আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
258 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (36 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ

আমি গত ৪/৫ দিন আগে একটি সপ্ন দেখি, যেখানে আমি   নানার বাড়িতে আছি, এখানে কোনো একটা বিষয়ে (বিষয় মনে নেই) দ্বীনের পক্ষে আমি একা আর বাকি সবাই দ্বীনের বিপক্ষে এরকম। তারপর ঐই জায়গা থেকে আমি পাশের এক ঘরের সামনে দিয়ে যাই তখন মাওলানা জুবায়ের আহমদ আনসারী সাহেব (রহঃ)কে দেখতে পাই ঐই ঘরে সোফায় বসে আছেন, উনার সাথে আরো কিছু সাথী ছিলেন। তখন আমি উনাকে দেখে বাহির থেকে উনাকে ইশারা করলাম যে, আমি উনার সাথে মুসাফাহা করতে চাই। উনি আমাকে ভিতরে ডাকলেন, যখন আমি ভিতরে হেঁটে যাই তখন খেয়াল করলাম আমার পড়নে একটি প্যান্ট ও (শার্ট পড়া ছিল।আমার প্যান্টটি হাঁটুর উপরে ছিল আমি হাটুর নিচে প্যান্ট নামাতে চেষ্টা করতে করতে উনার কাছে যাই, গিয়ে মুসাফাহা করলাম তখন তিনি বাকি সাথীদের আমার আব্বার নাম বলে বললেন, তোমরা তাকে চিনেছ,এ হলো  অমুকের ছেলে। (((বাস্তবে তিনি আমাকে চিনতেন না।কিন্তুু  আমার আব্বাকে  তিনি চিনতেন।))) তারপর  হাতে হাত রাখা অবস্থায় উনার হাঁটুর কাছে মাটিতে বসে পড়লাম তখনও উনি সোফায় ছিলেন।আমি যে এরকম ছোট প্যান্ট পড়ে আছি এজন্য উনার সাথীরা কিছুটা ইতস্তত ভাবে আমার দিকে তাকালো। আমিও বিব্রতভোধ করলাম। কিন্তুু মাওলানা জুবায়ের আহমদ আনসারী সাহেব (রহঃ) আমার এরকম ছোট প্যান্ট পড়ার দিকে খেয়াল করলেন না। বরং তিনি কিছু একটা বিষয়ে বলছিলেন যা আমার মনে নেই।
উল্লেখ্য আমার যে প্যান্ট পড়া অবস্থায় ফরয ছুটেছিল কি না পুরোপুরি মনে নেই। হয়তো কিছু সময়ের জন্য ছুটেছিল।
আরেকটি বিষয়, আমি ঘুমানোর আগে উনার ওয়াজ শুনি নি প্রায় অনেকদিন ধরেই উনার ওয়াজ শোনা হয়না। আর  উনার কোনো ওয়াজ বা উনার স্বরনও ঘুমানোর আগে মনে হয়নি। তবে এক-দুইদিন আগে উনার আর উনার উস্তাদ নুরউদ্দীন গহরপুরী (রহঃ) এবং তার উস্তাদ হোসাইন আহমদ মাদানী (রহঃ) সম্পর্কে কিছু একটা বিষয়ে মনে হঠাৎ খেয়াল এসেছিল অল্প সময়ের জন্য।।।
১/এই সপ্নের ব্যাখ্যা কি যদি জানতেন খুব উপকৃত হতাম। কারণ আরও একবার আমি কোনো এক বিষয়ে আমাদের এলাকার একজন বুজুর্গ আলেমকে সপ্নে দেখেছিলাম। প্রায় ২ বছর আগে। তখন আমি এটি অন্যদের বলেছিলাম যাদের সপ্নের ব্যাখ্যা সম্পর্কে ধারণা নেই।
২/প্রায় ২ বছর আগে একটি সপ্ন দেখেছিলাম। যেখানে কেউ একজন মহিলা রাস্তার পাশে কিছু একটা খোজছিলেন। এক ব্যক্তি ঐই পাশ দিয়ে আমার কাছে আসছিলো, তখন আমি জিজ্ঞেস করলাম উনি কে? তখন লোকটি বললো উনি ফাতেমা (রাঃ)। আমি যখন তাকালাম দেখলাম উনি খাশ পর্দা অবস্থায় ছিলেন, একটি লাঠির উপর ভর দিয়ে হাঠছেন। তারপর দেখি রাস্তার দুইপাশে অনেকগুলো কবর যেগুলো ঢালভাবে দেওয়া  হয়েছে। এর কিছু আগে গিয়ে দেখি  নূরউদ্দিন গহরপুরী (রহঃ) কে হেঁটে হেঁটে জোরে জোরে কি বলছিলেন(মনে নেই কি বলছিলেন) তারপর দেখি আমার গ্রামের একজন বয়স্ক ব্যক্তির সাথে কিছু মানুষ বিদেশ থেকে দেখা করতে এসেছিল,, সাথে কার ছিল। পুরো ঘটনাটি আমার গ্রামের সামনে মেইন রোডে দেখেছি। ১০০-১৫০ মিটার আয়তনের ভিতরে।।

