بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/52815/?show=52815#q52815 নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, শরীয়তের বিধান হলো
ওয়াতনে আসলী (স্থায়ী নিবাস) তে এক দিনের জন্য গেলেও পুরো নামাজ পড়তে হবে।
ব্যক্তি নিজের স্থায়ী নিবাসে গেলে
কখনো মুসাফির হয়না। স্থায়ী নিবাস বলে এমন স্থানকে-“যেখানে ব্যক্তির বসবাসের জন্য
স্থায়ী গৃহ থাকে, স্ত্রী
সন্তান নিয়ে যেখানে সর্বদার জন্য থাকার নিবাস হয়”।
শরীয়তের বিধান হলো কোন স্থানে গিয়ে
সেখানে যদি কমপক্ষে পনের দিন থাকার নিয়ত না করে, তাহলেও কসর পড়তে হবে। বেশি দিন থাকার নিয়ত করলে কসর করতে পারবে
না।
৭৮ কিলোমিটার হল সফরের দূরত্ব। এর
কম নয়। সুতরাং কেউ যদি ৭৮ কিলোমিটার দূরত্বের সফরের নিয়তে বের হয় কেবল সেই ব্যক্তি
কসর পড়তে পার। এরচে’কম দূরত্বের সফরের জন্য কসর পড়া জায়েজ নয়।
বিস্তারিত জানুনঃ- https://ifatwa.info/18194/
সেক্ষেত্রে চার রাকাত বিশিষ্ট ফরজ
নামাজ কসর করতে হবে। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
وَإِذَا ضَرَبْتُمْ فِي
الْأَرْضِ فَلَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَنْ تَقْصُرُوا مِنَ الصَّلَاةِ
‘আর যখন তোমরা যমীনে সফর করবে, তখন তোমাদের নামাজ কসর করাতে কোনো দোষ নেই।’ [সূরা নিসা,
আয়াত: ১০১]
হাদিস শরীফে এসেছে,
عِيسَى بْنُ حَفْصِ بْنِ
عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ صَحِبْتُ ابْنَ عُمَرَ
فِى طَرِيقٍ – قَالَ – فَصَلَّى بِنَا رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ أَقْبَلَ فَرَأَى نَاسًا
قِيَامًا فَقَالَ مَا يَصْنَعُ هَؤُلاَءِ قُلْتُ يُسَبِّحُونَ. قَالَ لَوْ كُنْتُ
مُسَبِّحًا أَتْمَمْتُ صَلاَتِى يَا ابْنَ أَخِى إِنِّى صَحِبْتُ رَسُولَ اللَّهِ
– ﷺ – فِى السَّفَرِ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ
عَزَّ وَجَلَّ وَصَحِبْتُ أَبَا بَكْرٍ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى
قَبَضَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَصَحِبْتُ عُمَرَ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى
رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ تَعَالَى وَصَحِبْتُ عُثْمَانَ فَلَمْ
يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ تَعَالَى وَقَدْ قَالَ اللَّهُ
عَزَّ وَجَلَّ (لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِى رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ
ইবনে উমর রাযি. বলেন, নিশ্চয় আমি রাসুলুল্লাহ ﷺ এর সাথে সফর করেছি, তিনি মৃত্যুবরণ করার আগ পর্যন্ত সফরে ২ রাকাতের
বেশি পড়েন নি। আমি আবু বকর রাযি. এর সাথেও সফর করেছি, তিনিও আমরণ
সফরে ২ রাকাতই পড়েছেন। আমি উমর রাযি. এর সাথেও সফর করেছি তিনি মৃত্যু পর্যন্ত সফরে
২ রাকাতের বেশি পড়েন নি। আমি উসমান রাযি. এর
সাথেও সফর করেছি, তিনিও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সফরে ২ রাকাতের বেশি
পড়েন নি। আর আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, আমি তোমাদের জন্য রাসুলুল্লাহ
ﷺ এর মাঝে রেখেছি উত্তম
আদর্শ। (মুসলিম-১৬১১)
আরো জানুনঃ https://ifatwa.info/7129/
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
১. প্রশ্নোক্ত
ছুরতে যদি আপনার গ্রামের বাড়িতে নিজস্ব বাড়ি থাকে এবং আপনার চাচারা তা দেখাশনা করে
তাহলে সেটিও আপনার ওয়াতনে আসলী হিসেবে গন্য হবে এবং ঢাকায় স্থায়ী ভাবে থাকার নিয়ত
করলে ঢাকাও আপনার ওয়াতনে আসলী হবে। সুতরাং আপনার জন্য দুই জায়গায় কসর করা জায়েয
হবে না। তবে যদি গ্রামে বাড়ি না থাকে বা সেখানে ভবিষ্যতে থাকার একেবারেই নিয়ত না
থাকে তাহলে সেখানে গেলেও কসর করতে পারবেন।
২.
জ্বী সেলফের উপরে রাখা যাবে। তবে সরাসরি কুরআন শরীফের উপর রাখা যাবে না। এটি আদবের
পরিপন্থি হবে।
৩. ৮মিনিট
৫ সেকেন্ড থেকে ১৫ সেকেন্ডের মাঝে যেই বাংলা বাক্য বলা হয়েছে সেগুলি পূর্বের আরবি
বাক্যের অনুবাদ। সুতরাং এতে সমস্যা নেই।