ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মুযাকারায়ে তালাক বা তালাকের আলোচনা
وَفِي حَالَةِ مُذَاكَرَةِ الطَّلَاقِ يَقَعُ الطَّلَاقُ فِي سَائِرِ الْأَقْسَامِ قَضَاءً إلَّا فِيمَا يَصْلُحُ جَوَابًا وَرَدَّا فَإِنَّهُ لَا يُجْعَلُ طَلَاقًا كَذَا فِي الْكَافِي
তালাকের আলোচনার পরিস্থিতিতে সকল প্রকার কেনায়া তালাকে তালাক পতিত হবে।তবে যে শব্দগুলো তালাকের আবেদনের জবাব এবং রদ উভয়টা বুঝাবে,সে শব্দুগুলো দ্বারা তালাক পতিত হবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৫)
প্রশ্ন জাগে,মুযাকারায়ে তালাক কাকে বলে?
এ বিষয়ে রদ্দুল মুহতারে বর্ণিত রয়েছে,
"(قَوْلُهُ: وَهِيَ حَالَةُ مُذَاكَرَةِ الطَّلَاقِ) أَشَارَ بِهِ إلَى مَا فِي النَّهْرِ مِنْ أَنَّ دَلَالَةَ الْحَالِ تَعُمُّ دَلَالَةَ الْمَقَالِ قَالَ: وَعَلَى هَذَا فَتُفَسَّرُ الْمُذَاكَرَةُ بِسُؤَالِ الطَّلَاقِ أَوْ تَقْدِيمِ الْإِيقَاعِ كَمَا فِي اعْتَدِّي ثَلَاثًا وَقَالَ قَبْلَهُ الْمُذَاكَرَةُ أَنْ تَسْأَلَهُ هِيَ أَوْ أَجْنَبِيٌّ الطَّلَاقَ".
( كتاب الطلاق، بَابُ الْكِنَايَاتِ، ٣ / ٢٩٧)
মুযাকারায়ে তালাকের অর্থ হল, স্ত্রীর পক্ষ থেকে স্বামীর নিকট তালাকের আবেদন করা ,অথবা তৃতীয় কোনো ব্যক্তির পক্ষ থেকে স্বামীর নিকট তালাকের আবেদন এবং তামান্না করা। এই উভয় প্রকারকে 'মুতালাবায়ে তালাক' নামে অভিহিত করা হয়।তাছাড়া স্বামী যদি ইতিপূর্বে স্ত্রীকে এক বা দুই তালাক দিয়ে থাকে,তাহলে এদ্বারাও মুযাকারায়ে তালাক প্রমাণিত হবে।এই তৃতীয় প্রকারকে তাকদীমূল ঈ'কা বলা হয়ে থাকে।(রদ্দুল মুহতার-৩/২৯৭) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1049
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
তালাকের মজলিস বলতে মুযাকারায়ে তালাক, মুযাকারায়ে তালাক হয়ে গেলে তালাক হয়ে যাবে।
(১) মোবাইলে ঝগড়ার সময় স্ত্রী যদি বলে আমাকে ছেড়ে দাও। আর স্বামী যদি তাৎক্ষণাৎ বলে 'ওই তুই যা' তালাকের নিয়ত ছাড়া বললেও তালাক হয়ে যাবে।
(২)স্ত্রী যদি সামনা সামনি বলে আমাকে ছেড়ে দাও আমার স্বামী যদি বলে 'তোমাকে ছেড়েই দিবো তুমি যাও' তালাকের নিয়ত ছাড়া । আগে ছেড়ে দিবো বলার পরে তুমি যাও বলার দ্বারা যদি স্বামীর নিয়ত থাকে,এখন যাও,তাহলে তালাক হবে না।
(৩)একদিন স্ত্রী ঝগড়া করে স্বামীর সাথে বিছানায় না থেকে ফ্লোর এ ঘুমিয়েছে। স্বামী তাকে বিছানায় নেয়ার চেষ্টা করছে কিন্তু স্ত্রী যায়নি। স্ত্রী রাগ করে আলাদা ঘুমালে কি তালাক হবে না।
(৪) মহিলা মানুষের কথার মাধ্যমে ঈলা হয় না।
(৫) মহিলা যদি বলে ওই কাজটা না করা পর্যন্ত তোমাকে আমার কাছে আসতে দিবোনা মানে সহবাস করতে দিবোনা, এদ্বারা ইলা হবে না।
(৬) মোবাইলে স্বামী তালাকের নিয়ত ছাড়া কেনায়া বাক্য বল্লে তালাক হবে না।
(৭)তালাকের ব্যাপারে আগের কথা মনে করতে না পারলে গুনাহগার হবে না।
(৮)একদিন স্বামী স্ত্রীকে মোবাইলে বলে আরেকদিন ঝগড়া করলে একেবারে বিদায়। তালাকের কোনো নিয়ত ছিলোনা। এতেো তালাক হবে না।