এই সপ্নগুলো কি সত্য সপ্ন না কি শয়তান ভয় দেখানোর জন্য আমাকে দেখিয়েছে???? এবং ব্যাখ্যা দিলে উপকার হতো?? দুঃখিত এতো লম্বা বিবরণের জন্য।। আমি যা যা সপ্নে দেখেছি সব লেখায় তুলে ধরেছি!!

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


ইসলামী দৃষ্টিতে স্বপ্ন তিন প্রকার। 
,
১. যা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাহকে দেখানো হয় যা কল্যানকর হয়।

২. শয়তানের পক্ষ হতে দেখানো হয় যাতে মানুষ খারাপ, মন্দ ভয়ংকর কিছু দেখে থাকে।

তবে শয়তান স্বপ্ন দেখানোর দ্বারা মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারেনা।
,
 ভয়ংকর স্বপ্ন দেখলে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই। শয়তান মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলার জন্যই এমন সব আজব আজব জিনিস দেখায়। এমনটা দেখলে ঘুম থেকে জেগে বাম দিকে থুথু ফেলে আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে হয়। 

৩. মানুষের কল্পনা। অর্থাৎ মানুষ যা কল্পনা করে স্বপ্নে তা দেখতে পায়। 
,

হাদীস শরীফে এসেছে  

خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا قَتَادَةَ يَقُوْلُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلميَقُوْلُ الرُّؤْيَا مِنْ اللهِ وَالْحُلْمُ مِنْ الشَّيْطَانِ فَإِذَا رَأٰى أَحَدُكُمْ شَيْئًا يَكْرَهُه“فَلْيَنْفِثْ حِينَ يَسْتَيْقِظُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ وَيَتَعَوَّذْ مِنْ شَرِّهَا فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّه“وَقَالَ أَبُو سَلَمَةَ وَإِنْ كُنْتُ لأَرَى الرُّؤْيَا أَثْقَلَ عَلَيَّ مِنَ الْجَبَلِ فَمَا هُوَ إِلاَّ أَنْ سَمِعْتُ هٰذَا الْحَدِيثَ فَمَا أُبَالِيهَا.

আবূ ক্বাতাদাহ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ ভাল স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়, আর মন্দ স্বপ্ন হয় শয়তানের তরফ থেকে। সুতরাং তোমাদের কেউ যদি এমন কিছু স্বপ্ন দেখে যা তার কাছে খারাপ লাগে, তা হলে সে যখন ঘুম থেকে জেগে ওঠে তখন সে যেন তিনবার থুথু ফেলে এবং এর ক্ষতি থেকে আশ্রয় চায়। কেননা, তা হলে এটা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। 

আবূ সালামাহ বলেনঃ আমি যখন এমন স্বপ্ন দেখি যা আমার কাছে পাহাড়ের চেয়ে ভারি মনে হয়, তখন এ হাদীস শোনার ফলে আমি তার কোন পরোয়াই করি না। [বুখারী ৫৭৪৭ মুসলিম পর্ব ৪২/হাঃ ২২৬১, আহমাদ ২২৭০৭] 
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
উভয় স্বপ্নই বুযুর্গ ব্যাক্তিদের প্রতি আপনার নেক আকীদা,মুহাব্বতের কারনে হয়েছে।
আপনি যেই সমস্ত নেক আমল গুলো করতেছেন,এগুলোর উপর অটল অবিচল থাকবেন।
গুনাহ মুক্ত থাকার চেষ্টা করবেন। 
আল্লাহ তায়ালা আপনাকে নেক আমল এর উপর অটল অবিচল রাখুন।
আমিন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...