আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
222 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (6 points)
edited by
এক ব্যাক্তির নার্ভের সমস্যা রয়েছে। ওষধ খেলে ভালো থাকে , যখন যখন ওষধ খাই রাগ কম থাকে এবং সাভাবিক থেকে।
হটাৎ ওষধ খাওয়া ৩ মাস বা ২ মাস বন্ধ করে দিয়েছে , তার পর  মাথাতে সব সময় চিন্তা চলে আসে যে কোনো চিন্তা মানসিক ডাক্তার দেখানোর এমন ছিলনা ডক্টর দেখিয়ে অনেক দিনের ঔষধ দেই । সে সব কাজ ঠিক করে । সবাই কে সম্মান দেই, পরিবার এর মানুষ কে ভালোবাসে । সব কিছুই আছে মাঝে মাঝে রেগে ভাই একদম ছোট্ট কারণে।

উদহারন দিছি:---- মা, বোন এবং স্ত্রী কে নিয়ে একটা জায়গাতে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিল। ছেলেটা বোন এবং স্ত্রী কে  পরীক্ষা ঘরে ঢুকিয়ে। গাড়িতে বসে আছে মা এবং ছেলে । ছেলের মা বলি এত বড় শহর কি সুন্দর, এই টা সোনার পর ছেলের টা ভাবলো মা কে নিয়ে একটু শপিং মল  দেখিয়ে নিয়ে আসি।  তাই হলো শপিং করে গাড়িতে গিয়ে বসলো, তার বোন এবং স্ত্রী আসলো। পরীক্ষা শেষ গাড়িতে দেখে কিছু বাজার করেছে দিয়ে বউ বলছে কি কই আমাকে ঘুরতে নিয়ে গেলে না মা ছিল  তখন সামনে ছেলেটার। ছেলেটা রেগে বম হয়ে গিয়েছে পুরো রাস্তা কথা বলেনি। ছেলেটার সম্মান এ লেগেছে মা এর সামনে এমন কথা বলার জন্য।

আর একদিন তার স্ত্রীর কাজ করার জন্য ১০ টা পর্যন্ত তার বাড়ির সামনে কাজ করছে এক  একবারও  ডাকলো গেলো না রোগ হয়ে গেলো। ৩ বার ডাকলো তাও গেলনা ও চেয়ে ছিল আরো অনেক  বাড় ডাকুক।  এই রকম মনের সমস্যা

যেহেতু ঔষধ খাওয়া ছেড়েছে বা হালকা ১ টা খাচ্ছে পুরো ব্রেইন টা কে কন্ট্রোল করতে পারনি । ফোনে ঝগড়া বেধে যাই অনেক । সে মেয়ে টা জানে রাগ হয়ে গেলে সাধারণ বোধ থাকে না তার পরও ঝামেলা চললো । স্বামী তখন বললো  আর রাগিয়ে দিওনা প্লজ ।  শেষ হয়না যুক্তি তর্ক চলছে ছেলেটার মাথা কাজ না করে বলে থাম তোকে শিক্ষা দিবো বলে ১ তালাক বলে।

তার পরের দিন তারা কথা বলে ঠিক করে নেই এবং পরবর্তী তে সহবাস করে।

এই মাথার রোগের অনেক দিন ওষধ খাই আবার খুব আলফালত চিন্তা করে, ১ টা কথা ,১০০ বার বলবে আর ভাববে।

অনেক কিছু  ভুলে যাই, একটা ফয়সালা হলে সেটাতে বিশ্বাস রাখতে পারে আবার পারে না আল্লাহ ভয় এ কান্না করে চিন্তা করে, আবারও ওষধ না খেলে হুট করে রাগ উঠে যায়।

মূল কথা হলো ছেলেটা তো মানসিক দিক থেকে দুর্বল (পাগল না) কিন্তু খুবই খুবই দূর্বল এবং ওয়াসওয়াসা রুগী ।

এই মানসিক ব্যাক্তির কি তালাক টা গণ্য হবে?

অনেক কিছু বাদ গেলো বলতে পারলাম না । মোটা মুটি বললাম।

আর তালাকের পর স্ত্রী কে ফিরিয়ে নিলে সংসার করলে তার মনে হয় হয়ত জিনা হয়ে গেলো।  আখারেরে হিসেব দিতে হবে। ।

হুজুর এই মানুষ ট কে দেখলে মনে হবে সুস্থ কিন্তু ভেতরে মনের দিক ও মানসিক দিক দুর্বল। সে মানসিক রোগী।
এক্ষেত্রে কি তার তালাক হবে?

