ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/2830/ নং ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে,
মসজিদ সাধারণতঃ দুই ধরণের। যথা-
১. স্থানীয় মসজিদ। ২. চলাচলের রাস্তায়, যানবাহনের স্টপিজ ইত্যাদি স্থানের মসজিদ।
১ম প্রকার মসজিদের বিধান:
স্থানীয় মসজিদগুলোতে যদি তাতে নির্ধারিত
ইমাম থাকে, তাহলে স্থানীয় লোকজনের জন্য নিয়মিত
দ্বিতীয় তৃতীয় জামাত করে নামায পড়া মাকরূহ। এতে করে মসজিদে প্রথম জামাতের গুরুত্ব
কমে যায়।
কিন্তু কখনো কোন দৈব কারণে স্থানীয় কতিপয়
নিয়মিত মুসল্লিদের প্রথম জামাত ছুটে যায়, তাহলে তারা প্রথম জামাত যেখানে আদায় হয়েছে, তার চেয়ে একটু সরে এসে দ্বিতীয় জামাত পড়তে
পারে। কিন্তু এটাকে কিছুতেই নিয়মিত অভ্যাসে পরিণত করা যাবে না।
কিন্তু উক্ত মসজিদে যদি কোন মুসাফির দল
আসেন, কিংবা অন্য এলাকার বেশ কিছু লোকজন আসেন, এসে দেখেন মসজিদের নিয়মিত জামাত হয়ে গেছে, তাহলে তাদের জন্য দ্বিতীয় জামাত করার
অনুমতি রয়েছে।
২য় প্রকার মসজিদের হুকুম:
এসব মসজিদে দ্বিতীয় জামাত করাতে কোন
সমস্যা নেই। যদিও তাতে নির্ধারিত ইমাম থাকে। যেহেতু এখানে মুসাফির, কিংবা দ্রুত স্থানান্তর হতে হবে এমন যাত্রীগণ
থাকেন, তা’ই এসব স্থানে দ্বিতীয় জামাত হওয়াতে কোন
সমস্যা নেই।
তবে যদি নির্ধারিত ইমাম না থাকে, তাহলে সর্ব সূরতে দ্বিতীয় জামাত পড়াতে কোন
সমস্যা নেই।
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
وَيُكْرَهُ تَكْرَارُ الْجَمَاعَةِ بِأَذَانٍ وَإِقَامَةٍ فِي
مَسْجِدِ مَحَلَّةٍ لَا فِي مَسْجِدِ طَرِيقٍ أَوْ مَسْجِدٍ لَا إمَامَ لَهُ وَلَا
مُؤَذِّنَ (رد المحتار، كتاب الصلاة، باب الامامة-2/288
أَنَّهُ – عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ – كَانَ خَرَجَ
لِيُصْلِحَ بَيْنَ قَوْمٍ فَعَادَ إلَى الْمَسْجِدِ وَقَدْ صَلَّى أَهْلُ الْمَسْجِدِ
فَرَجَعَ إلَى مَنْزِلِهِ فَجَمَعَ أَهْلَهُ وَصَلَّى» وَلَوْ جَازَ ذَلِكَ لَمَا
اخْتَارَ الصَّلَاةَ فِي بَيْتِهِ عَلَى الْجَمَاعَةِ فِي الْمَسْجِدِ وَلِأَنَّ
فِي الْإِطْلَاقِ هَكَذَا تَقْلِيلُ الْجَمَاعَةِ مَعْنًى، فَإِنَّهُمْ لَا
يَجْتَمِعُونَ إذَا عَلِمُوا أَنَّهُمْ لَا تَفُوتُهُمْ.
وَأَمَّا مَسْجِدُ الشَّارِعِ فَالنَّاسُ فِيهِ سَوَاءٌ لَا
اخْتِصَاصَ لَهُ بِفَرِيقٍ دُونَ فَرِيقٍ اهـ (رد المحتار، كتاب الصلاة، باب
الامامة-2/288
যার সারমর্ম হলো মহল্লার মসজিদে ২য় জামাত করা
মাকরুহ।
সুতরাং আপনার জন্য উত্তম হলো মসজিদে একাকি নামাজ পড়া।
মসজিদ বা অন্যত্রে জামাত করা মাকরুহ।
আদ্দুররুল মুখতার (২/২৮৯) গ্রন্থে আছেঃঃ
ويكره تكرار الجماعة..... فى المسجد أو غيره
যার অর্থ হলো মসজিদ বা অন্যত্রে ২য় জামাত মাকরুহ।
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
১. উত্তরে বিস্তারিত বলা
হয়েছে।
২. সিজদার সময় উভয় হাত মাটিতে
থাকবে। উভয় হাতকে উভয় কাঁধ ও কান বরাবর
রাখতে হবে এবং পিঠকে সোজা রাখতে হবে। উভয় পায়ের আঙ্গুলসমূহকে কিবলামুখী করে রাখতে
হবে এবং উভয় হাতের তালু এবং আঙ্গুলসমূহকে ছড়িয়ে রাখতে হবে। আঙ্গুলসমূহের মাঝে বেশি
ফাঁক রাখবে না এবং একটিকে অন্যটির সাথে একেবারে মিলিয়েও রাখবে না ।
৩. না, মাসনুন দুআ শেষ করে পরে সুন্নাহ সালাত পড়লে মাকরূহ হবে না।
তবে মাসনুন দুআ পড়তে পড়তে খুব বেশী দেরী না করা।
৪. এ ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানেন।
তবে হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم قَالَ " كَسْرُ عَظْمِ الْمَيِّتِ كَكَسْرِهِ حَيًّا "
.
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মৃত ব্যক্তির হাঁড় চূর্ণ করা, জীবিত ব্যক্তির হাঁড় চূর্ণ
করার মত। সুনান আবূ দাউদ, হাদীস নং-
৩১৯৩