بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
তালাক প্রদান করা সম্পূর্ণ স্বামীর অধীকার। হ্যা শরীয়ত কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্ত্রীকে
নিজের উপর তালাক প্রদানের অনুমোদন দিয়েছে। যেমন,স্বামী
কর্তৃক স্ত্রীকে তালাক প্রদানের অনুমতি প্রদান করলে, স্ত্রী
নিজেকে তালাক দিতে পারবে। তাছাড়া স্বামী খোরপোষ না দিলে, স্ত্রী
কাযী সাহেবের নিকট অভিযোগ দায়ের করতে পারবে। কিংবা স্বামী নিখোঁজ হলে বা ধ্বজভঙ্গ হলে
কোর্ট বিবাহ ভঙ্গের রায় দিতে পারবে।
স্বামীর খোঁজখবর না থাকলে স্ত্রী চার বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। চার বছর অপেক্ষার
পরও যদি স্বামীর কোনো খোঁজখবর না মিলে,কোর্ট স্বামীর পক্ষ্য থেকে বিবাহ
ভঙ্গ করে দিবে।স্ত্রী তালাক দিতে পারবে না।তালাক দেয়ার অধীকার স্ত্রীর নেই।এ সম্পর্কে
বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/4560
ওয়াসওয়াসা
থেকে বাঁচার আমলঃ
ইবনে হাজার আল-হাইছামি তাঁর
‘আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা’ গ্রন্থে (১/১৪৯) এসেছে, তাঁকে এর প্রতিকার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন,
له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ، وإن كان في النفس من
التردد ما كان – فإنه متى لم يلتفت لذلك لم يثبت بل يذهب بعد زمن قليل كما جرب ذلك
الموفقون , وأما من أصغى إليها وعمل بقضيتها فإنها لا تزال تزداد به حتى تُخرجه
إلى حيز المجانين بل وأقبح منهم
অর্থাৎ, এর ঔষধ একটাই সেটা হচ্ছে– ওয়াসওয়াসাকে সম্পূর্ণরূপে
এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন
দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও। কেননা কেউ যদি সেটাকে ভ্রুক্ষেপ না করে তাহলে সেটা
স্থির হবে না। কিছু সময় পর চলে যাবে; যেমনটি তাওফিকপ্রাপ্ত লোকেরা
যাচাই করে পেয়েছেন। আর যে ব্যক্তি ওয়াসওয়াসাকে পাত্তা দিবে এবং সে অনুযায়ী কাজ
করবে সে ব্যক্তির ওয়াসওয়াসা বাড়তেই থাকবে; এক পর্যায়ে তাকে পাগলের
কাতারে নিয়ে পৌঁছাবে কিংবা পাগলের চেয়েও নিকৃষ্ট পর্যায়ে পৌঁছাবে।
এর সর্বোত্তম প্রতিকার হচ্ছে– বেশি বেশি আল্লাহর যিকির করা, لَا حَوْلَ وَلَا
قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ পড়া, আউযুবিল্লাহ্ পড়া তথা বিতাড়িত শয়তান থেকে
আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা।
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
اَلْحَمْدُ لِلهِ الَّذِىْ رَدَّ اَمْرَهُ عَلَى الْوَسْوَسَة
‘সমস্ত
প্রশংসা ওই আল্লাহর যিনি শয়তানের বিষয়টি কুমন্ত্রণা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রেখেছেন।’
(নাসাঈ)
ইবনে হাজার আল-হাইতামি রহ.
বলেন,
له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ، وإن كان في النفس من
التردد ما كان
‘ওয়াসওয়াসার
কার্যকরী চিকিৎসা হল, একে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে
যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা
সত্ত্বেও।’ (আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা ১/১৪৯)
সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) স্ত্রীর যদি তালাকের অধিকার
থাকে, আর সেই স্ত্রী যদি স্বামীর সাথে থাকা অবস্থায় তালাকের নিয়ত করে নিজের উপর কেনায়া বাক্য বলে, তাহলে
স্ত্রীর নিজের নফসের উপর তালাক হয়ে যাবে।
২. শর্ত যুক্ত করে তালাক দিলে কি সেই তালাক পতিত হবে কি না? এ সম্পর্কে কিছুটা মতপার্থক্য বিদ্যমান রয়েছে- জুমহুর বা অধিকাংশ উলামায়ে কেরাম বলেন,তালাক
পতিত হবে। শুধুমাত্র ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহ বলেন, শর্তের
সাথে তালাক দেয়ার উদ্দেশ্য যদি হুমকি-ধামকি হয়,
তাহলে তালাক পতিত হবে না। তবে
যদি তালাকের নিয়তে এগুলো কেউ বলে, তাহলে অবশ্যই তালাক পতিত হবে।
আরো জানুন: https://ifatwa.info/7865/
কেনায়া তালাক হলো ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারা যেটা হয়। কেনায়া তালাকের ক্ষেত্রে নিয়ত
তথা তালাকের ইচ্ছা থাকা অত্যাবশ্যক। আর কেনায়া তালাক দ্বারা এক তালাকে বায়েন পতিত
হয়। আরো জানুন : https://ifatwa.info/37078/?show=37078#q37078
৩.ওয়াসওয়াসা আসে শয়তানের পক্ষ থেকে। সে চায় মানুষকে পেরেশান ও অস্থির করে
রাখতে যাতে সে আল্লাহ তায়ার ইবাদতে মাশগুল থাকতে না পারে। সুতরাং ওয়াসওয়াসা
থেকে বাঁচতে উপরে উল্লেখিত আমলগুলি করুন। ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তায়ালা
আপনাকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আনবেন। আরো জানতে : https://ifatwa.info/6027/