বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
আল্লাহর পক্ষ থেকে সমগ্র জমিনকেই আমাদের জন্য নামাজ পড়ার স্থান বানানো হয়েছে।
তবে মূর্তি, ছবি বা উপাস্য বাতি ইত্যাদি সামনে নিয়ে নামাজ পড়া মাকরুহে তাহরিমি। কেননা এতে সেগুলো উপাসনাসদৃশ হয়ে যায়। তবে নামাজ আদায় হয়ে যাবে। (তাবঈনুল হাকায়েক ১/১৬৬, ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া ১/১০৭)।
অতএব, কোনো কারণে মন্দির বা বিধর্মীদের উপাসনালয়েও নামাজ পড়লে তা আদায় হয়ে যাবে। যদিও প্রয়োজন ছাড়া সেখানে নামাজের জন্য যাওয়া অনুচিত।
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ
جُعِلَتْ لِيَ الْأَرْضُ كُلُّهَا مَسْجِدًا
আমার জন্য পুর্ণ জমিনকে মসজিদ বানিয়ে দেয়া হয়েছে। [সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-৩১৭, মুসনাদুল হুমায়দী, হাদীস নং-৯৭৫]
وَقَالَ عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: «إِنَّا لاَ نَدْخُلُ كَنَائِسَكُمْ مِنْ أَجْلِ التَّمَاثِيلِ الَّتِي فِيهَا الصُّوَرُ» وَكَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ: «يُصَلِّي فِي البِيعَةِ إِلَّا بِيعَةً فِيهَا تَمَاثِيلُ»
‘উমার (রাযি.) বলেছেন আমরা তোমাদের গির্জাসমূহে প্রবেশ করি না, কারণ তাতে মূর্তি রয়েছে। ইবনু ‘আববাস (রাযি.) গির্জায় সালাত আদায় করতেন। তবে যেখানে প্রতিমা ছিল সেখানে নয়। [সহীহ বুখারী-গির্যায় নামায পড়ার অধ্যায়]
عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ الْأَرْضَ مَسْجِدٌ وَطَهُورٌ فَأَيْنَمَا أَدْرَكَتْكَ الصَّلَاةُ فَتَيَمَّمْ وَصَلِّ»
হযরত আবূ যর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, নিশ্চয় জমিন নামাযের স্থান এবং পবিত্র। সুতরাং যে স্থানেই নামাযের সময় হয়, তা দিয়ে তায়াম্মুম কর এবং তাতে নামায পড়। [মুসতাখরাজে আবী আওয়ানা, হাদীস নং-১১৫৯]
فَإِنْ كَانَ فِيهَا تَمَاثِيلُ خَرَجَ فَصَلَّى فِي الْمَطَرِ
হযরত ইবনে উমর রাঃ যদি গির্যায় মূর্তি দেখতেন, তাহলে বের হয়ে যেতেন এবং বৃষ্টিতে হলেও নামায পড়তেন। [ফাতহুল বারী-১/৫৩২, নাম্বার-৪৩৪]
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত রুমে প্রতিমাকে সামনে না রেখে নামাজ আদায় করা যাবে।
তবে মূর্তী গুলোকে কাপড় দিয়ে ঢেকে না দিলে নামাজ মাকরুহ হবে।
এক্ষেত্রে আলাদা রুম না করে এভাবে বিশেষ প্রয়োজনে নামাজ পড়া গেলেও সবসময় এভাবে নামাজ পড়া অনুচিত হবে।
(০২)
এমন বলা অমুসলিমদের সাথে সাদৃশ্য হওয়ায় জায়েজ নেই।
তবে আকীদা ঠিক থাকলে এতে শিরক হবেনা।
কাউকে কুফা মনে করা জায়েজ নয়।
এক্ষেত্রে অনেকেই শিরক হবে বলেছেন।
তবে এতে বড় শিরক হবেনা।
(০৩)
প্রকাশ্যে আদর করলে অন্যরা দেখতে পারবে।
সুতরাং এটি জায়েজ নেই।
মা বাবার সামনেও এমন আদর আমাদেত সমাজে লজ্জাজনক মনে করা হয়,তাই এটিও অনুচিত।
(০৪)
তিনি নামাজের বৈঠকের সময় বসবেন।
প্রয়োজনে পা পশ্চিম দিকে অগ্রসর করে দিবেন।
তাতে পা আর ভাজ করতে হচ্ছেনা।
রুকু সেজদাহ না করতে পারলে মাথা দিয়ে ইশারা করে (ঝুকে) রুকু সেজদাহ আদায় করবেন।
রুকুর তুলনায় সেজদায় একটু বেশি মাথা ঝুকাবেন।
(০৫)
আপনার নামাজ হয়ে যাবে।
(০৬)
এটি কুঃসস্কার।
ইসলামে এর কোনো ভিত্তি নেই।
পরিধান কৃত কাপড় দিয়েও মুখ মোছা যাবে।
(০৭)
দুনিয়াবি কারনে কাঁদা যাবেনা।
কাঁদার আওয়াজ হলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
(০৮)
হ্যাঁ কাঁদা যাবে।
বিস্তারিত জানুনঃ-