আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
231 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (2 points)
আস্সালামুআলাইকুম। আমি এর আগে বাবার টাকা হারাম কিনা এবং তার থেকে পাওয়া গিফট বিয়ের পর আমার জন্য জায়েয কিনা সেটা জানতে চেয়ে প্রশ্ন করেছিলাম। মুফতি সাহেব বলেছিলেন হারাম এবং জায়েয নয়।
১। তার থেকে পাওয়া খাবার যা খেয়ে ফেলা হয়েছে অথবা আসবাব যা ফেরত দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না সেটার পুরো টাকা সদকাহ করার সামর্থ্য না থাকলে, কিনে নেওয়ার নিয়াতে মাকে কি সেটার জন্য নামমত্র টাকা (তিনি যেটা চাইবেন বিক্রয়ের নিয়ত মাথায় রেখে) সেটা দিয়ে দিলে হবে?

২। যেসকল জিনিস ফেরত দেওয়া সম্ভব তা ফেরত দিলে গুনাহ মাফ হবে? নাকি সদকাহই করতে হবে বা সমপরিমান টাকাই সদকাহ করতে হবে?

৩। সেই জিনিস বা সমপরিমান টাকা কি আত্মীয়কে সদকাহ করা যাবে? সেক্ষেত্রে যাদের আর্থিক অবস্তা খারাপ তাদেরই দিতে হবে নাকি যেকোন আত্মীয় হলে হবে?

৪। জিনিসগুলো বেচে দিলে ক্রয়মূল্য থেকে অনেক কম টাকা পাওয়া যায় । সেক্ষেত্রে কি এই টাকা সদকাহ করলে হবে? নাকি ক্রয়মূল্যই সদকাহ করতে হবে?

৫। অনেক সময় বাবার বাড়ি গিয়ে থাকতে হয়  সেক্ষেত্রে খাবারের আসল দাম না দিয়ে কিনে নেওয়ার নিয়াতে কম টাকা দেওয়া যাবে?  এক্ষেত্রে মাকে বলা আছে যে আমরা কিনব আর সে তার ইচ্ছামত একটা দাম বলবে যেটা আমাদের সামর্থ্যর মধ্যে।

৬। যেহেতু স্বামীর ইনকাম হালাল, এই মুহূর্তও যা হারাম মিশে আছে বাবার থেকে নেওয়া জিনিসের কারনে, এটা কি দু'আ কবুলের ক্ষেত্রে বাঁধা হয়ে দাড়াবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
فى الفتاوى الهندية- أهدى إلى رجل شيئا أو أضافه إن  كان غالب ماله من الحلال فلا بأس إلا أن يعلم بأنه حرام ، فإن كان الغالب هو الحرام ينبغي أن لا يقبل الهدية ، ولا يأكل الطعام إلا أن يخبره بأنه حلال ورثته أو استقرضته من رجل ، كذا في الينابيع
যদি এমন কেউ কাউকে কিছু হাদিয়া দেয়,যার অধিকাংশ সম্পত্তি হালাল,তাহলে সেই মালকে গ্রহণ করা নাজায়েয নয়।তবে যদি সে জানতে পারে যে,দাতা হারাম থেকে দিচ্ছে তাহলে এমতাবস্থায় সেটা জায়েয হবে না।আর যদি তার মালের অধিকাংশই হারাম থাকে,তাহলে এমন ব্যক্তির হাদিয়া গ্রহণ জায়েয হবে না।এমন ব্যক্তির ওখানে আহার করাও যাবে না, যতক্ষণ না সে হালাল খাবারের সংবাদ দিচ্ছে বা এটা বলছে যে,সে ধার করে নিয়ে এসে আহার করাচ্ছে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৪২)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1900

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
তার থেকে পাওয়া খাবার যা খেয়ে ফেলা হয়েছে অথবা আসবাব যা ফেরত দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না সেটার পুরো টাকা সদকাহ করার সামর্থ্য না থাকলে, কিনে নেওয়ার নিয়াতে বাবাকে সেটার জন্য নামমত্র টাকা (তিনি যেটা চাইবেন বিক্রয়ের নিয়ত মাথায় রেখে) সেটা দিয়ে দিলে হবে। মা যেহেতু সংসারের মালিক নন,তাই বাবার কাছ থেকেই ক্রয় করতে হবে।

(২)
যেসকল জিনিস ফেরত দেওয়া সম্ভব তা ফেরত দিলে আপনি তো গুনাহ মুক্ত হবেন। তবে আপনার বাবার জন্য সেগুলো সদকাহ করা ওয়াজিব।

(৩)
সেই জিনিস বা সমপরিমান টাকা আত্মীয়কে সদকাহ করা যাবে। সেক্ষেত্রে যাদের আর্থিক অবস্তা খারাপ তাদেরই দিতে হবে।

(৪)
বিক্রয়মূল্যই সদকাহ করতে হবে।

(৫)
এভাবে ক্রয় বিক্রয় না করে, বরং খাবার দাবার ক্রয় করেই নিয়ে যাবেন।

(৬)
যেহেতু হারাম থেকে মুক্ত হওয়ার চেষ্টায় আছেন, তাই দু' কবুল হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...