আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

–1 vote
298 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম ওরাহামতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু ।আমার এক ভাইয়ের জন্য প্রশ্নটি করছি:- ১ম ধাপ:-আমার ভাই বন্ধু সেকোনো সুনির্দিষ্ট মাজহাব অনুসরণ করে না বা আহলে হাদিস ও না,তার ভাষ্যমতে।ওর কথামতে,যেটা বিশুদ্ধ মত বা যে মতেরপক্ষে রেফারেন্স ভালো,এবার তা যেকোনো মাজহাবেই থাকুক,সে ঐটাই ফলো করে,যা তার কাছে রেফারেন্স বা মতের দিকে দিয়েসহীহ মনে হয়েছে।বলে রাখি,সে জেনারেল লাইনের ছাত্র এবং এমন ও না যে তার হাদীস,ফিকহ শাস্ত্র নিয়ে অগাধ জ্ঞান বাজ্ঞানের চর্চা আছে।প্রশ্ন রইল,এনিয়ে যে সব মাজহাব কি একসাথে মানা যাবে?যদি তা না হয়,তবে কোনো সুনির্দিষ্ট একমাজহাবের অনুসরণ কি করতেই হবে এটা কি আবশ্যক?এবার আসি ২য় ধাপে:-আমার এই একই ভাই যার ব্যপারে ১ম ধাপেবললাম,সে একটা হারাম প্রেমের সম্পর্কে ছিল,পরবর্তীতে ছেলে মেয়ে তারা সিদ্ধান্ত নিলো যে,তারা বিয়ে করবে,অভিভাবকদের নাজানিয়ে।এরপরে তারা দিন ঠিক করে,কাজী অফিসে যায় সেদিন, দুইজন ছেলে সাক্ষী এবং একজন মেয়ে সাক্ষী এবং কাজীরউপস্থিতিতে দেনমোহর ঠিক করে তারা পাত্র পাত্রী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।এই ধাপে প্রশ্ন হল:-এভাবে যেভাবে বিয়েহয়েছে,এভাবে বিয়ে কি শরীয়াহ সম্মত হয়েছে?বা বিয়ে কি ঠিকভাবে হয়েছে?আরেকটা বিষয় হল,পাত্র যেহেতু কোনো সুনির্দিষ্টমাজহাব ফলো করে না,সব মাজহাবের যেসব রেফারেন্স তার কাছে শক্তিশালী মনে হয় তা ফলো করে,সেক্ষেত্রে এই বিয়ে কিহয়েছে?আরকটি প্রশ্ন হল:-পাত্র,পাত্রী যদি এখন পরিবারের সম্মতিক্রমে,তাদের অভিভাবকদের সাক্ষী রেখে,কাজী অফিসেরবিয়ের কথা গোপন রেখে আবার দুজনে একে অপরের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়,তখন কি তা জায়েজ হবে?অনেক প্রশ্ন একসাথে করেছি,ক্ষমাসুন্দরদৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি,আসলে একটা প্রশ্ন একটার সাথে সম্পর্কিত,এজন্য সব একসাথে করা।আসসালামুআলাইকুম ওরাহামতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু।

1 Answer

0 votes
by (574,080 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


এভাবে শরীয়ত মানা জায়েজ নেই।
এতে নফসের পূজা হবে। 

সমস্ত মাসয়ালাতেই যেকোনো এক মাযহাব অনুযায়ী আমল করতে হবে।
অন্যথায় নফস ও খাহেশাতের পূজা হবে,যাহা হারাম। 
আল্লাহ তায়ালা সুরা সোয়াদের ২৬ নং আয়াতে ইরশাদ করেনঃ 

 وَ لَا تَتَّبِعِ الۡهَوٰی فَیُضِلَّکَ عَنۡ سَبِیۡلِ اللّٰهِ ؕ اِنَّ الَّذِیۡنَ یَضِلُّوۡنَ عَنۡ سَبِیۡلِ اللّٰهِ لَهُمۡ عَذَابٌ شَدِیۡدٌۢ بِمَا نَسُوۡا یَوۡمَ الۡحِسَابِ ﴿۲۶﴾

