأکل لحم جزور وکذا یصح لونوی نافلتین او اکثر کمالو نوی تحیۃ مسجد وسنۃ وضوء وضحی وکسوف۔
সারমর্মঃ কেহ যদি দুইটি নফল নামাজের নিয়ত করে,তার তার উভই নামাজ আদায় হয়ে যাবে।
কেহ যদি তাহিয়্যাতুল মসজিদ,তাহিয়্যাতুল অযু,সুন্নাত,ইত্যাদি এক সাথে নিয়ত করে,তাহলে সবই আদায় হয়ে যাবে।
মসজিদে ঢুকেই কেহ যদি সুন্নাত নামাজ পড়ে,তাহলে তাহিয়্যাতুল মসজিদ এর নামাজও আদায় হয়ে যাবে।
(নাজমুল ফাতওয়া ২/২৫৫)
,
এক নফল নামাজে একাধিক নফলের নিয়ত করা যায়, তাহিয়্যাতুল অজু ও সালাতুত তাওবা এক নিয়তে পড়া যাবে। (রদ্দুল মুহতার : ১/৬৩১)
বিস্তারিত জানুনঃ-
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
২ রাকাত নফল নামাযে একসাথে ৩ টা নফল নামায বা তার চেয়ে বেশি নফল নামাজের নিয়ত করা যায়।
একসাথে সালাতুত তাওবা,সালাতুল ইস্তিখারা, সালাতুশ শুকুর, সালাতুল আওয়াবিন,সালাতুল হাজত এই ৫ নিয়তে 2 রাকাত নফল নামায পরা যাবে।
(উল্লেখ্য, এখানে যেহেতু আওয়াবিন আছে,তাই এই নামাজ মাগরিবের পর আদায় করতে হবে।)
এভাবে পড়লে সব গুলো নামাযের সওয়াব পাওয়া যাবে।
(০২)
হ্যাঁ নিয়ত করা যাবে।
(০৩)
হ্যাঁ নিয়ত করা যাবে।
(০৪)
অন্য যেকোনো নফল নামাজের নিয়ত করতে পারবেন।
যেমন ছলাতুল হাজত,,,,,অযুর পরপরই অঙ্গ শুকিয়ে যাওয়ার আগে পড়লে তাহিয়্যাতুল অযুর নিয়ত,মসজিদে প্রবেশের পর বসার আগেই পড়লে তাহিয়্যাতুল মসজিদেরও নিয়ত করতে পারবেন।
(০৪)
গরুর পেশাব নাপাক।
শরীরে বা কাপড়ে লাগলে পাক না হওয়া ব্যাতিত নামাজ হবেনা।
শুকিয়ে গেলে না ধুয়ে নামাজ আদায় করা যাবেনা।
পাক করতেই হবে।
তবে এটি যেহেতু নাজাসাতে খফিফাহ,তাই কাপড় বা শরীরের যে অংশে নাজাসত লাগবে তার চতুর্থাংশ থেকে কম লাগলে তাহা মাফ হবে।
সেই শরীরে/কাপড়ে নামাজ পড়া যাবে।
আর যদি কাপড় বা শরীরের যে অংশে নাজাসত লাগবে তার চতুর্থাংশ থেকে বেশি লাগে,তাহলে তাহা মাফ হবেনা।
সেই শরীরে/কাপড়ে নামাজ পড়া যাবেনা।
বিস্তারিত জানুনঃ-
(০৫)
মুখে তালাক আর কাগজ কলমে ডিভোর্স এর মাসায়ালা একই।
কোনো পার্থক্য নেই।
,
সুতরাং এক্ষেত্রে কাগজ কলমে ডিভোর্স যে তালাক দিয়েছে,সেই কয় তালাক লেখা ছিলো?
যদি তিন তালাক লেখা থাকে,তাহলে ইদ্দতের পর শরয়ী হালালাহ (অন্যত্রে বিবাহ ও সেখানে ঘর সংসার, এমনকি সহবাসও হতে হবে,তারপর যদি সেই ২য় স্বামী তালাক দেয়) অতঃপর পুনরায় ইদ্দত পালন ব্যাতিত ঐ স্ত্রীকে বিবাহ করা কোনোভাবেই জায়েজ হবেনা।
যেনার সংসার হবে।
,
ডিভোর্স পেপারে যদি এক/দুই তালাক লেখা থাকে,বা কোনো সংখ্যা লেখা না থাকে,তাহলে সেই স্ত্রীকে পুনরায় ফিরিয়ে নেয়া যাবে।
ইদ্দত পালন করতে হবেনা।