আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
238 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (51 points)
reshown by

আসসালামু আলাইকুম,

  1. https://drive.google.com/file/d/1Dkq0ofLFPIeHgJWRSgrpIycKKYLLXs1j/view?usp=drivesdk
  2. https://drive.google.com/file/d/1DbpDo6LC2hLZBHjamwDYbz4B6BIBwBWP/view?usp=drivesdk
  3. https://drive.google.com/file/d/1DQ5WUSQM2x7lJytgpXQY7ocSClauaZMW/view?usp=drivesdk
  4. https://drive.google.com/file/d/1DGjn7ZFwM0uEKn2xVJFCb6fM7ROk7cn3/view?usp=drivesdk

    এই 4 টি পৃৃষঠা এর ব্যাপারে কুরআন ও সহিহ হাদিস এর ভিত্তিতে আপনার সুচিন্তিত উত্তর আশা করছি। বুুঝতেই পারছেন এটআ আমাদের আকিদাগত ভিত্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
    এ ব্যাপারে আরো একটি ঘটনা সামনে এসে যায়। সেটা হোলো আদম আঃ কে জান্নাত থেকে আল্লাহর আদেশ কর্তৃক  দুনিয়াতে আসার পর, অনেকগুলা বছর ক্ষমা প্রার্থনা করেন আল্লাহর কাছে। এবং যখন তিনি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ বলে দোয়া করেন তখন তাত দোয়া কবুল হয়। পরবর্তীতে আল্লাহ আদম আঃ কে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি উত্তর দেন জান্নাতের দরজায় এ কথাগুলো লেখা ছিল।
    এ ঘটনাটি কি সহীহ দলিল দ্বারা সমর্থিত?

1 Answer

0 votes
by (696,320 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-
ইসলামের চাবি হল,দুনু শাহাদত।অর্থাৎ "আশহাদু আন-লাইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ"।এই সম্মিলিত দুনু কালিামা পড়া ব্যতীত কেউ ইসলামে প্রবেশ করতে পারবে না।এই সম্মিলিত কালিমা ইসলামের আ’লামত বা শে'আর।দ্বীন-ইসলাম এই সম্মিলিত কালিমা ব্যতীত শূন্য। দ্বীনে ইসলামে এই সম্মিলিত কালিমার জরুরত ও প্রয়োজনিয়তা অপরিশীম। এই সম্মিলিত কালিামকে একত্রে উচ্ছারণ বৈধ হওয়ার বিষয়ে কারো কোনো দ্বিমত নেই।
ইবনে উছাইমিন রাহ, বলেন, সম্মিলিত শাহাদত ইসলামের চাবি। এই সম্মিলিত কালিামা পাঠ করা ব্যতীত কেউ মুসলমান হতে পারবে না।এজন্যই রাসূলুল্লাহ সাঃ মু’আয রাযি কে ইয়ামন পাঠানোর প্রক্ষালে বলে দিয়েছিলেন, তুমি লোকদিগকে এক আল্লাহর এবং মুহাম্মদ সাঃ যে আল্লাহর রাসূল: এ বিষয়ের দাওয়াত দিবে। (মাজমুউল ফাতাওয়া-১/৭৯)

কালিমায়ে তাওহিদ : ( لا إله إلا الله محمد رسول الله ) এভাবে দুনু শাহাদত যদিও একসাথে কোরআনে কোথাও আসেনি। তবে হাদীসে এসেছে,
যেমন হযরত ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,
عن ابن عمر رضي الله عنهما أن النبي صلى الله عليه وسلم قال : ( أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى : يَشْهَدُوا أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ ، وَيُقِيمُوا الصَّلَاةَ ، وَيُؤْتُوا الزَّكَاةَ ، فَإِذَا فَعَلُوا ذَلِكَ عَصَمُوا مِنِّي دِمَاءَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ ، إِلَّا بِحَقِّ الْإِسْلَامِ ، وَحِسَابُهُمْ عَلَى اللَّهِ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, আমাকে জিহাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যতক্ষন না লোকজন এক আল্লাহর সাক্ষ্য দিচ্ছে,এবং মুহাম্মদ সাঃ আল্লাহর রাসূল বলে সাক্ষ্য দিচ্ছে, এবং নামায় আদায় করছে, এবং যাকাত আদায় করছে। যখন তারা তারা এমনটা করে নেবে, তারা তাদের রক্ত এবং মালকে নিরাপদ করে নিবে। তবে ইসলামের হক ব্যতীত। পরবর্তীতে তাদের হিসাব আল্লাহর নিকট হবে।(সহীহ বোখারী-২৫,সহীহ মুসলিম-২২)

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত।
عن ابن عباس رضي الله عنهما أن النبي صلى الله عليه وسلم بعث معاذا رضي الله عنه إلى اليمن فقال : ( ادْعُهُمْ إِلَى شَهَادَةِ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ ، فَإِنْ هُمْ أَطَاعُوا لِذَلِكَ ، فَأَعْلِمْهُمْ أَنَّ اللَّهَ قَدْ افْتَرَضَ عَلَيْهِمْ خَمْسَ صَلَوَاتٍ فِي كُلِّ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ ، فَإِنْ هُمْ أَطَاعُوا لِذَلِكَ ، فَأَعْلِمْهُمْ أَنَّ اللَّهَ افْتَرَضَ عَلَيْهِمْ صَدَقَةً فِي أَمْوَالِهِمْ ، تُؤْخَذُ مِنْ أَغْنِيَائِهِمْ وَتُرَدُّ عَلَى فُقَرَائِهِمْ ) .
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মু‘আয (রাঃ)-কে ইয়ামান দেশে (শাসক হিসেবে) প্রেরণ করেন। অতঃপর বললেন, সেখানকার অধিবাসীদেরকে এ সাক্ষ্য দানের প্রতি আহবান করবে যে, আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন উপাস্য নেই এবং আমি আল্লাহর রাসূল। যদি তারা তা মেনে নেয় তবে তাদেরকে অবগত কর যে, আল্লাহ তা‘আলা তাদের উপর প্রতি দিনে ও রাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরজ করেছেন। যদি সেটাও তারা মেনে নেয় তবে তাদেরকে অবগত কর যে, আল্লাহ তা‘আলা তাদের উপর তাদের সম্পদের মধ্য থেকে সদাকাহ (যাকাত) ফরজ করেছেন। যেটা ধনীদের নিকট থেকে গৃহীত হবে আর দরিদ্রদের মাঝে প্রদান করা হবে।(সহীহ বোখারী-১৩৯৫,সহীহ মুসলিম-১৯)

