আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
320 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (49 points)
edited by
১.ফরয গোছলে ১মে ২ হাত কব্জি পর্যন্ত ৩বারধুবো,এরপর গড়গড়া সহ ৩ বার কুলি,৩বার নাকে পানি দেয়া।এরপর ওযুর মত বাকি কাজ সম্পাদন করবো শুধু ২ পা ধোয়া বাদে।অতঃপর ১মে মাথায় ৩ বার পানি তারপর ডানে বায়ে ৩ বার পানি দিয়ে সমস্ত শরীর ধৌত করবো।সর্বশেষ এ ২ পা ৩ বার করে ধৌত করবো।এই পদ্ধতিটি সঠিক হয়েছে?

২.আওয়াবীন সালাতের সঠিক সময় কোনটি? জনৈক বক্তা বলেছেন মাগরিবের পরে ৬ রাকাত আওয়াবীনের সালাত।অথচ আমি একটি স্থানে পড়েছি সকাল বেলা যখন সূর্য জমিন গরম করে দেয় তখন ২ রাকাত সালাত শরীরের প্রতিটি জোড়ার জন্য সাদাকাস্বরূপ।আর এই সালাত কেই আওয়াব দের সালাত বলে।এটি একটু রেফারেন্স সহ আলোচনা করবেন।

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী গোসলের ফরজ তিনটি 
১. একবার কুলি করা ফরজ।
১. একবার নাকের নরম জায়গা পর্যন্ত পানি পৌঁছিয়ে পরিস্কার করা ফরজ।
৩. সমস্ত শরীরে পানি পৌঁছানো ফরজ।

★গোসলের সুন্নত
১. তিনবার কুলি করা সুন্নত।
২. তিনবার নাকের নরম জায়গা পর্যন্ত পানি পৌঁছিয়ে পরিস্কার করা সুন্নাত।
৩. সমস্ত শরীরে তিনবার পানি ঢেলে ভালো করে ঘষে পরিস্কার করা সুন্নাত।

আরো কিছু সুন্নাত,যাহা অনেকে মুস্তাহাবও বলেন।
১. গোসলের নিয়ত করা।
২. গোসলের শুরুতে দুই হাতের কব্জি পর্যন্ত ধোয়া।
৩. পেশাব পায়খানার রাস্তা পরিস্কার করা।
৪. শরীরের কোনো স্থানে নাপাকী থাকলে তা ধোয়া।
৫. অজু করা।
৬. পানি জমে থাকে এমন স্থানে গোসল করলে, গোসলের পর সেই স্থান থেকে সরে গিয়ে পা ধোয়া।
,
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত ছহীহ আছে।    

,
(০২)অধিকাংশ রেওয়ায়েত দ্বারা প্রমানীত যে আওয়াবীনের নামায মাগরীবের নামাজের পর ছয় রাকাত। যদিও কমবেশি (২.৪,২০ রাকাত) পড়ার রেওয়ায়েতও উল্লেখ আছে।
তবে উত্তম হলো মাগরীবের দুই রাকাত সুন্নাতে মুয়াক্কাদা আদায়ের পর আলাদা ভাবে ৬ রাকাত আওয়াবীনের নামাজ পড়বে।
(নাজমুল ফাতওয়া ২/২৬৭)
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃঃ
   
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، - يَعْنِي مُحَمَّدَ بْنَ الْعَلاَءِ الْهَمْدَانِيَّ حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ أَبِي خَثْعَمٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ صَلَّى بَعْدَ الْمَغْرِبِ سِتَّ رَكَعَاتٍ لَمْ يَتَكَلَّمْ فِيمَا بَيْنَهُنَّ بِسُوءٍ عُدِلْنَ لَهُ بِعِبَادَةِ ثِنْتَىْ عَشْرَةَ سَنَةً " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَائِشَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ صَلَّى بَعْدَ الْمَغْرِبِ عِشْرِينَ رَكْعَةً بَنَى اللَّهُ لَهُ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ "

আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি মাগরিবের পর ছয় রাকাআত নামায আদায় করলে এবং তার মাঝখানে কোন অশালীন কথা না বললে তাকে এর বিনিময়ে বার বছরের ইবাদাতের সমান সাওয়াব দেয়া হবে।
{ইবনে মাজাহ (১১৬৭)}
আবূ ঈসা বলেনঃ আইশা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মাগরিবের পর বিশ রাক'আত নামায আদায় করে আল্লাহ্ তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর তৈরী করেন।
,
(তিরমিজি শরীফ ৪৩৫)
,
لما فی کنزالعمال(۳۸۶/۷):۱۹۴۲۱۔من صلی بعد المغرب رکعتین قبل أن یتکلم کتبتا فی علیین۔
যে ব্যাক্তি মাগরিবের নামাজের পর কথা বলার পূর্বেই   দুই রাকাত নফল নামাজ পড়বে,তার নাম ইল্লিয়্যিনে লেখা হবে

وفیہ ایضاً(۷/۳۹۲): ۱۹۴۵۱۔ من صلی أربع رکعات بعد المغرب کان کمن عقب غزوۃ بعد غزوۃ فی سبیل اﷲ عزوجل (أبو الشیخ عن ابن عمر)۔
কেহ যদি মাগরীবের নামাজের পর ৪ রাকাত নফল নামাজ পড়বে,সে যেনো আল্লাহর রাস্তায় এক জিহাদের পর আরেক জিহাদে (পরপর ২ জিহাদে) অংশগ্রহণ করলো। 
,
.
[★★তবে কিছু ইসলামী স্কলারগন মনে করেন যে আওয়াবীন নামাজবলতে বিশেষ কোনো নামাজের আদেশ শরীয়তে নেই।
 তাই তাদের মতানুসারীগন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন।  ]


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...