বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
প্রথমেই একটি বিষয় জেনে নেই,তাহা হলোঃ
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর তো কোনো ছেলে সন্তানই জীবিত ছিলোনা,
তবে রাসুলুল্লাহ সাঃ এর কন্যা ফাতিমাহ রাঃ এর সন্তান ও তাদের বংশধর দেরকে আওলাদে রাসুল সাঃ এর দিকে নিসবত করা যাবে।
এটি সহীহ।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
" إِنَّمَا فَاطِمَةُ بَضْعَةٌ مِنِّي
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, প্রকৃতপক্ষে ফাতিমাহ আমার শরীরের একটি অংশ।
(সহীহুল বুখারী, পৰ্ব ৬২ : সাহাবাগণের মর্যাদা, অধ্যায় ১৬, হাঃ ৩৭২৯; মুসলিম, পর্ব ৪৪ : সাহাবাগণের মর্যাদা, অধ্যায়, ১৫, হাঃ ২৪৪৯,তিরমিজি ৩৮৬৯)
قال الشريف السمهودي :
"معلوم أن أولادها بضعة منها ، فيكونون بواسطتها بضعة منه صلى الله عليه وسلم ، وهذا غاية الشرف لأولادها" انتهى
সারমর্মঃ
এখান থেকে জানা গেলো যে ফাতিমাহ রাঃ এর সন্তানগনও রাসুলুল্লাহ সাঃ এর শরীরের অংশ।
সুতরাং তার মাধ্যমে তার বংশধর গনও রাসুলুল্লাহ সাঃ এর শরীরের অংশ।
বিস্তারিত জানুনঃ-
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
সন্তানের বংশ যেহেতু বাবার দিকে সাব্যস্ত হয়।
তাই মায়ের বংশের দিকে সন্তানের বংশের নিসবত করা যাবেনা।
,
সুতরাং মা সৈয়দ হলে সন্তান সৈয়দ হতে পারেনা।
তবে যদি আসলেই উপরোক্ত পদ্ধতিতে রাসুলুল্লাহ সাঃ এর বংশধর হওয়ার ভিত্তিতে মা সৈয়দ হয়,তাহলে সন্তান সৈয়দ হতে পারবে।
বিস্তারিত জানতে উপরোক্ত লিংক দ্রষ্টব্য।
(০২)
এতে কুফরি হবেনা।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى، إِسْرَائِيلُ بْنُ مُوسَى قَالَ سَمِعْتُ الْحَسَنَ، يَقُولُ سَمِعْتُ أَبَا بَكْرَةَ، يَقُولُ لَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى الْمِنْبَرِ وَالْحَسَنُ مَعَهُ وَهُوَ يُقْبِلُ عَلَى النَّاسِ مَرَّةً وَعَلَيْهِ مَرَّةً وَيَقُولُ " إِنَّ ابْنِي هَذَا سَيِّدٌ وَلَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يُصْلِحَ بِهِ بَيْنَ فِئَتَيْنِ مِنَ الْمُسْلِمِينَ عَظِيمَتَيْنِ " .
মুহাম্মাদ ইবনু মানসূর (রহঃ) ... আবূ বাকরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মিম্বরের উপর দেখেছি, এবং ইমাম হাসান (রাঃ) তাঁর সঙ্গে ছিলেন। তিনি একবার লোকদের দিকে তাকাচ্ছিলেন, আর একবার হাসান (রাঃ) এর দিকে তাকাচ্ছিলেন এবং বলছিলেন, নিশ্চয়ই আমার এ ছেলে (দৌহিত্র) সর্দার হবে এবং সম্ভবত আল্লাহ তা’আলা তার দ্বারা মুসলমানদের দু’ বড় দলের মধ্যে সন্ধি স্থাপন করাবেন।
(নাসায়ী ১৪১৩,তিরমিজি ৩৭৭৩)
(০৩)
না,এতে আপনি কোনোভাবেই কাফের হয়ে যাবেননা।