ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
অতএব যে মহিলার চুল এত লম্বা যে, কিছু অংশ কাটলে পুরুষের চুলের সাথে সাদৃশ্য হবে না তার জন্য ঐ পরিমাণ কাটা জায়েয হবে। পক্ষান্তরে যার চুল তত লম্বা নয়; বরং অল্প কাটলেই কাঁধ সমান হয়ে যাবে এবং পুরুষের বাবরী চুলের মতো দেখা যাবে তার জন্য অল্প করেও কাটারও অনুমোদন নেই। তবে জটিল অসুস্থতার কারণে চিকিৎসার প্রয়োজনে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শে চুল ছোট করা, এমনকি জরুরতবশতঃ মুন্ডানোরও অনুমোদন রয়েছে। তবে সর্বাবস্থায় ফ্যাশনের অনুকরণ করা থেকে বিরত থাকা জরুরি। উপরোক্ত মূলনীতির আলোকে মহিলারা তাদের চুল কাটতে পারবে।
জ্ঞাতব্য যে,নয় বৎসর বয়স থেকে চুল রাখা জরুরী,কেননা নয় বছর বয়স থেকেই মহিলার মধ্যে পুরুষ আকৃষ্টকারী অবয়ব সৃষ্টি হয়ে যায়,এবং তখন থেকেই মূলত পর্দা জরুরী হয়ে যায়।
তবে বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুসরণের নিমিত্তে চুল কাটা কখনো জায়েয হবে না।কেননা হাদীসে এসেছে,
'যে ব্যক্তি যে জাতীর অনুসরণ করবে,সে তাদের-ই অন্তর্ভুক্ত হবে।'
সুতরাং কেউ যদি এমনিতেই সৌন্দর্য গ্রহণের জন্য সামান্য চুল কর্তন করে,তাহলে সেটা হারাম হবে না।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/3051
মেয়েদের সাজসজ্জা গ্রহণের মূলনীতি সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/466
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি জরুরত পর্যন্ত সামান্য চুল কর্তন করতে পারবেন।
(২)
হাদিয়াকে গ্রহণ করার পর এই হাদিয়ার সম্পূর্ণ মালিক আপনি হয়ে গেছেন, আপনার প্রয়োজনমত যে কোনো কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। উনাকে জিজ্ঞাস করার জরুরত নাই। তবে যদি কাপড় ক্রয়ের জন্য দেন, তাহলে উনার কাছ থেকে অনুমোদন নিয়ে নিবেন এভাবে যে, আমার যে জিনিষের প্রয়োজন সেই জিনিষ আপনার টাকা দ্বারা ক্রয় করে নিচ্ছি। এতটুকই বলবেন।জাযাকিল্লাহ।