আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
211 views
in সালাত(Prayer) by (14 points)
reopened by
আসসালামু আলাইকুম উস্তায,
আমার প্রশ্নটি হলো, ফজরের ২ রাকাত সুন্নত নামাজ বাসায় পড়া হয়। এরপর মসজিদে যাই। তো মসজিদে যেয়ে বসার আগে দুখুলুল মসজিদ পড়তে হয়। এদিকে আমি জানি ফজরের ২ রাখাত সুন্নতের পর ফরজের আগে আর কোনো নামাজ পড়তে হয়না।
আমার প্রশ্ন হলো- বাসায় ২ রাকাত সুন্নত নামাজ পড়ে মসজিদে এসে আবার ফরজের আগে দুখুলুল মসজিদ পড়তে পারবো কিনা। জাঝাকুমুল্লাহু খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (57,240 points)
 
بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,
ফজরের সময় হওয়ার পর থেকে সূর্য উদিত হওয়া পর্যন্ত ফজরের সুন্নত ব্যতিত সব ধরনের নফল নামায পড়া মাকরূহ। চাই তা ঘরে পড়া হোক কিংবা মসজিদে। অতএব ফজরের ওয়াক্ত হয়ে যাওয়ার পর তাহিয়াতুল অযু বা দুখুলুল মসজিদ পড়বে না। তবে ফজরে সুন্নতের সাথে তাহিয়াতুল অযু ও দুখুলুল মসজিদ নামাযের নিয়ত করে নিলে তার সাওয়াব পেয়ে যাবে৷ এবং জামাতের সময় হওয়া পর্যন্ত বাকি সময় তাসবীহ-তাহলীল, দরূদ শরীফ ইত্যাদি পড়বে। (-সুনানে আবু দাউদ ১/১৮১; ফাতহুল কাদীর ১/২৪০; রদ্দুল মুহতার ১/৩৭৪)  
হাদীস শরীফে এসেছেঃ   
عن حماد بن أبي سلیمان أنہ سأل إبراہیم النخعي عن الصلاۃ قبل المغرب، قال: فنہاہ عنہا، وقال: إن رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم وأبا بکر رضي اللّٰہ عنہ وعمر رضي اللّٰہ عنہ لم یکونوا یصلونہا۔ (رواہ محمد في کتاب الآثار، نصب الرایۃ للزیلعي ۱؍۲۸۷، بحوالہ: إعلاء السنن ۲؍۶۳-۶۴ رقم: ۵۲۰ دار الکتب العلمیۃ بیروت)

রাসুলুল্লাহ সাঃ, আবু বকর সিদ্দিক রাঃ,এবং ওমর রাঃ মাগরীব নামাজের পূর্বে কোনো নফল ইত্যাদি আদায় করেননি।       
শরীয়তের বিধান হলো   যদি অযু করার পর ততক্ষনাৎ মাগরিব নামাজ পড়ে,তাহলে তাহিয়্যাতুল অযু এর নামাজেরও ছওয়াব পাওয়া যাবে। (কিতাবুন নাওয়াজেল ৪/৩৫৭)

যদি মসজিদে ঢুকেই সুন্নাত নামাজ পড়ে,তাহলে তাহিয়্যাতুল মসজিদ এর নামাজও আদায় হয়ে যাবে। (নাজমুল ফাতওয়া ২/২৫৫)

ফজরের ওয়াক্ত হয়ে গেলে সূর্য উদিত হওয়া পর্যন্ত ফজরের দুই রাকাত সুন্নত ব্যতীত আর কোন নফল নামাজ পড়া যায় না। হাদিস শরিফে এসেছে-
عَنْ حَفْصَةَ قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- إِذَا طَلَعَ الْفَجْرُ لاَ يُصَلِّى إِلاَّ رَكْعَتَيْنِ خَفِيفَتَيْنِ وفى رواية إلا ركعتي الفجر
‘হাফসা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) ফজর উদিত হবার পর ফজরের দুই রাকাত সুন্নাত ছাড়া অন্য কোন নামায পড়তেন না। [সহিহ মুসলিম. হাদিস: ১৭১১]

ফজরের ওয়াক্ত হয়ে গেলে সূর্য উদিত হওয়া পর্যন্ত ফজরের দুই রাকাত সুন্নত ব্যতীত আর কোন নফল নামাজ পড়া যায় না। হাদিস শরিফে এসেছে-

عَنْ حَفْصَةَ قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- إِذَا طَلَعَ الْفَجْرُ لاَ يُصَلِّى إِلاَّ رَكْعَتَيْنِ خَفِيفَتَيْنِ وفى رواية إلا ركعتي الفجر

‘হাফসা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) ফজর উদিত হবার পর ফজরের দুই রাকাত সুন্নাত ছাড়া অন্য কোন নামায পড়তেন না। [সহিহ মুসলিম. হাদিস: ১৭১১]

তাই ফজরের ওয়াক্তে মসজিদে প্রবেশ করলে সে সময় তাহিয়্যাতুল মসজিদ পড়া যাবে না। এ সময় অন্যান্য জিকির-আজকার করবে।

ফাতহুল কাদীর ১/২৪০; রদ্দুল মুহতার ১/৩৭৪
তাই ফজরের ওয়াক্তে মসজিদে প্রবেশ করলে সে সময় তাহিয়্যাতুল মসজিদ পড়া যাবে না। এ সময় অন্যান্য জিকির-আজকার করবে। (ফাতহুল কাদীর ১/২৪০; রদ্দুল মুহতার ১/৩৭৪)
প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনী ভাই / বোন!
রাসুল (সা.)-এর যে আদর্শ আছে সেটা হলো, তিনি তাহাজ্জুদের শেষে ফজরের আজানের পর থেকে ফজরের জামাতের আগ পর্যন্ত শুধু দুই রাকাত সুন্নাত নামাজ পড়তেন। আর সে জন্য ওলামায়ে কেরাম পরামর্শ দিয়েছেন যে, কেউ যদি বাসায় দুই রাকাত সুন্নাত পড়েন, তাহলে তিনি এমন সময় মসজিদে যাবেন যে সময়ে জামাত শুরু হয়ে যাবে, তার আর তাহিয়াতুল মসজিদ পড়ার দরকার হবে না। আর তিনি যদি বাসায় সুন্নাত আদায় না করে মসজিদে গিয়ে আদায় করতে চান, তাহলে তিনি ফজরের দুই রাকাত সুন্নত নামাজের সঙ্গে তাহিয়াতুল মসজিদের নিয়তও করে নেবেন।



(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...