আবার কি একটা কথা বলছে কি গান করছে হটাৎ মনে হচ্ছে ৩ তালাকে বা বা অন্য একটা কথা কিন্তু সে মন এ ভেবে বলছে না অটোমেটিক হয়ে যাচ্ছে দিয়ে সে  ভয় করছে ঠোঁট নড়লো নাকি জিবভা নড়লো এই রকম হচ্ছে কিন্তু তালাকের কোনো উদ্দেশ্য নেই।

এক্ষেত্রে কি তালাক হবে?

এই রকম তার রোগ আখন ফয়সালা দেন। আর  বলেন তারআগে তালাক টি কি গ্রহণযোগ্য হবে যেহেতু ওষধ বা অসুস্থ এর কারণে।

****আরো একটি বিষয় বলবেন কেউ যদি মুখে তালাক হালকা ভেবে একদম জিৎসমন্য পরিমাণ মুখ নাড়িয়ে একদম ছোট ।  তার কোনো উদ্দেশ্য ছিল না আনমনা হয়ে হয়ে যায় তাহলে কি তালাক হবে ? তার কোনো ভাবনায় নাই ওয়াসওয়াসা তে পড়ে এমন টা হয়ে গেলে তার কোনো ইচ্ছা নেই উদ্দেশ্য নেই তাইলে কি হবে ?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
চার মাযহাব সম্ভলিত সর্ববৃহৎ ফেকহি গ্রন্থ "আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যা"গ্রন্থে লিপিবদ্ধ রয়েছে যে,
نَقَل ابْنُ عَابِدِينَ عَنِ اللَّيْثِ: فِي مَسْأَلَةِ طَلاَقِ الْمُوَسْوَسِ  أَنَّهُ لاَ يَجُوزُ طَلاَقُ  الْمُوَسْوَسِ  ، قَال: يَعْنِي الْمَغْلُوبَ فِي عَقْلِهِ
وَنَقَل ابْنُ الْقَيِّمِ: إِنَّ الْمُطْلِّقَ إِنْ كَانَ زَائِل الْعَقْل بِجُنُونٍ أَوْ إِغْمَاءٍ أَوْ وَسْوَسَةٍ لاَ يَقَعُ طَلاَقُهُ،  قَال: وَهَذَا الْمَخْلَصُ مُجْمَعٌ عَلَيْهِ بَيْنَ عُلَمَ ـ اءِ الأُْمَّةِ

- رِدَّةُ الْمُوَسْوَسِ: 
٢١ - إِنْ تَكَلَّمَ الْمُوَسْوَسُ  بِكَلاَمٍ يَقْتَضِي الرِّدَّةَ لَمْ يَكُنْ فِي حَقِّهِ رِدَّةٌ. صَرَّحَ بِذَلِكَ الْحَنَفِيَّةُ، يَعْنُونَ الْمَغْلُوبَ فِي عَقْلِهِ
ইবনে আবেদিন শামী রাহ বর্ণনা করেন,ওয়াসওয়াসা গ্রস্থ ব্যক্তি -যার বিবেকবুদ্ধি লোপ পেতে বসেছে-তার তালাক গ্রহণযোগ্য নয়।
ইবনুল কাইয়িম রাহ বলেন, যদি তালাক প্রদানকারী ব্যক্তি ওয়াসওয়াসা,বেহুশি বা পাগলাটের দরুণ বিবেকবুদ্ধি লোপ পেতে থাকে, তাহলে তার তালাক গ্রহণযোগ্য হবে না। এর উপর সমস্ত উলামাদের ঐক্যমত রয়েছে।
(আল-মাওসু'আতুল ফেকহিয়্যাতুল কোয়েতিয়্যাহ-৪৩/১৫৬)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/835

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার লিখা অগোছালো হওয়ার দরুণ আমাদেরকে বুঝতে অনেকটা বেগ পেতে হয়েছে। যাইহোক, আমরা যতটুকু বুঝতে পেরেছি, সেই আলোকে বলছি,
প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী যেহেতু ঐ ব্যক্তি ওয়াসওয়াসার রোগী বা মানষিক রোগী , তাই তালাক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...