জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী বাবার অন্য স্ত্রী (সৎ মা) এর মেয়ে (যেটা অন্য স্বামীর সাথে থাকা অবস্থায় হয়েছিলো) কে বিবাহ করা জায়েজ আছে।
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার ছেলের জন্য উক্ত মহিলার মেয়ের সাথে বিবাহ জায়েজ আছে।
কুরআন শরিফে এরশাদ হয়েছেঃ
حُرِّمَتْ عَلَيْكُمْ أُمَّهَاتُكُمْ وَبَنَاتُكُمْ وَأَخَوَاتُكُمْ وَعَمَّاتُكُمْ
وَخَالاَتُكُمْ وَبَنَاتُ الأَخِ وَبَنَاتُ الأُخْتِ وَأُمَّهَاتُكُمُ اللاَّتِي أَرْضَعْنَكُمْ وَأَخَوَاتُكُم مِّنَ الرَّضَاعَةِ وَأُمَّهَاتُ نِسَآئِكُمْ وَرَبَائِبُكُمُ اللاَّتِي فِي حُجُورِكُم مِّن نِّسَآئِكُمُ اللاَّتِي دَخَلْتُم بِهِنَّ فَإِن لَّمْ تَكُونُواْ دَخَلْتُم بِهِنَّ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْكُمْ وَحَلاَئِلُ أَبْنَائِكُمُ الَّذِينَ مِنْ أَصْلاَبِكُمْ وَأَن تَجْمَعُواْ بَيْنَ الأُخْتَيْنِ إَلاَّ مَا قَدْ سَلَفَ إِنَّ اللّهَ كَانَ غَفُورًا رَّحِيمًا
অর্থাৎ;-তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাতা, তোমাদের কন্যা, তোমাদের বোন, তোমাদের ফুফু, তোমাদের খালা, ভ্রাতৃ-কন্যা, ভগিনী-কন্যা(ভাগ্নি), তোমাদের সে মাতা, যারা তোমাদেরকে স্তন্য পান করিয়েছে, তোমাদের দুধ-বোন, তোমাদের স্ত্রীদের মাতা(শ্বাশুড়ী), তোমরা যাদের সাথে সহবাস করেছ সে স্ত্রীদের কন্যা, যারা তোমাদের লালন পালনে আছে। যদি তাদের সাথে সহবাস না করে থাক তবে এ বিবাহে তোমাদের কোন গোনাহ নেই, তোমাদের ঔরষজাত পুত্রদের স্ত্রী, দুই বোনকে বিবাহে একত্রি করণ, কিন্তু যা অতীত হয়ে গেছে। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাকারী দয়ালু।
(সুরা নিসা ২৩)
وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ النِّسَاء إِلاَّ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ كِتَابَ اللّهِ عَلَيْكُمْ وَأُحِلَّ لَكُم مَّا وَرَاء ذَلِكُمْ أَن تَبْتَغُواْ بِأَمْوَالِكُم مُّحْصِنِينَ غَيْرَ مُسَافِحِينَ فَمَا اسْتَمْتَعْتُم بِهِ مِنْهُنَّ فَآتُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ فَرِيضَةً وَلاَ جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا تَرَاضَيْتُم بِهِ مِن بَعْدِ الْفَرِيضَةِ إِنَّ اللّهَ كَانَ عَلِيمًا حَكِيمًا
অর্থাৎ;-তোমাদের স্বত্বাধীন যেসব দাসী রয়েছে তাদের ছাড়া সকল সধবা নারীকে তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে। এ হল আল্লাহর বিধান। এদের ছাড়া অন্য সকল নারীকে তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে। এ শর্তে যে তোমরা তাদের অর্থের বিনিময়ে তলব করবে। ঘর-সংসার করার জন্য, আনন্দ-ফূর্তী করার জন্য নয়। বিয়ের মাধ্যমে তোমরা যে নারীদের সম্ভোগ করবে, তাদের নির্ধারিত মোহর দিয়ে দেবে। আর তোমাদের কোন গোনাহ হবেনা যদি মোহর নির্ধারণের পর কোন বিষয়ে পরষ্পর সম্মত হও। নিশ্চয় আল্লাহ হলেন সর্বোজ্ঞ হেকমত ওয়ালা।
(সুরা নিসা ২৪)
,
★★যদিও এই বিবাহ জায়েজ হবে,তবে এই জায়গায় আপনার ছেলেকে বিবাহ করাইলে (যেহেতু তার মায়ের সাথে আপনি যেনা করেছেন,তাই) আবারো সেই যেনা বা তার নিকটবর্তী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে,তাই আল্লাহ তায়ালার বিধান
ولا تقربوا الزني
তোমরা যেনার নিকটবর্তী যেয়োনা,,
এই বিধান মানার স্বার্থে সেই জায়গায় আপনার ছেলেকে বিবাহ না করানোটাই উত্তম।