আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
303 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (1 point)
edited by

আসসালামু আলাইকুম

  1. রাসুলুল্লাহ সাঃ এর সাথে কুস্তী লড়া রুকানা কি মুসলিম ছিল? দুই বইতে দুইরকম দেখলাম
  2. অপ্রাপ্ত বয়স্ক, নাবালেগ বাচ্চাদের সমালোচনা করলে গীবত হবে? যেমনঃ এই বাচ্চাটি খুবই দুষ্টু

1 Answer

0 votes
by (588,060 points)
বিনমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সাথে যে রুকনা কুস্তী লড়ে পরাজিত হয়েছিলেন,তিনি মুসলমান হয়েছিলেন।এটাই বিশুদ্ধ মত।উনি সাহাবিদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।

উনার ইসলাম গ্রহণের পদ্ধতি নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে,
কোনো কোনো বর্ণনায় পাওয়া যায় যে তিনি  রাসূলুল্লাহ সাঃ এর কাছে মু'জেযা তলব করেছিলেন,কিংবা স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাঃ উনাকে মু'জেযা দেখিয়েছিলেন,যেজন্য তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন।তবে উনার ইসলাম গ্রহণ সম্মন্ধীয় অধিকাংশ বর্ণনা যঈফ বা বানোয়াট।
এরকম একটি ঘটনা এই..............
روى علي بن يزيد بن رُكانة ـــ أنَّ أباه أخبره أنَّ رسول الله صلى الله عليه وآله وسلم دعا رُكانة بأعلى مكة؛ فقال: "يَا رُكَانَةُ، أسْلِمْ" فأبى، فقال: "أرَأيْتَ إن دَعَوْتُ هَذِهِ الشَّجَرَةَ ـــ لشجرة قائمة ـــ فَأجَابَتْنِي تُجِيبني إلَى الإسْلامِ؟" قال: نعم...
রাসূলুল্লাহ সাঃ একবার বললেন, হে রুকানা তুমি ইসলাম গ্রহণ করো! তিনি অস্বীকার করলে, রাসূলুল্লাহ সাঃ তাকে বললেন, যদি আমি এই দাড়ানো গাছকে ডাকি আর গাছ জবাব দিয়ে দেয়, তাহলে কি তুমি কি ইসলাম গ্রহণ করবে? রুকানা বললেন,হ্যা আমি ইসলাম গ্রহণ করবো।( এ হাদীসের তাখরীজ বা সূত্র খুজে পাওয়া যায় না।)

তিন না না এক তালাক ? এ সম্পর্কে  যে ঘটনা মশহুর রয়েছে, সেটা মুলথ উনার সাথেই হয়েছিলো।


 (২)
عن ابي هريرة قال: قال صلى الله عليه وسلم (أَتَدْرُونَ مَا الْغِيبَةُ؟) قَالُوا: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ، قَالَ: (ذِكْرُكَ أَخَاكَ بِمَا يَكْرَهُ) قِيلَ: أَرَأَيْتَ إنْ كَانَ فِي أَخِي مَا أَقُولُ؟ قَالَ: (إنْ كَانَ فِيهِ مَا تَقُولُ فَقَدْ اغْتَبْتَهُ، وَإِنْ لَمْ يَكُنْ فِيهِ مَا تَقُولُ فَقَدْ بَهَتَّهُ)
 আবু হুরাইরাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা কি জান, গীবত কী জিনিস? তারা বললেন, আল্লাহ ও তার রসূলই অধিক জ্ঞাত। তিনি বললেন, (গীবাত হলো) তোমার ভাইয়ের সম্পর্কে এমন কিছু আলোচনা করা, যা সে অপছন্দ করে। প্রশ্ন করা হলো, আমি যা বলছি তা যদি আমার ভাই এর মধ্যে বাস্তবিকই থেকে থাকে তবে আপনি কি বলেন? তিনি বললেন, তুমি তার সম্পর্কে যা বলছ তা যদি তার মধ্যে প্রকৃতই থেকে থাকে তাহলেই তুমি তার গীবত করলে। আর যদি তা তার মধ্যে না থাকে তাহলে তো তুমি তার প্রতি অপবাদ আরোপ করলে।(সহীহ মুসলিম-২৫৮৯)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

শিশু সম্পর্কে এমন কিছু বলা যা শুনলে তার মা বাবা রাগ করবে না,এমন স্বাভাবিক জিনিষ আপনি বলতে পারবেন।তবে যা শুনলে তার মা বাবা রাগ করতে পারে,এমন জিনিষ আপনি কখনো বলতে পারবেন না।কেননা এটা গীবত হযে যাবে।সুতরাং ”এই বাচ্ছাটি দুষ্ট” এমনটা আপনি বলতে পারবেন।কেননা এটা শুনার পর বাচ্ছার মা বাবা রাগ করবে না।
তবে মিথ্যা কোনো কথা আপনি বলতে পারবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (588,060 points)
সংযোজন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...