আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
270 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
আমি মাযহাব সম্পর্কে জানিনা। চার মাযহাবের মধ্যে কোনটি আমার মানা উচিত- এ ব্যাপারে কোনো জ্ঞান আমার নেই।
যখন থেকে ফেসবুকে প্র্যাকটিসিং বোনদের ফলো করা শুরু করি, তখন থেকে ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম দেখে আমি খুব দ্বিধায় পড়ে যাই। একজন প্র্যাকটিসিং নিকট আত্মীয়ের কথা শুনে প্রায় দুই বছর ধরে ছেলেদের মতো করে নামাজ পড়ি।
ইউটিউবে অনেক শাইখদের ভিডিও দেখে  "ছেলেমেয়েদের নামাজের মধ্যে পার্থক্য নেই",   "মহানবী (সাঃ) বলেছেন- আমাকে যেভাবে সালাত আদায় করতে দেখো, সেভাবেই সালাত আদায় করো", "তোমরা চতুষ্পদ প্রাণীর মতো সিজদা করো না" ইত্যাদি দেখে তখন ছেলেদের মতো নামাজ পড়া শুরু করি। আবার বিতরের নামাজও সেই আত্মীয়ার কথা শোনার পর, সৌদি আরবীয়ান শাখইদের ভিডিও দেখে দ্বিতীয় রাকাতের পরে তাশাহুদ পড়ি না।

যেহেতু, চার মাযহাবের মধ্যে যেকোনো একটা মানলেই হবে, কিন্তু কোনটি মানবো সেই সিদ্ধান্তেই আমি যেতে পারিনা।
IOM-এ ভর্তি হওয়ার পরে দেখলাম উস্তাদরা সবাই হানাফি মাযহাব অনুসরণ করেন৷ বাংলাদেশের বেশিরভাগ আলিমরাই হানাফি মাযহাব অনুসরণ করেন। আমাদের জন্য নানা বিষয়ে দ্রুত ফতোয়ার জন্য হানাফি মাযহাবের অনুসরণই সুবিধাজনক। যেহেতু আলিমরা সবাই হানাফি মাযহাবের।

এটাতো সম্ভব নয় যে, হানাফি মাযহাব অনুসরণ করবো, আর নামাজ ছেলেদের মতো পড়বো, বিতরের দুই রাকাতের পড়ে তাশাহুদ পড়বো না, বা অযুতে ঘাড় মাসেহ করবো না। কারণ উস্তাদগণ বলেছেন, যেটা অনুসরণ করবো সেটাই পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ করতে হবে৷ দুইটা একসাথে অনুসরণ করা সম্পূর্ণ নিষেধ।

ইউটিউবে দেখা শাইখদের আলোচনায় কেউ কেউ বলেছেন, "চার মাযহাবের ইমামগণই বলেছেন, তাঁদের যে কথাই কুরআন ও রাসূলের(সাঃ) সুন্নাহর বাইরে যায়, তা না মানতে।"
যেহেতু, রাসূল(সাঃ) তাঁর মতো করে নামাজ পড়তে বলেছেন, সেক্ষেত্রে হানাফি মাযহাব অনুসরণ করলেও ছেলেমেয়ে অভিন্ন নামাজ পড়তে হবে।

আমি এ বিষয়গুলো নিয়ে খুবই চিন্তিত। দয়া করে আমাকে নসিহাহ করুন।
এতোদিন ধরে উপরের বিষয়গুলো প্র্যাকটিস করতে করতে এখন হানাফি মাযহাবের মতো মেয়েদের আলাদা নামাজ পড়তেও পারছি না। বুকে,পেটে চাপ অনুভব হয় সিজদায়।
আবার যেহেতু IOM-এর ক্লাসে হানাফি ফিকহ পড়ছি, আর আমার যেহেতু হাম্বলী মাযহাবের বাকি বিষয়গুলো জানা নেই( নামাজের নিয়ম , বিতরের নামাজ, অযু ব্যতিত), সেহেতু, আমার ক্ষেত্রে হানাফি ও হাম্বলী মাযহাবের সংমিশ্রণ ঘটার সম্ভাবনা অনেক বেশি। এমতাবস্থায় আমার কী করণীয়?
দয়া করে আমাকে সাহায্য করুন।
ইলমের অভাবের কারণে এতো সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি।<!--/data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/clipdata/clipdata_bodytext_220827_162213_484.sdocx-->

1 Answer

0 votes
by (589,380 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মুজতাহিদ ফিল মাযহাব তথা যিনি নিজে নিজে সরাসরি কুরআন-হাদীস থেকে শরীয়ত বুঝার ক্ষমতা রাখেন।
অর্থাৎ যিনি নিম্নোক্ত পাঁচটি বিষয়ে যথেষ্ট পারদর্শী থাকবেন।(১) তাফসীর(২)হাদীস ও হাদীসের রাবী(৩)আরবী ভাষা(৪)সালাফে সালেহীনদের বর্ণনাকৃত মাসাঈল ও তাদের মন্তব্য সমূহ।(৫)এবং কুরআন-হাদীস থেকে কিয়াস করে হুকুম বের করা যোগ্যতা।
উপরোক্ত বিষয়ে পারদর্শী কোনো ব্যক্তির জন্য তাকলীদে শাখসীর কোনো প্রয়োজন নেই।উনার কাছে নিজ ইমামের বিপরিত কোনো একটি দিক কুরআন-সুন্নাহর অধিক নিকটবর্তী প্রমাণিত হলে, উনি সেটার উপরই আ'মল করবেন। এমনকি তখন উনার জন্য নিজ ইমামের অনুসরণ বৈধ হবে না।(মাযহাব কি ও কেন দ্রষ্টব্য)

এছাড়া অন্য সবার জন্য নিজ ইমামের প্রত্যেকটি মতামতকে মান্য করা ওয়াজিব।
আরো জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1936

নারী পুরুষের নামাযের পার্থক্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/498

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি হানাফি মাযহাব ফলো করে থাকলে, উক্ত মাযহাবের প্রত্যেকটা বিষয়কে ফলো করবেন। নিজের সুবিধা-অসুবিধার প্রতি লক্ষ্য করে মাযহাবকে ফলো করতে পারবেন না। মাঠির সাথে মিশে নামায পড়ুন,প্রাথমিক পর্যায়ে কষ্টকর হলেও পরবর্তীতে ঠিক হয়ে যাবে। হাদীস সহীহ হলেই এটা আমার মাযহাব

"চার মাযহাবের ইমামগণই বলেছেন, তাঁদের যে কথাই কুরআন ও রাসূলের(সাঃ) সুন্নাহর বাইরে যায়, তা না মানতে।"

তাদের কোন কথা কুরআন সুন্নাহর বাইরে আর কোনটা বাইরে নয়, সেটা আপনি কিভাবে বুঝবেন? নিশ্চয় কারো কথা দ্বারা বুঝবেন, তাহলে এখানেও তো আপনি তাকলীদ করছেন। কেননা আপনার তো নিজে বুঝার যোগ্যতা নাই।সেজন্যই আমরা বলে থাকি, নিজে নিজে সহীহ গলদ বুঝার যোগ্যতা অর্জন হয়ে গেলে ঐ ব্যক্তির জন্য মাযহাব ফলো করা জরুরী নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,380 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...