বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
হাদীস শরীফে এসেছে-
عَوْفٍ الْمُزَنِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ
رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الصُّلْحُ جَائِزٌ بَيْنَ
الْمُسْلِمِينَ إِلاَّ صُلْحًا حَرَّمَ حَلاَلاً أَوْ أَحَلَّ حَرَامًا وَالْمُسْلِمُونَ
عَلَى شُرُوطِهِمْ إِلاَّ شَرْطًا حَرَّمَ حَلاَلاً أَوْ أَحَلَّ حَرَامًا
" . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আমর ইবনু আউফ আল-যুমানী রাদিয়াল্লাহু আনহু
থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে সুলহ ও সন্ধি হালালকে হারাম ও হারামকে হালাল পরিণত করে
তা ছাড়া মানুষের মাঝে সন্ধি স্থাপন জায়েয। যে শর্ত হালালকে হারাম বা হারামকে
হালালে পরিণত করে সে শর্ত ছাড়া মুসলিমগণ তাদের শর্তের উপরই কায়েম থাকবে। - ইবনু
মাজাহ ২৩৫৩, তিরমিজী হাদিস
নম্বরঃ ১৩৫২ [আল মাদানী প্রকাশনী]
https://ifatwa.info/33548/?show=33548#q33548 নং
ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে,
এক মুসলমানের জন্য অন্য মুসলমানের
সম্পদকে অন্যায়ভাবে গ্রহণ করা হারাম।
যেহেতু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম বলেছেন:
قَالَ: «فَإِنَّ دِمَاءَكُمْ، وَأَمْوَالَكُمْ، وَأَعْرَاضَكُمْ،
بَيْنَكُمْ حَرَامٌ، كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا، فِي شَهْرِكُمْ هَذَا، فِي
بَلَدِكُمْ هَذَا، لِيُبَلِّغِ الشَّاهِدُ الغَائِبَ، فَإِنَّ الشَّاهِدَ عَسَى
أَنْ يُبَلِّغَ مَنْ هُوَ أَوْعَى لَهُ مِنْهُ»
“নিশ্চয় তোমাদের রক্ত, তোমাদের
ধন-সম্পদ, তোমাদের ইজ্জত-আব্রু তোমাদের পরস্পরের জন্য হারাম (পবিত্র)
যেমনিভাবে তোমাদের এই দিনটি তোমাদের এই মাসে ও এই দেশে হারাম (পবিত্র)। এখানে
উপস্থিত ব্যক্তি যেন অনুপস্থিত ব্যক্তির নিকট এসব কথা পৌঁছে দেয়।”[সহিহ বুখারী
(৬৭) ও সহিহ মুসলিম (১৬৭৯)]
★সুতরাং
আর্থিক জরিমানা অগ্রহণ যোগ্য। এতে সুদের অর্থ রয়েছে।
যেহেতু করজ আদায়ের ক্ষেত্রে
অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার মতোই এটি,তাই এটি
সূদ।
"وفي البحر: ولایکون التعزیر بأخذ المال من الجاني في المذهب".
(مجمع الأنهر، ۲/ ۳۷۱)
সারমর্মঃ ত্রুটি কারী থেকে অর্থ নেওয়ার মাধ্যমে শাস্তি দেওয়া জায়েজ
নেই।
والحاصل أن المذہب عدم التعزیر بأخذ المال۔ (شامي، باب التعزیر /
مطلب في التعزیر بأخذ المال ۶؍۱۰۵
زکریا، البحر الرائق، کتاب الحدود / باب التعزیر ۵؍۴۱)
সারমর্মঃ হাসিল কথা হলো,মাযহাব হলো, ত্রুটি
কারী থেকে অর্থ নেওয়ার মাধ্যমে শাস্তি দেওয়া জায়েজ নেই।
ولا یکون التعزیر بأخذ المال من الجاني في المذہب۔ (مجمع الأنہر ،
کتاب الحدود / باب التعزیر ۱؍۶۰۹
بیروت)
সারমর্মঃ মাযহাব অনুপাতে, ত্রুটি কারী থেকে অর্থ নেওয়ার মাধ্যমে শাস্তি দেওয়া জায়েজ
নেই।
وفي شرح الآثار: التعزیر بأخذ
المال کانت في ابتداء الإسلام ثم نسخ۔ (البحر الرائق / باب التعزیر ۵؍۴۱)
সারমর্মঃ অর্থ গ্রহনের মাধ্যমে
শাস্তি দেওয়া ইসলামের প্রারম্ভে ছিলো। পরে এটি রহিত হয়ে গিয়েছে।
বিস্তারিত জানুনঃ
https://ifatwa.info/9570/
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে এমন শর্ত করা যাবে। আর তখন প্রতি মাসে ৫% টাকা তার বেতন হিসেবেই
আপনার কাছে জমা থাকবে। আর কিছু শর্ত মানলে অতিরিক্ত প্রতি মাসে ৫% টাকাটা যা চাকরী
শেষে আপনি দিবেন তা হিবা হিসেবে ধরা হবে।
২. শর্ত ভঙ্গ করলে কর্মচারীর ৫% করে কর্তনকৃত টাকাটা আপনি কাটতে পারবেন না। কারণ, এটা তার বেতনের টাকা। তবে অতিরিক্ত
দ্বিগুন প্রদান করা থেকে বিরত থাকতে পারেন। এতে কোনো সমস্যা নেই। কারণ, এই টাকাটা আপনি নির্দিষ্ট কিছু শর্ত সাপেক্ষে
আপনার নিজের থেকে দিচ্ছেন। তাই পরিপূর্ণ
শর্ত মানলে দিবেন অন্যথায় নয়।