জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী গোসলের ফরজ তিনটি
১. একবার কুলি করা ফরজ।
১. একবার নাকের নরম জায়গা পর্যন্ত পানি পৌঁছিয়ে পরিস্কার করা ফরজ।
৩. সমস্ত শরীরে পানি পৌঁছানো ফরজ।
★গোসলের সুন্নত
১. তিনবার কুলি করা সুন্নত।
২. তিনবার নাকের নরম জায়গা পর্যন্ত পানি পৌঁছিয়ে পরিস্কার করা সুন্নাত।
৩. সমস্ত শরীরে তিনবার পানি ঢেলে ভালো করে ঘষে পরিস্কার করা সুন্নাত।
আরো কিছু সুন্নাত,যাহা অনেকে মুস্তাহাবও বলেন।
১. গোসলের নিয়ত করা।
২. গোসলের শুরুতে দুই হাতের কব্জি পর্যন্ত ধোয়া।
৩. পেশাব পায়খানার রাস্তা পরিস্কার করা।
৪. শরীরের কোনো স্থানে নাপাকী থাকলে তা ধোয়া।
৫. অজু করা।
৬. পানি জমে থাকে এমন স্থানে গোসল করলে, গোসলের পর সেই স্থান থেকে সরে গিয়ে পা ধোয়া।
,
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত ছহীহ আছে।
,
(০২)অধিকাংশ রেওয়ায়েত দ্বারা প্রমানীত যে আওয়াবীনের নামায মাগরীবের নামাজের পর ছয় রাকাত। যদিও কমবেশি (২.৪,২০ রাকাত) পড়ার রেওয়ায়েতও উল্লেখ আছে।
তবে উত্তম হলো মাগরীবের দুই রাকাত সুন্নাতে মুয়াক্কাদা আদায়ের পর আলাদা ভাবে ৬ রাকাত আওয়াবীনের নামাজ পড়বে।
(নাজমুল ফাতওয়া ২/২৬৭)
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃঃ
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، - يَعْنِي مُحَمَّدَ بْنَ الْعَلاَءِ الْهَمْدَانِيَّ حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ أَبِي خَثْعَمٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ صَلَّى بَعْدَ الْمَغْرِبِ سِتَّ رَكَعَاتٍ لَمْ يَتَكَلَّمْ فِيمَا بَيْنَهُنَّ بِسُوءٍ عُدِلْنَ لَهُ بِعِبَادَةِ ثِنْتَىْ عَشْرَةَ سَنَةً " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَائِشَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ صَلَّى بَعْدَ الْمَغْرِبِ عِشْرِينَ رَكْعَةً بَنَى اللَّهُ لَهُ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ "
আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি মাগরিবের পর ছয় রাকাআত নামায আদায় করলে এবং তার মাঝখানে কোন অশালীন কথা না বললে তাকে এর বিনিময়ে বার বছরের ইবাদাতের সমান সাওয়াব দেয়া হবে।
{ইবনে মাজাহ (১১৬৭)}
আবূ ঈসা বলেনঃ আইশা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মাগরিবের পর বিশ রাক'আত নামায আদায় করে আল্লাহ্ তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর তৈরী করেন।
,
(তিরমিজি শরীফ ৪৩৫)
,
لما فی کنزالعمال(۳۸۶/۷):۱۹۴۲۱۔من صلی بعد المغرب رکعتین قبل أن یتکلم کتبتا فی علیین۔
যে ব্যাক্তি মাগরিবের নামাজের পর কথা বলার পূর্বেই দুই রাকাত নফল নামাজ পড়বে,তার নাম ইল্লিয়্যিনে লেখা হবে
وفیہ ایضاً(۷/۳۹۲): ۱۹۴۵۱۔ من صلی أربع رکعات بعد المغرب کان کمن عقب غزوۃ بعد غزوۃ فی سبیل اﷲ عزوجل (أبو الشیخ عن ابن عمر)۔
কেহ যদি মাগরীবের নামাজের পর ৪ রাকাত নফল নামাজ পড়বে,সে যেনো আল্লাহর রাস্তায় এক জিহাদের পর আরেক জিহাদে (পরপর ২ জিহাদে) অংশগ্রহণ করলো।
,
.
[★★তবে কিছু ইসলামী স্কলারগন মনে করেন যে আওয়াবীন নামাজবলতে বিশেষ কোনো নামাজের আদেশ শরীয়তে নেই।
তাই তাদের মতানুসারীগন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন। ]