আল-কোরআনে কালিমায়ে তাওহিদ সম্পর্কে এসেছে,তবে তাতে সম্মিলিত ভাবে প্রচলিত সু-প্রসিদ্ধ কালিমা আসেনি।

" لا إله إلا الله " কুরআনে এসেছে,
 ( فَاعْلَمْ أَنَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَاسْتَغْفِرْ لِذَنبِك وَلِلْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ
জেনে রাখুন, আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। ক্ষমাপ্রার্থনা করুন, আপনার ক্রটির জন্যে এবং মুমিন পুরুষ ও নারীদের জন্যে। (সূরা মুহাম্মদ-১৯)
 ( شَهِدَ اللَّهُ أَنَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ وَالْمَلَائِكَةُ وَأُولُو الْعِلْمِ قَائِمًا بِالْقِسْطِ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ ) 
আল্লাহ সাক্ষ্য দিয়েছেন যে, তাঁকে ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই। ফেরেশতাগণ এবং ন্যায়নিষ্ঠ জ্ঞানীগণও সাক্ষ্য দিয়েছেন যে, তিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই। তিনি পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।(সূরা আলে ইমরান-১৮)

   " محمد رسول الله " কুরআনুল কারীমে এসেছে,
( قُلْ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنِّي رَسُولُ اللَّهِ إِلَيْكُمْ جَمِيعًا الَّذِي لَهُ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ يُحْيِي وَيُمِيتُ فَآمِنُوا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ النَّبِيِّ الْأُمِّيِّ الَّذِي يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَكَلِمَاتِهِ وَاتَّبِعُوهُ لَعَلَّكُمْ تَهْتَدُونَ ) 
বলে দাও, হে মানব মন্ডলী। তোমাদের সবার প্রতি আমি আল্লাহ প্রেরিত রসূল, সমগ্র আসমান ও যমীনে তার রাজত্ব। একমাত্র তাঁকে ছাড়া আর কারো উপাসনা নয়। তিনি জীবন ও মৃত্যু দান করেন। সুতরাং তোমরা সবাই বিশ্বাস স্থাপন করো আল্লাহর উপর তাঁর প্রেরিত উম্মী নবীর উপর, যিনি বিশ্বাস রাখেন আল্লাহর এবং তাঁর সমস্ত কালামের উপর। তাঁর অনুসরণ কর যাতে সরল পথপ্রাপ্ত হতে পার।
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ آمِنُوا بِمَا نَزَّلْنَا مُصَدِّقًا لِمَا مَعَكُمْ 
হে আসমানী গ্রন্থের অধিকারীবৃন্দ! যা কিছু আমি অবতীর্ণ করেছি তার উপর বিশ্বাস স্থাপন কর, যা সে গ্রন্থের সত্যায়ন করে এবং যা তোমাদের নিকট রয়েছে পূর্ব থেকে। (বিশ্বাস স্থাপন কর)(সূরা নিসা-৪৭)
শায়েখ আব্দুর রহমান সা’দী রাহ বলেন,
" يأمر تعالى أهل الكتاب من اليهود والنصارى أن يؤمنوا بالرسول محمد صلى الله عليه وسلم وما أنزل الله عليه من القرآن العظيم ") 
আল্লাহ তা’আলা আহলে কিতাব তথা ইহুদী খূষ্টানদরেকে মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ এর উপর ঈমান এবং কুরআনের উপর ঈমান আনার নির্দেশ দিচ্ছেন।(তাইসিরুল কারিম-১৮১)

( مَا كَانَ مُحَمَّدٌ أَبَا أَحَدٍ مِنْ رِجَالِكُمْ وَلَكِنْ رَسُولَ اللَّهِ وَخَاتَمَ النَّبِيِّينَ وَكَانَ اللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا ) 
মুহাম্মদ তোমাদের কোন ব্যক্তির পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসূল এবং শেষ নবী। আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত।(সূরা আহযাব-৪০)

যদিও কালিমায়ে তাওহিদ একত্রে কুরআনের কোথাও আসেনি।তবে পৃথক পৃথক ভাবে কুরআনে কারীমের বিভিন্ন জায়গায় এসেছে।সুতরাং এভাবে প্রচলিত সু-পসিদ্ধ কালিমাকে উচ্ছারণ করা বিদ’আত হবে না। বরং এটা জরুরীয়তে দ্বীনের অন্তর্ভূক্ত হবে ।

আদম আঃ সম্ভলিত যে বর্ণনা আপনি দিয়েছেন।এ হাদিসটি মাওযু (বানোয়াট)। এ হাদিসটি ইমাম হাকেম (রহঃ) আব্দুল্লাহ্ বিন মুসলিম আল-ফিহরি এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন।অধিকাংশ মুহাদ্দিসগণ উক্ত হাদীসকে মাওযু বলেছেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...