আর প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না, কেননা তা তোমাকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করবে। নিশ্চয় যারা আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত হয় তাদের জন্য কঠিন আযাব রয়েছে। কারণ তারা হিসাব দিবসকে ভুলে গিয়েছিল।

বিস্তারিত জানুনঃ

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,   
https://www.ifatwa.info/1936 নং ফাতাওয়ায় আমরা তাকলীদ সম্পর্কে বলেছিলাম যে, 
তাকলীদ(মুজতাহিদের অনুসরণ) করা ফরয।এ সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
فَاسْأَلُواْ أَهْلَ الذِّكْرِ إِن كُنتُمْ لاَ تَعْلَمُونَ
জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞেস কর, যদি তোমাদের জানা না থাকে।(সূরা নাহল-৪৩)

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ أَطِيعُواْ اللّهَ وَأَطِيعُواْ الرَّسُولَ وَأُوْلِي الأَمْرِ مِنكُمْ 
হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর নির্দেশ মান্য কর, নির্দেশ মান্য কর রসূলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা বিচারক তাদের। (সূরা নিসা-৫৯)
উক্ত আয়াতে اولي الامرউলূল আমর এর ব্যখ্যায় হযরত জাবের রাযি, হযরত ইবনে আব্বাস রাযি,আ'তা রাহ,মুজাহিদ রাহ,যাহহাক,আবুল আলিয়া রাহ,হাসান বসরি রাহ সহ অসংখ্য সাহাবা, তাবেঈন ও তাবে তাবেঈন উল্লেখ করেন যে,এখানে উলূল আমর দ্বারা খুলাফা,উলামা,ফুকাহা উদ্দেশ্য।স্বয়ং আহলে হাদীসদের ইমাম নাওয়াব সিদ্দিক হাসান খান রাহও এ ব্যখ্যাকে নিজ তাফসীরের কিতাবে উল্লেখ করেছেন।
তাছাড়া হাদীসে এসেছে,
انما شفاء العي السوال 
বক্রতা বা অজ্ঞদের শে'ফা হল,তারা জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞাসা করবে।
এখন প্রশ্ন হল জ্ঞানী কারা?সমাজে যাদেরকে আলেম বলা হয়,তারাই কি জ্ঞানী?না এর জন্য বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্যর প্রয়োজন রয়েছে?

যার তাকলীদ করা হবে, তার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে উলামায়ে কেরাম একটা পরিমাণ নির্ধারণ করে দিয়েঝেন।
শাহ ওয়ালী উল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী রাহ, উনার অমর গ্রন্থ আকিদাতুল-জায়্যিদ এ সম্পর্কে বিস্তারিত লিখেছেন।মোটকথাঃ এ সমস্ত শর্তসমূহ আজকাল প্রায় বিরল।

 তাকলীদের দু'টি শাখা রয়েছে যথাঃ-
(১)তাকলীদে শাখসী বা ব্যক্তি তাকলীদ।অর্থাৎ শরীয়তের প্রত্যেকটি মাস'আলায় নির্দিষ্ট কোনো একজনকে তাকলীদ করা।
(২)তাকলীদে গায়রে শাখসী বা স্বাধীন তাকলীদ, অর্থাৎ যেকোনো মাস'আলায় যেকোনো একজনকে তাকলীদ করা।সহজ কথা নিজের ইচ্ছানুযায়ী একেক মাস'আলায় একেকজনের তাকলীদ করা। 

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1936


★প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তির আমল সহীহ নয়।
তার উক্ত বিবাহ শুদ্ধ হবেনা।

★তবে পাত্র,পাত্রী যদি এখন পরিবারের সম্মতিক্রমে,তাদের অভিভাবকদের সাক্ষী রেখে,কাজী অফিসের বিয়ের কথা গোপন রেখে আবার দুজনে একে অপরের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়,তখন তা জায়েজ হবে।
এক্ষেত্রে তাদের বিবাহ শুদ্ধ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...