ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/6080/ নং ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে,
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
نِسَآؤُكُمْ حَرْثٌ
لَّكُمْ فَأْتُواْ حَرْثَكُمْ أَنَّى شِئْتُمْ وَقَدِّمُواْ لأَنفُسِكُمْ
وَاتَّقُواْ اللّهَ وَاعْلَمُواْ أَنَّكُم مُّلاَقُوهُ وَبَشِّرِ الْمُؤْمِنِينَ
তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্য ক্ষেত্র। তোমরা যেভাবে ইচ্ছা
তাদেরকে ব্যবহার কর। আর নিজেদের জন্য আগামী দিনের ব্যবস্থা কর এবং আল্লাহকে ভয়
করতে থাক। আর নিশ্চিতভাবে জেনে রাখ যে, আল্লাহর
সাথে তোমাদেরকে সাক্ষাত করতেই হবে। আর যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে সুসংবাদ জানিয়ে
দাও। (সূরা বাকারা-২২৩)
আল্লাহ অত্র আয়াতে স্ত্রীর সাথে সহবাস ও স্ত্রীর নিকট থেকে ফায়দা গ্রহণের
মূলনীতি মূলক আলোচনা করছেন।সুতরাং পিছনের রাস্তা ব্যতীত স্ত্রীর কাছ থেকে যেকোনো
পদ্ধতিতে ফায়দা গ্রহণ করা যাবে,
এ অনুমতি
রয়েছে।
সুতরাং স্ত্রীর শরীরের যেকোনো অঙ্গ দ্বারা ফায়দা গ্রহণ জায়েয।এজন্য উলামায়ে
কেরাম বলেন,কোনো কারণে স্ত্রী সহবাস অসম্ভব হলে,তখন স্ত্রীর হাত দ্বারা হস্তমৈথুনের অনুমোদন
রয়েছে।
এ বিধান কি শুধুমাত্র স্বামীর জন্য যে,সে তার স্ত্রীর
কাছে থেকে গ্রহণ করতে পারবে?
না স্ত্রীও
তার স্বামীর কাছ থেকে পারবে?
উত্তরে বলা যায়,
ফায়দা গ্রহণের ক্ষেত্রে স্বামী স্ত্রী উভয়ের বিধান প্রায় সমান সমান।
যেভাবে স্বামী ফায়দা নিতে পারবে,ঠিক সেভাবে
স্ত্রীও ফায়দা নিতে পারবে।
ফায়দা গ্রহণের কথা আল্লাহ কুরআনে এভাবে উল্লেখ করেন যে,
أُحِلَّ لَكُمْ
لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَى نِسَآئِكُمْ هُنَّ لِبَاسٌ لَّكُمْ وَأَنتُمْ
لِبَاسٌ لَّهُنَّ
রোযার রাতে তোমাদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করা তোমাদের জন্য হালাল করা
হয়েছে। তারা তোমাদের পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের পরিচ্ছদ। (সূরা বাকারা-১৮৭)
সুতরাং স্বামী তার স্ত্রীকে হস্তমৈথুনের মাধ্যমে সুখ দিতে পারবে।
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
১. গর্ভবতী অবস্থায় নামাজ
পড়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন- https://ifatwa.info/44791/?show=44791#q44791
২. জ্বী হ্যাঁ, নিষিদ্ধ পন্থা ছাড়া অন্য
যে কোনো উপায়ে দৈহিক চাহিদা
পূরণ করতে বা স্বামীর দৈহিক চাহিদা পূরণ করাতে পারবেন।
৩. আপনি বিশেষ করে প্রয়োজনে শুয়ে
শুয়েই সকাল সন্ধার ওজিফাগুলো আমল করার
চেষ্টা করবেন। বেশী বেশী কুরআন তেলাওয়াত করার চেষ্টা করবেন। দেখে পড়তে কষ্ট হলে
শুয়ে শুয়ে মুখস্থ পড়বেন। কারণ, এখন আমল করলে আপনার পেটের সন্তানের উপর ঐ আমলের আলাদা একটা প্রভাব পড়বে। আর সব
ধরণের গোনাহ থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন। আর আল্লাহ তায়ালার কাছে বেশী বেশী দুআ
করবেন।
সকাল-সন্ধ্যার আমল
সম্পর্কে জানুন- https://ifatwa.info/27055/?show=27055#q27055