আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
176 views
in খাদ্য ও পানীয় (Food & Drink) by (36 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকা তুহু
আমি কয়দিন আগে একটি ওয়েবসাইটের খোঁজ পাই। যেটির নাম ( E Code verifier)। এখন যখন আমি কোনো খাবার খেতে চাই, যেমন- বিস্কুট, চকলেট, আইসক্রিম, 7up, Sprite এরকম খাবার। তখন আমি এই ওয়েবসাইটে পণ্যের গায়ে লেখা বৈজ্ঞানিক কোড (যে উপকরণ খাবারের মধ্যে ব্যবহার করা হয়েছে তার বৈজ্ঞানিক কোড)  যেমন- E 319,E471 E 211 ইত্যাদি এগুলোকে সার্চ করি যে, এতে হারাম কোনো উপকরণ মিশ্রিত আছে কি না। তখন তারা জবাব দেয়, যেমন --halal/haram/MASHBOOH এই তিনটির থেকে যেকোনো একটি। এখানে MASHBOOH অর্থ হারাম হতে পারে আবার হালালও হতে পারে। যা আপনি এই ওয়েবসাইটে গিয়ে E 319 সার্চ করলে আপনি দেখতে পাবেন।
১/ এখন এই ওয়েবসাইট সম্পর্কে আমি তেমন কিছু জানি। আর এটি সম্পর্কে বোঝেন এমন বিজ্ঞ কেউ আমার পরিচিত নেই। এজন্যই আপনার কাছে প্রশ্ন?  আমি এটিকে অনুসরণ করবো কি না?

২/ এই ওয়েবসাইটে যেগুলোকে haram / MASHBOOH বলা হয় সেই খাবারগুলো আমি বর্জন করি। এখন অবস্থা এমন দাড়িয়েছে যে বিস্কুট, চকলেট, ইত্যাদি যেগুলোই খেতে চাই।  প্রায় সবগুলোই এই haram/ MASHBOOH কোড মিশ্রিত থাকে। এখন আমার কি করা উচিত?

৩/ কিছু কিছু খাবারে অনেকগুলো হালাল উপকরণ থাকে। যেগুলোকে বৈজ্ঞানিক কোড দ্বারা পণ্যের গায়ে উল্লেখ করা আছে।আবার ওই একই পণ্যে haram/ MASHBOOH একটি বা দুইটি উপকরণ মিশ্রণ করা হয়েছে।  এখন এই খাবারগুলো খাওয়া জায়েজ কিনা?  নাকি উচিত হবে বর্জন করা?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


শরীয়তের বিধান হলো হারাম উপাদান দিয়ে প্রস্তুতকৃত কোনো খাওয়া, ব্যবহার করা জায়েজ নেই।
সুতরাং যে সমস্ত ই-কোড হারাম বস্তু মিশ্রণের ইঙ্গিত বহন করে,সে সমস্ত বস্তু ব্যবহার করা জায়েজ নেই।  

আল্লাহ তায়ালা বলেন
يا ايها  الذين امنوا  إنما الخمر والميسر  .. رجس  من  عمل الشيطان  فاجتنبوه لعلكم تفلحون 

হে ইমানদারগন নিশ্চয়ই মদ,,,,,, হারাম। এগুলো শয়তানের কাজ। তাই তোমরা ইহা থেকে হেফাজত থাকো যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো।

নু'মান ইবনে বশির রাযি থেকে বর্ণিত

 ﺇِﻥَّ ﺍﻟْﺤَﻠَﺎﻝَ ﺑَﻴِّﻦٌ ، ﻭَﺇِﻥَّ ﺍﻟْﺤَﺮَﺍﻡَ ﺑَﻴِّﻦٌ، ﻭَﺑَﻴْﻨَﻬُﻤَﺎ ﻣُﺸْﺘَﺒِﻬَﺎﺕٌ ﻟَﺎ ﻳَﻌْﻠَﻤُﻬُﻦَّ ﻛَﺜِﻴﺮٌ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ، ﻓَﻤَﻦِ ﺍﺗَّﻘَﻰ ﺍﻟﺸُّﺒُﻬَﺎﺕِ ﺍﺳْﺘَﺒْﺮَﺃَ ﻟِﺪِﻳﻨِﻪِ ، ﻭَﻋِﺮْﺿِﻪِ ، ﻭَﻣَﻦْ ﻭَﻗَﻊَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺸُّﺒُﻬَﺎﺕِ ﻭَﻗَﻊَ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺤَﺮَﺍﻡِ ، ﻛَﺎﻟﺮَّﺍﻋِﻲ ﻳَﺮْﻋَﻰ ﺣَﻮْﻝَ ﺍﻟْﺤِﻤَﻰ ، ﻳُﻮﺷِﻚُ ﺃَﻥْ ﻳَﺮْﺗَﻊَ ﻓِﻴﻪِ ، ﺃَﻟَﺎ ﻭَﺇِﻥَّ ﻟِﻜُﻞِّ ﻣَﻠِﻚٍ ﺣِﻤًﻰ ، ﺃَﻟَﺎ ﻭَﺇِﻥَّ ﺣِﻤَﻰ ﺍﻟﻠﻪِ ﻣَﺤَﺎﺭِﻣُﻪُ

নিশ্চয়ই হালাল স্পষ্ট এবং হারামও স্পষ্ট, আর এ উভয়ের মাঝে রয়েছে সন্দেহজনক বিষয়, অনেক লোকই সেগুলো জানে না। যে ব্যক্তি এসব সন্দেহজনক বিষয় থেকে দূরে থাকে সে তার দ্বীন ও মর্যাদাকে নিরাপদে রাখে, আর যে লোক সন্দেহজনক বিষয়ে পতিত হবে সে হারামের মধ্যে লিপ্ত হয়ে পড়বে। যেমন কোন রাখাল সংরক্ষিত চারণভূমির পাশে পশু চরায়, আশংকা রয়েছে সে পশু তার ভেতরে গিয়ে ঘাস খাবে। সাবধান! প্রত্যেক রাজারই সংরক্ষিত এলাকা থাকে, সাবধান আল্লাহর সংরক্ষিত এলাকা হলো তার হারামকৃত বিষয়গুলো। জেনে, রেখো, দেহের মধ্যে এক টুকরা গোশত আছে। যখন তা সুস্থ থাকে তখন সমস্ত দেহই সুস্থ থাকে। আর যখন তা নষ্ট হয়ে যায় তখন সমস্ত দেহই নষ্ট হয়ে যায়। স্মরণ রেখো, তা হলো 'কালব' হৃদয়।(সহীহ মুসলিম-১৫৯৯)

ই কোড সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ 
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
উক্ত হাদীসের আলোকে আমাদের সতর্কতা মূলক হারাম ই কোড থেকে বেঁচে থাকতে হবে।  

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ওয়েবসাইটকে মানদণ্ড হিসবে না নিয়ে পরামর্শ থাকবে যেকোনো খাবারের প্যাকেটের গায়ে লিখিত ই-কোড টি দেখে উপরে উল্লেখিত লিংকে গিয়ে জানতে হবে যে এটি হারাম ই-কোড কিনা?

যদি উক্ত লিংকের তথ্য মতে কোনো খাবারের প্যাকেটে নিশ্চিত ভাবে হারাম ই-কোড থাকে,সেক্ষেত্রে সতর্কতা মূলক উক্ত খাবার খাওয়া থেকে বেঁচে থাকতে হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...